Results for Health

এক সপ্তাহে ৩ কেজি ওজন কমাতে চান ? জেনে নিন কিটো ডায়েট কি ? এই ডায়েটে কি খাবেন , কি খাবেন না ? কি উপকার ? কি ক্ষতি ? - Keto Diet in Bengali

October 06, 2021
what is keto diet bangla

কিটো ডায়েট কী?

দ্রুত ওজন কমাতে সেলিব্রেটিদের প্রথম পছন্দ কিটো ডায়েট। গত দুবছর ধরে এই ডায়েটের চাহিদা বেশ তুঙ্গে। আমাদের শরীরে শক্তির মূল উপাদান হল গ্লুকোজ। শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে দেহে প্রয়ােজনীয় পরিমাণ গ্লুকোজ সরবরাহ করা হয়। দেহের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে এই গ্লুকোজ শক্তি সরবরাহ করে। এভাবে যেটুকু গ্লুকোজ দরকার তা ব্যবহৃত হওয়ার পর অতিরিক্ত অংশটুকু শরীরে জমা হতে শুরু করে। আর এভাবেই দেহে ওজন বাড়তে থাকে।

কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার বেশি খেলে শরীরে বেশি পরিমাণে ফ্যাট জমা হয়। আবার কম খেলে শরীরে প্রয়ােজনীয় ফ্যাটটুকুও থাকে না। খেয়াল করলে দেখা যায় যে, দেহের ওজন বাড়ানাের জন্য চর্বি জাতীয় খাদ্য যতটুকু দায়ী, তার থেকে বেশি দায়ী শর্করা জাতীয় খাদ্য। 

কিটো ডায়েটে আসলে এই শর্করা জাতীয় খাদ্য সেবনের মাত্রা একেবারে কমিয়ে দেওয়া হয়। আর বেশি জোর দেওয়া হয় চর্বি ও প্রােটিন রয়েছে, এমন খাদ্যের উপর।  কিটো ডায়েটের ক্ষেত্রে ওজন কমানাের জন্য ঘি এক কার্যকরী হাতিয়ার হতে পারে। যেহেতু ঘি ঘরের তাপমাত্রায় কঠিন অবস্থায় থাকে। তাই একে আমরা বলছি সম্পৃক্ত ফ্যাট। ঘি তৈরি হয় গােরু, মহিষের দুধ থেকে। ১০০ গ্রাম ঘিতে থাকে ১০০ গ্রাম ফ্যাট। তাই যিনি কিটো ডায়েট মেনে চলছেন তাঁকে ৭০ গ্রাম ঘি প্রতিদিন খেতেই হবে।

কিটো ডায়েট কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত ডায়েট হিসেবে পরিচিত। ফলে এই ডায়েট প্ল্যানে কার্বোহাইড্রেটের পরিবর্তে বেশি করে প্রােটিন এবং ফ্যাট জাতীয় খাবার খেতে বলা হয়। একটানা অতিরিক্ত প্রােটিন খেলে লিভারে কিটোন উৎপন্ন হয়। রােজ আমরা ভাত বা রুটি থেকে যে কার্বোহাইড্রেট খাই তা থেকে তৈরি হয় গ্লুকোজ। আর প্রত্যেক দিন যে কাজ করি তার জন্য প্রয়ােজনীয় শক্তি আসে শরীরে থাকা গ্লুকোজ থেকে। যখন দেহে শর্করার পরিমাণ কমে যায় তখন শক্তি পাওয়ার জন্য শরীরে ভাঙতে শুরু করবে আমাদের ফ্যাট সেলগুলাে। এই ফ্যাট সেলগুলাে যত ভাঙবে শরীরে ততই তৈরি হতে থাকবে ফ্যাটি অ্যাসিড। আর এই ফ্যাটি অ্যাসিডই লিভারে এসে তৈরি করবে কিটোন বডি। এই পুরাে প্রক্রিয়াটাকেই কিটোসিস বলা হয়। কিটোজেনিক ডায়েটের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ২৫ শতাংশ প্রােটিন এবং ৭০ শতাংশ ফ্যাট জাতীয় খাবার রাখা হয় ডায়েটে। ট্রাইগ্লিসারাইড এবং কোলেস্টেরলের সমস্যা না থাকলে এই ডায়েটের পরামর্শ দেওয়া হয়। 

লাে-ফ্যাট ডায়েটের তুলনায় এই ডায়েটে বেশি ওজন কমানাে যায়। এই ডায়েট শুরু করার কিছুদিনের মধ্যে খিদে কমে যায়। এভাবে শর্করা না পেয়ে দেহ অতিরিক্ত চর্বি পােড়াতে শুরু করে এবং আমাদের ওজনও দ্রুত হ্রাস পায়। এমন ডায়েট সূক্ষ্মভাবে অনুসরণ করলে মাত্র দুই সপ্তাহেই ওজন কমানাে সম্ভব। তবে এর জন্য যেমন  খাদ্যের ব্যাপারে বেশ কড়া নিয়ম পালন করতে হয়, সেটাই এর বেশ কিছু ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে। তাই যাঁরা বিভিন্ন রােগে আক্রান্ত, তাঁদের ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত নিজে নিজে এমন ডায়েট অনুসরণ করা উচিত নয়।


কিটো ডায়েটে যা যা খাওয়া যায়  ?

সব ধরনের মাংস পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যাবে। সকল প্রকার মাছ, বিশেষ করে প্রচুর চর্বি বা তেল রয়েছে, এমন মাছ খাওয়া ভালাে। খাদ্য তালিকায় মাখন ও ঘি যােগ করা যায়। রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার না করে ঘি ব্যবহার করা যেতে পারে। কিটো ডায়েটের খাদ্য তালিকার এক প্রধান খাবার হল ডিম। মাখন ও ঘি ছাড়াও পনির খাওয়া যাবে। সকল প্রকার বাদাম ও বাদাম থেকে তৈরি অন্যান্য খাদ্য, যেমন পিনাট বাটার খাওয়া যাবে। খাদ্যে সয়াবিন তেলের পরিমাণ একেবারে কমিয়ে দিতে হবে। আর সয়াবিনের পরিবর্তে রান্নার জন্য ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। ক্রিম, পনির, আখরােট, স্যালাড, চিজ, নারকেল তেল, ঘি, মাখন ইত্যাদি বেশি খেতে হবে।


কিটো ডায়েটে কী কী খাওয়া যাবে না ? 

ভাত বাদ দিলে সবার আগে রুটি খাওয়ার চিন্তা আমাদের মাথায় আসবে। তবে চাল, আটা, ময়দা দিয়ে তৈরি সকল খাবারে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ থাকে। তাই আটা ও ময়দা দিয়ে তৈরি খাদ্য, যেমন-রুটি, পাস্তা, সিরিয়াল ইত্যাদি খাবার বাদ দিতে হবে। গম, ভুট্টা, চা, ডালিয়া, চিনি একদম খাওয়া যাবে না। ডাল, মটর এবং অন্যান্য দানা জাতীয় শস্য খাওয়া যাবে না। সব রকম ফলমূল খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এটা সত্যি যে, অনেক ডায়েটে ফল খাওয়ার পেছনে জোর দেওয়া হয়। ফলে প্রচুর পরিমাণে চিনি বা গ্লুকোজ থাকে। তাই ফল খাওয়াও কমিয়ে দিতে হবে। ফলের মধ্যে বাদ দিতে হবে কলা, আপেল, কমলালেবু। এছাড়াও সজির মধ্যে বাদ থাকবে আলু। 


কিটো ডায়েটের উপকারিতা কি ? 

ওজন কমাতে এই ডায়েটের জুড়ি নেই। এছাড়াও ওজন কমতে শুরু করলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়। পিসিওএস, সুগার, স্থূলতা এসব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 


কিটো ডায়েটের অপকারিতা কি ? 

এই ডায়েট সবার জন্য নয়। এতে ধমনীর গায়ে ফ্যাট জমে। হার্ট ব্লক হয়ে যায়। তার থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কিটোজেনিক ডায়েট স্বল্প সময়ে ওজন কমানাের জন্য বেশ কার্যকরী হলেও এটি দীর্ঘ সময় ধরে অনুসরণ করা উচিত নয়। অনেকদিন ধরে এই খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে কিডনিতে পাথর, রক্তে প্রােটিনের আধিক্য, শরীরে খনিজ উপাদান ও ভিটামিনের অভাব এবং যকৃতে চর্বি জমতে পারে। এছাড়াও দীর্ঘমেয়াদি কিটো ডায়েটের কারণে ‘কিটো ফু’ নামক এক বিশেষ রােগ হয়। ক্লান্তি, অনিদ্রা, বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য হবে, মাথা ঘােরার মতাে সমস্যা দেখা দেবে। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে ও ইনসুলিনের উপর নির্ভর করতে হয়, কিডনির রােগ, ইটিং ডিজঅর্ডার রয়েছে তাদের জন্যও কিটো ডায়েট উপযুক্ত নয়। তাই নিজ উদ্যোগে এ ডায়েট শুরু না করাই ভালাে। এটি শুরুর আগে নিজের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অথবা একজন ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে আলােচনা করা উচিত। 

কিটো ডায়েট ডেকে আনতে পারে ফ্যাটি লিভার। হাইপো পােপ্রােটেনিয়া হতে পারে। ডেনসিটি লাইপােপ্রােটিন কোলেস্টেরল বাড়ায়। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়, টাইপ টু ডায়াবেটিস হয় কিটো ডায়েটের ফলে কিটোসিস হতে পারে। আমাদের মস্তিষ্ক গ্লুকোজকে অনুসরণ করে। গ্লুকোজ না পেলে ব্রেন স্টোক পর্যন্ত হতে পারে। একে বলে কিটোসিস। সম্প্রতি কিটো ডায়েটের বলি হয়েছেন এক বাঙালি অভিনেত্রী। বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিডনির অসুখ নিয়ে ভর্তি হন তিনি। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ডায়েটে মাসলের শক্তিক্ষয় হয়। যার প্রভাব সরাসরি পড়ে হার্টে। প্রচুর ফ্যাট হার্টে ট্রাইগ্লিসারিন জমায়, ফলে হৃদযন্ত্র ব্লক,ইসকেমিয়ার মতাে রােগে মৃত্যু হতে পারে। কিটো ডায়েট এক সপ্তাহ থেকে এক মাস পর্যন্ত মেনে চলা যায়। কিন্তু দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে কিটো ডায়েট কখনওই কাম্য নয়। শরীরের শক্তি আসে ক্যালােরি থেকে। হঠাৎ কম ক্যালােরি খেলে শরীরের পেশির উপর প্রভাব পড়ে। পেশির শক্তি ক্ষয় হয়। শুধু তাই নয়, দেহে সঠিক মাত্রায় ভিটামিন আর মিনারেলের অভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। চুল পড়ে যায়।

কিটো ডায়েটে ঘি খাওয়া যাবে ? 

ঘি অল্প খাওয়া যেতে পারে কারণ ঘি-তে থাকা কোলেস্টেরল পুরুষদের টেস্টোটেরন হরমােন নিয়ন্ত্রণ করে, পিত্ত থলির কার্যকরিতা বাড়ায়। কিন্তু অতিরিক্ত কোলেস্টেরল হিমােগ্লোবিন বাড়ায়, শরীরে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বাড়ায়। এগুলি সবকটিই অতিরিক্ত ভালাে নয়। যাঁরা খেলােয়াড় তাঁরা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন। তবে কোনও পুষ্টি বিশেষজ্ঞই অনেকদিন কিটো ডায়েট চালাতে বলবেন না। তিনি রােগীর রক্ত পরীক্ষা করে শরীরের প্রয়ােজন অনুযায়ী ফ্যাট গ্রহণের মাত্রা ঠিক করে দেবেন। তবে সাবধান! অতিরিক্ত যে কোনও কিছুই কিন্তু ক্ষতিকর। তাই ওজন কমানাের চক্করে বেশি বেশি ঘি খেলেই কিন্তু বিপদে পড়তে হতে পারে। রােজ ঘি খেতেই পারেন। কিন্তু সামান্য পরিমাণে। ঘি দিয়ে যদি দেহের ওজন কমাতে হয়, তাহলে। ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিন। সঠিক ডায়েট আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।


পরিশেষে বলা যায় যে, বাঙালির খাদ্যাভ্যাস আর কিটো ডায়েটের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। চাল-ডাল ও আটাময়দা মিলিয়ে আমরা দৈনিক প্রচুর কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করি। কাজেই কিটো ডায়েট শতভাগ অনুসরণ করা অনেক কষ্টকর একটা ব্যাপার। তাই এই খাবারগুলাে একেবারে পরিত্যাগ না করে বরং তার পরিমাণ কমিয়ে আনা উচিত। তাছাড়া আমরা যেভাবে অতিরিক্ত তেল দিয়ে মাছ-মাংস রান্না করি, তাও খুব স্বাস্থ্যকর নয়। কাজেই সবকিছুর মাঝে ভারসাম্য রেখে পুষ্টিবিদদের সহায়তায় একটি ডায়েট চার্ট তৈরি করে তবেই ওজন কমানাের মতাে প্রক্রিয়ায় নামুন।


এক সপ্তাহে ৩ কেজি ওজন কমাতে চান ? জেনে নিন কিটো ডায়েট কি ? এই ডায়েটে কি খাবেন , কি খাবেন না ? কি উপকার ? কি ক্ষতি ? - Keto Diet in Bengali এক সপ্তাহে ৩ কেজি ওজন কমাতে চান ? জেনে নিন কিটো ডায়েট কি ? এই ডায়েটে কি খাবেন , কি খাবেন না ? কি উপকার ? কি ক্ষতি ?  - Keto Diet in Bengali Reviewed by Wisdom Apps on October 06, 2021 Rating: 5

চুল নিয়ে মানুষের ১২টি ভ্রান্ত ধারনা - পাকা চুল তুললে কি বেড়ে যায় ? ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয় ?

August 03, 2021

 চুল তাে শুধু নারীর অহঙ্কার নয়, তার দুর্বলতাও। শুধু নারী কেন, পুরুষদেরও চুল নিয়ে আদিখ্যেতা কম নয়। এক মাথা চুল আজীবন মাথা ভরে থাকুক, শুধু থাকুক নয়, ঘন কালাে হয়ে থাকুক, এই প্রার্থনা মনে মনে সবারই। তাই আমাদের এই কেশরাশি নিয়ে নানা চেষ্টা, যার অধিকাংশই অপচেষ্টা।


ভুল ধারনা একঃ   বারবার ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয় 

অনেক মায়েরাই ফি-বছর তাদের শিশুর মস্তক মুণ্ডন করিয়ে দেন, বিশেষ করে গরমকালে। এতে নাকি মাথা উর্বর হয়, চুলের গােড়া শক্ত হয়, ভালাে চুল গজায়, মাথায় গরম কম লাগে। বলা বাহুল্য সবকটি ধারণাই ভুল। চুল তাে আমাদের দেহত্বকেরই অংশবিশেষ। ছড়িয়ে থাকে প্রায় সারা দেহ জুড়েই। ত্বকের নীচে থাকে কেশকুপ বা হেয়ার ফলিকল এর মধ্যেই থাকে চুলের মূল বা রুট। চুলের কাণ্ড বা শ্যাফট থাকে কিউটিকল আর ভিতরে কর্টেক্স। হেয়ার ফলিকলের নীচে থাকে বাইরে, যেটি আমরা দেখতে পাই। মাথার চুলের দুটি আবরণ। বাইরে হেয়ার ম্যাট্রিক্স, যাতে থাকে নানা সজীব কোষ। এরাই চুলের বৃদ্ধি,পরিমাণ, রং ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে। চুলের পুষ্টি আসে ত্বকের পুষ্টি থেকে, যেহেতু চুল ত্বকেরই অংশ। কাজেই দেহের পুষ্টিই হল চুলের পুষ্টি। বারেবারে মাথা ন্যাড়া করলে চুলের গােড়ায় অর্থাৎ কেশকুপ বা হেয়ার ফলিকলে ক্ষুরের চোট লেগে ক্ষতি হতে পারে। ফলে চুল আর আগের মতাে নাও হতে পারে। অকালে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। কাজেই বারে বারে মাথা কামালে ফল হতে পারে উল্টো, এ যেন শিৰ গড়তে বাঁদর। মাথায় চোট-আঘাত লাগলে মাথা ন্যাড়া করে সেলাই করতে প্রয়ােজন হতে পারে। নানা ধরনের চর্মরােগেও মাথা ন্যাড়া করে চিকিৎসার প্রয়ােজন হতে পারে। তাছাড়া, আন-স্টেরিলাইজড ক্ষুর বা ব্লেড থেকে এডস্-এর মতাে ভয়ঙ্কর সংক্রমণও হতে পারে। 


ভুল ধারনা দুইঃ  প্রােটিন-ভিটামিন যুক্ত শ্যাম্পু ভালাে

প্রথমেই জেনে নিই কী কী উপাদান থাকে শ্যাম্পুতে থাকে নানা ধরনের ডিটারজেন্ট, ফোমিং এজেন্ট, থিকেনার্স, ওপাসিফায়ার্স সফটনার, সিকোয়েসরি এজেন্ট, স্পেশাল কেয়ার প্রােডাক্টস,কলারিং এজেন্ট, প্রিজারভেটিভস এবং ফ্লেমিং এজেন্ট। অনেক কোম্পানি আবার প্রােটিন ও নানা ধরনের ভিটামিন মেশান শ্যাম্পুতে, কেউ আবার ভেষজ নির্যাসও মেশান। বলাই বাহুল্য চুলের পুষ্টিতে এদের কোনও ভূমিকা নেই। চুলের পুষ্টি আসে দেহের পুষ্টি থেকে। আর চুল তাে দেহত্বকেরই অংশ। এটাসেটা মেখে চুলে জেল্লা বাড়লেও, চুলের পুষ্টি বাড়ে না। শ্যাম্পুর এক এবং একমাত্র কাজ হল চুলকে পরিষ্কার রাখা, আর কিছু নয়। শ্যাম্পুতে ডিটারজেন্ট রূপে থাকে সােডিয়াম ডােডাসাইল সালফেট, ল্যারিল সালফেট-সহ পেট্রোলিয়াম থেকে সংশ্লেষিত  রাসায়নিক পদার্থ। অনেকের এগুলাে থেকে মাথার ত্বকে অ্যালার্জিও হতে পারে।


ভুল ধারনা তিনঃ শ্যাম্পুর চেয়ে রিঠে ভেজানাে জল ভালাে

ছােটবেলায় মা-ঠাকুমাকে দেখেছি গরমকালে রিঠে সেদ্ধ করে তার নির্যাসযুক্ত জলে মাথা ঘষতে। তখন শ্যাম্পুর এত জনপ্রিয়তা ছিল না। সময় পাল্টেছে। চটজলদির যুগ। পানের দোকানেও এখন শ্যাম্পুর পাউচ পাওয়া যায়। খােল আর জলে গুলে মাথায় ঢালে। বাজার থেকে রিঠে কেন, তাকে জলে ফোটাও এসব হ্যাপা এখন কারওই পােষায় না। দুটোর কাজই তাে চুল পরিষ্কার করা। শ্যাম্পুতে চুল আরও বেশি পরিষ্কার হয়। সময় লাগে কম, জ্বালানির খরচও নেই। তবে যাঁদের শ্যাম্পুর রাসায়নিক থেকে মাথার ত্বকে অ্যালার্জি হয়, তাঁরা রিঠা ব্যবহার করতেই পারেন।


ভুল ধারনা চারঃ ডগা ফাটলে চুল ছােট করে কাটা উচিত

ছােট করে ফেলা যেতে পারে, কিন্তু তাতে তাে আর চুলের ডগা ফাটা বন্ধ হবে না। কারণটা খুঁজে বার করতে হবে। প্রয়ােজনে ত্বক বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিতে হবে। অনেকের ধারণা বারে বারে চুলের নীচের অংশ কেটে ফেললে, চুলের বাড় ভালাে হয়। এটিও বাক্তে হচ্ছে। এতে চুলের শেপ দর্শনধারী হতে পারে, কিন্তু চুল বাড়ে না। ত্রিশ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিদিন আমাদের চুল এমনিই বাড়ে ০.৫ মিলিমিটার করে। চল্লিশের ঘরে পা দেওয়ার পর এই বৃদ্ধি ধীরে ধীরে কমতে থাকে।


ভুল ধারনা পাঁচঃ  পাকা চুল তুললে আরও চুল পেকে যায়

এটা কথার কথা, সত্যি কথা নয়। চুল পাকতে পারে নানা কারণেই। একটা বয়সের পর যেমন চুল পড়তে শুরু করে, তেমনি পাকতেও শুরু করে। এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। ব্যক্তিবিশেষে এগুলাে কারও আগে হয় অর্থাৎ কম বয়সে, কারও বেশি বয়সে। এর পেছনে বংশগত কারণ অর্থাৎ জেনেটিক ফ্যাক্টর, মানসিক দুশ্চিন্তা, পরিবেশ দূষণ, বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসহ অনেক ফ্যাক্টরই রয়েছে। কিন্তু পেট গরম হলে বা লিভার খারাপ হলে কিন্তু চুল পাকেও না, পড়েও না। চল দু-চারটে পাকলে অনেকেই সন্না দিয়ে গােড়া থেকে তাকে সমূলে উৎপাটন করেন, বেশি পাকলে কলপ লাগাতে হয়। কিন্তু পাকা চুল তুললে তার আশপাশের চুল পেকে যায়, এটা ছেলে ভােলানাে গল্প ছাড়া কিছু নয়।


ভুল ধারনা ছয়ঃ জোরে আঁচড়ালে চুল ভালাে থাকে

চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে চুলের গােড়ায় কেশকুপে রক্ত সঞ্চালন কিছুটা বাড়ে। কিন্তু বারে বারে এবং জোরে জ্বেরে করলে চুলের কাণ্ড স্ট্রোকস আ ডে’ চুলের পক্ষে কখনওই ভালো নয়। চিরুনি বা ব্রাশ। যাই ব্যবহার করুন না কেন, তার দাঁতগুলাে হবে মােটা, দাঁতগুলাের মধ্যে যেন ফাঁক থাকে। স্টিলের দাঁতওয়াল চিরুনি কখনও ব্যবহার করবেন না। বারে বারে উল্টে চুল আঁচড়ালে ব্যাক ব্রাশিং বা কুম্বিং) চুলের ক্ষতি হয়। নিজের চিরুনি সব সময় আলাদা রাখুন, অন্যেরটা ব্যবহার করবেন না, চিরুনি নিয়মিত পরিষ্কার রাখবেন। 


ভুল ধারনা সাতঃ খুশকি থেকে চুল পড়ে যায়। 

সরাসরি খুশকির কারণে কারও চুল পড়ে না। পড়ে খুশকি থেকে চুলের গােড়ায় বা মাথার ত্বকে সংক্রমণ হলে। খুশকি কোনও রােগ বা রােগের লক্ষণ নয়। আমাদের ত্বকের একেবারে ওপরের করনিয়াল স্তর বা হরনি স্তরের মৃত কোষগুলাে অনবরত ঝরে যায়। আবার নতুন কোষ তৈরি শুরু হয় ত্বকের এপিডারমিসের একেবারে নীচের বেসাল স্তর থেকে। এই নতুন কোষ একটু একটু করে ওপরের দিকে ওঠে এদের বলে প্ৰিকল স্তর, আরও ওপরে উঠলে বলে গ্রানুলার স্তর। একদম ওপরের যে করনিয়াল স্তর, তার মৃত কোষগুলাে। মানের সময়, গামছা বা তােয়ালে দিয়ে মাথা মােছার সময় আমাদের অজান্তে এমনি উঠে আসে। এটাই হল খুশকি বা পিটিরিয়াসিস ক্যাপিটিস। মাথার ঘাম বা তেলে ময়লা আটকে গেলে অনেক সময় । খুশকিও 'তাতে আটকে যায়, মাথা ছেড়ে বাইরে যেতে পারে না । এতে জীবাণু সংক্রমণ হলে দেখা দেয় সেবােরিক ডার্মাটাইটিস। এই রােগে চুল পড়তে পারে। শুধু খুশকির কারণে কারও চুল পড়ে না। অতিরিক্ত খুশকি তাড়াতে মাথায় তেল দেওয়া বন্ধ রাখুন, অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুলের গােড়া পরিষ্কার রাখুন সপ্তাহে অন্তত তিন দিন। প্রয়ােজনে স্কিন স্পেশালিস্টের পরামর্শ নিন।


ভুল ধারনা আটঃ রােজ শ্যাম্পু করলে চুলের ক্ষতি হয়।

সপ্তাহে ক’দিন শ্যাম্পু করবেন? এটা নির্ভর করে ব্যক্তিবিশেষের ওপর। পরিবেশের উপর। এর সঙ্গে চুলের ক্ষতির কোনও সম্পর্ক নেই। জীবিকার প্রয়ােজনে যাঁদের রোজই বাইরে ঘােরাঘুরি করতে হয়, তাঁদের রােজই শ্যাম্পু করার প্রয়ােজন হতে পারে, ছুটির দিন। তৈলাক্ত চুল, তাঁদের চুলে ময়লা আটকায় তাড়াতাড়ি, শ্যাম্পুও বাদ দিয়ে। অন্যদের সপ্তাহে দু-তিন দিনই যথেষ্ট। আবার যাঁদের করতে হয় বারবার। আবার দূষণমুক্ত পরিবেশে যাঁরা থাকেন, তাঁদের সপ্তাহে একদিন শ্যাম্পু করলেই চলে। 


ভুল ধারনা নয়ঃ ব্লোয়ার দিয়ে চুল শুকনাে ভালাে

এ নিয়ে মহিলাদের ভীষণ বিব্রত হতে হয়। ভেজা চুলে মাথা ধরে, আচড়াতে অসুবিধা হয়, কারও বা চুলে জট হয়। এজন্য শুকনাে গামছা বা তােয়ালে দিয়ে বারে বারে চুল মুছে খােলা হাওয়ায় শুকিয়ে নেবেন। তাড়া থাকলে তবে ব্লোয়ার ব্যবহার করবেন। ব্লোয়ারের গরম হাওয়া যেমন দ্রুত চুল শুকিয়ে দেয়, তেমনি বেশি ব্যবহারে চুলের ক্ষতি করে। মাথার চুলের অন্তত ৬ ইঞ্চি দূরে ব্লোয়ার রাখবেন। এছাড়াও বেশি রােলার ব্যবহার করলে, খুব টাইট করে চুল বধিলে, টাইট রবার ব্যান্ড এবং ক্যাপ ব্যবহার করলেও চুলের ক্ষতি হয়। সােজা চুলকে কোঁকড়ানাে করবার জন্য অনেকেই পার্লারে যান পার্মিং করাতে ,বেশি পার্মিং কিন্তু চুলের ক্ষতি করে। 


ভুল ধারনা দশঃ পেঁয়াজ, ডিম, লেবু লাগানাে ভালাে

এগুলাের সঙ্গে চুলের ভালাে-মন্দের কোনও সম্পর্ক নেই। আগেই বলেছি চুল আমাদের দেহত্বকেরই অংশবিশেষ, দেহত্বকের মরা কোষ! এটা-সেটা মেখে তার ভালাে-মন্দ কিছুই হয় না। বরং ডিম-লেবু খেলে শরীরে পুষ্টি মেলে, সেই পুষ্টি চুলও পায়। ডিমে থাকে প্রথম শ্রেণীর প্রােটিন ও দেহের জন্য প্রয়ােজনীয় সবকটি অ্যামাইনাে অ্যাসিড, লেবুতে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। 


ভুল ধারনা এগারোঃ তেলে চুল তাজা! 

এটি প্রচলিত একটি কথা। তবে পুরােপুরি সত্যি নয়। শুধু তেল কেন, আলাদা করে কোনও কিছু মেখেই চুলের পুষ্টি বাড়ে না, চুল পড়া ও চুল পাকা। বন্ধ হয় না। তবে তেল মাখতে গিয়ে চুলের গােড়ায় যে মাসাজ হয় সেটা অবশ্যই উপকারী। এতে চুলের গােড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। তেলের বদলে ক্রিম দিয়েও এই কাজটি করা যেতে পারে। তবে যাদের চুল রুক্ষ তারা সপ্তাহে দু-তিনদিন অল্প তেল বা ক্রিম লাগাতেই পারেন। বেশি তেল দিলে চুলে বেশি করে ময়লা আটকাবে, কেশকূপ বন্ধ হয়ে বিপত্তি ঘটাবে। মাথার ত্বকের সিবেসিয়াস গ্ল্যান্ড থেকে নিঃসৃত তৈলাক্ত ‘সিবাম’ চুলকে তেলতেলে রাখে। 


ভুল ধারনা বারোঃ বার বার শেভ করলে চুল গজায়

অনেকে এটা বিশ্বাস করেন, 'তাই বারে বারে শেভ করেন কম চুলের জায়গায়। বলাবাহুল্য এই ধারণার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। শেভ করলে চুলের কাণ্ড, যা কিনা একটি মৃত প্রােটিনের সুতাে মাত্র, সেটাই কাটা পড়ে। চুলের গােড়া বা হেয়ার ফলিকলের কোনও পরিবর্তন হয় না । কাজেই এটিকেও ভ্রান্ত ধারনা বলা চলে ।

চুল নিয়ে মানুষের ১২টি ভ্রান্ত ধারনা - পাকা চুল তুললে কি বেড়ে যায় ? ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয় ? চুল নিয়ে মানুষের ১২টি ভ্রান্ত ধারনা - পাকা চুল তুললে কি বেড়ে যায় ? ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয় ? Reviewed by Wisdom Apps on August 03, 2021 Rating: 5

প্রতিদিন এই ১ টি ব্যায়াম করলেই আপনি থাকবেন চির নিরোগ

May 22, 2021

শরীরকে পূর্ণ সুস্থ রাখতে হলে মানসিক স্বাস্থ্যও ভালাে রাখা দরকার। তাই এমন কিছু যােগাসনের কথা আলোচনা করা হলো যাতে শরীর ও মন দুই ভালাে থাকে । শরীরকে সুস্থ রাখতে কার্ডিও ভাসকুলার, নারভাস ও মাসকুলার ব্যায়াম যেমন জরুরি তেমন মনকে সুস্থ রাখতে চাই ধ্যান ও প্রাণায়াম। অল্প বয়স থেকে রােজ সকালে যদি সূর্যনমস্কার আসনটি অভ্যাস করা যায়, তাহলে ওই একটা ব্যায়ামের মাধ্যমেই শরীরের সার্বিক দেখভাল করা সম্ভব। এই আসনটি প্রথমে পাঁচবার অভ্যাস করতে হবে এবং ক্রমশ বাড়িয়ে দশবার পর্যন্ত অভ্যাস করলে শরীর নীরােগ ও সুস্থ থাকবে। শরীরকে সতেজ রাখার জন্য এছাড়াও ব্যাক বেন্ডিং, স্ট্রেচিং, টো টাচিংয়ের মতাে কিছু আসন অভ্যাস করা যেতেই পারে। ব্যাক বেন্ডিংয়ের জন্য ধনুরাসন, নৌকাসন অভ্যাস করা ভালাে। ফরওয়ার্ড বেন্ডিংয়ের ক্ষেত্রে পদহস্তাসন, জানুশিরাসন গােছের আসন অনবদ্য। কিন্তু বয়স অনুযায়ী যেমন আসন শরীর ও মনকে চাঙ্গা রাখে তার কয়েকটি প্রকার পদ্ধতি জেনে নেওয়া জরুরি।

৫ থেকে ১২ বছরের বাচ্চাদের জন্য: 


এই বয়সে বাচ্চারা একটু চঞ্চল থাকে। কোনও কিছুতেই সহজে মন দিতে পারে না। তাই এই বয়সে শরীর ও মন সচল রাখতে চাই বৃক্ষাসন। পাশাপাশি ধনুরাসন ও শশঙ্গাসনও উপকারী। 

বৃক্ষাসন: একপায়ে দাঁড়িয়ে মেরুদণ্ড সােজা রেখে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। হাত দুটো জোর করে সামনে চিবুকের সঙ্গে লগিয়ে রাখতে হবে নমস্কার করার ভঙ্গিতে। এইভাবে মনে মনে দশ গুনতে হবে। পরে তা বাড়িয়ে তিরিশ পর্যন্ত গুনতে হবে। এই ব্যায়ামে মনঃসংযােগ ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।


১৩ থেকে ২৫ বছর বয়সের জন্য: 



এই বয়সে শরীরে হঠাৎ অনিয়ম শুরু হয়। তাই এই সময় ডাইজেস্টিভ এফিশিয়েন্সি বা হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তােলা দরকার। এই বয়সের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযােগী আসন ধনুরাসন। পাশাপাশি জানুশিরাসনও অভ্যাস করা ভালাে। 

ধনুরাসন: উপুড় হয়ে শুয়ে পা দুটি হাঁটুর কাছ থেকে ভাঁজ করে গােড়ালি দুটো জোড়াভাবে নিতম্বের কাছে নিয়ে আসতে হবে। এরপর দু’হাত দিয়ে পায়ের গােছদুটো ধরে ঊরু থেকে মাটির ওপরে তুলে ফেলতে হবে। একইভাবে মাথা থেকে বুকও মাটি থেকে তুলে ফেলতে হবে। এমনভাবে তা করতে হবে যাতে শুধু পেট মাটিতে ঠেকে থাকে। এইভাবে মনে মনে দশ গুনতে হবে। পরে তা বাড়িয়ে তিরিশ পর্যন্ত গুনতে হবে। এই ব্যায়াম নিয়ম করে অভ্যাস করলে হজম ক্ষমতা ভালাে হয়।


২৫ থেকে ৫০ বছর বয়সের জন্য: 

এই বয়সে শরীর ক্রমশ ভাঙতে থাকে। ৪০ বছরের পর বিশেষভাবে শরীরের যত্ন নেওয়া দরকার। অনেক সময় শরীরের সঠিক চালনার অভাবে শরীর স্টিফ হয়ে যায়। তাই এই বয়সে এমন আসন অভ্যাস করা উচিত যাতে শরীর সচল থাকে। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযােগ্য শলভাসন। এছাড়া অর্ধকূর্মাসন, কপালভাতি ও উৎকটাসনও এই বয়সের জন্য উপযুক্ত। 

শলভাসন: উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটো শরীরে দু’পাশে সােজা করে রেখে হাতের তালু উড়র নীচে রাখুন। থুতনিটা যেন মাটির সঙ্গে ঠেকে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এরপর প্রথমে ডান পা উড় থেকে ওপর দিকে সােজা করে তুলে দশ গুনুন। তারপর একই উপায়ে বাঁ পা তুলুন। এইভাবে দুটি পা তিনবার করে তুলন। এবং প্রতিবারই দশ পর্যন্ত গুনুন। তারপর একত্সঙ্গে দুটি পা তুলে প্রথমে দশ ও পরে তা বাড়িয়ে তিরিশ পর্যন্ত গুনুন। শলভাসন নিয়ম করে অভ্যাস করলে বাত জাতীয় ব্যথা কমে আর স্নায়বিক দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়। 


৫০ থেকে ৮০ বছরের জন্য: 



এই সময় হঠাৎ করেই শরীরটা বুড়িয়ে যায়। তাই এই বয়সে নিয়মমাফিক যােগাসনের অভ্যাস খুবই জরুরি। নানা রকম রােগ এই বয়সে দেহে বাসা বাঁধে তাই শরীরের সার্বিক উন্নতির জন্য ব্যয়াম করা দরকার। ভুজঙ্গাসন এই বয়সের জন্য খুবই উপযােগী আসন। এছাড়াও অর্ধশলভাসন ও অর্ধকুর্মাসনও অভ্যাস করতে পারেন। 

ভুজঙ্গাসন: উপুড় হয়ে শুয়ে হাতের তালু বুকের দু’পাশে মাটিতে সােজা করে পেতে রাখুন। হাতের কনুই যেন গায়ের সঙ্গে লেগে থাকে। পা দুটো সােজা করে পায়ের পাতা মাটির সঙ্গে ঠেকিয়ে রাখুন। এই অবস্থায় শরীরে উপরের ভাগ ক্রমশ মাটি থেকে তুলতে থাকুন।এমনভাবে যাতে পেট পর্যন্ত মাটিতে ঠেকে থাকে কিন্তু বুক ও মাথা উপরে থাকে। এইভাবে প্রথমে দশ ও পরে বাড়িয়ে তিরিশ পর্যন্ত গুনুন। এই আসনটি মহিলাদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এতে মানসিক শান্তি আসে। তাছাড়া গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।




প্রতিদিন এই ১ টি ব্যায়াম করলেই আপনি থাকবেন চির নিরোগ প্রতিদিন এই ১ টি ব্যায়াম করলেই আপনি থাকবেন চির নিরোগ Reviewed by Wisdom Apps on May 22, 2021 Rating: 5

সাতটি ইমিউনিটি বুস্টার ফুড - 7 Best immunity booster food

May 16, 2021


ইমিউনিটিকে শক্তিশালী করার জন্য দরকার খাদ্যে সঠিক পরিমান প্রোটিন , ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ । বেশিরভাগ শাকসবজী ও ফলমূলে অল্প বিভিন্ন খাদ্যগুন থাকেই । এমন কোনো ফল বা শাক সবজী নেই যা মানুষের শরীরে বিপজ্জনক কোনো রোগ সৃষ্টি করে । কিন্ত এমন কিছু ফল , শাক ও সব্জি আছে যাদের মধ্যে কিছু অসাধারন গুন থাকায়  ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে - এদের এক কথায় সুপার ফুড বলা চলে । এরা শুধু ইমিউনিটিই বারায় না , শরীরের পুস্টি বজায় রাখতে এবং বিভিন্ন জটিল রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে । এমনই ১০টি সুপার ফুডের তালিকা দেওয়া হলো । এগুলো ভারতের বাজারে সহজ লভ্য । 


১। কাঁচা ও পাকা পেপে : 

পেঁপেতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফোলেট থাকে, এগুলি সমস্তই আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। একজন পরিনত বয়স্ক মানুষের একদিনে যে পরিমান ভিটামিন C  প্রয়োজন তার দ্বিগুন পরিমান ভিটামিন C একটা মিডিয়াম সাইজের পেঁপেতে থাকে । আর পেঁপের বিখ্যাত এনজাইম প্যাপাইনকে কে না চেনে , এই এঞ্জাইমের কারনেই বদহজমের সহ পেটের বহু সমস্যার মোক্ষম জবাব কাঁচা পেঁপে ।


২। ক্যাপসিকাম বা মিস্টি লঙ্কা 

সাধারনত আমরা মনে করি টক জাতীয় ফলেই ভিটামিন  C বেশী থাকে । কিন্ত টক জাতীয় ফলের থেকে অনেক বেশী ভিটামিন  C পাওয়া যায় ক্যাপসিকামে । তবে লাল রঙের ক্যাপসিকামে ভিটামিন  C এর পরিমান সবথেকে বেশি । যেখানে একটি ভালো মানের কমলালেবুতে ৪৫মিলিগ্রাম পর্যন্ত ভিটামিন  C থাকতে পারে সেখানে একই ওজনের ক্যাপসিকামে ১২৭ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ভিটামিন  C-এর উপস্থিতি দেখা গেছে । এছাড়াও এগুলি বিটা ক্যারোটিনের একটি সমৃদ্ধ উত্স। কাজেই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্যাপসিকাম একটি সুপার ফুড তা নিঃসন্দেহে বলা চলে । 


৩। রসুন 

রসুন বিশ্বের প্রায় প্রতিটি রান্নাঘরে পাওয়া যায়। এটি খাবারে খানিকটা জিঙ্ক যুক্ত করে যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য আবশ্যক। সভ্যতার গোড়ার দিকে সংক্রমন যোগ্য ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিরুদ্ধে রসুনের ব্যাবহার পাওয়া যায় । রসুন ধমনীর মধ্যে দিয়ে রক্ত প্রবাহ সতেজ রাখে এবং রক্তচাপকে হ্রাস করতে সহায়তা করে। রসুনে থাকে অ্যালিসিন , এই অ্যালিসিন হল একধরনের সালফার যুক্ত যৌগ । এই অ্যালিসিনের জন্যেই রসুন রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিষণ ভাবে কার্যকারী । 


৪। আদা 

বলা হয় " রসুন আর আদা , যেন ভাই আর দাদা " একে ছাড়া অন্যের চলে না । মানব শরীরে রসুনের মতোই আদার গুন অপরিসীম । আদা প্রদাহ হ্রাস করতে সাহায্য করতে পারে । গলার ব্যাথা এবং প্রদাহজনিত অসুস্থতা কমাতে সহায়তা করে।  আদা বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। আদা ক্রনিক পেইন হ্রাস করতে পারে এবং এমনকি কোলেস্টেরল-হ্রাস করার বৈশিষ্ট্য এতে আছে । কাজেই রসুন ও আদাকে সুপার ডুপার ফুড বলা চলে । 


৫। দই 

দই মানে কিন্ত নবদ্বীপের সুস্বাদু মিস্টি দইয়ের কথা বলা হচ্ছে না । কোনো প্রিসারভেটিভ , কালার ও চিনি ছাড়া বেসিক টক দইকেই সুপার ইমিউনিটি ফুডের খেতাব দেওয়া চলে । খাটি দুধের টক দই -এ থাকে ক্যালসিয়াম , পটাশিয়াম , ফসফরাস ও যথেষ্ট পরিমানে ভিটামিন D । দই-এ প্রোটিন থাকে অনেকটা । কাজেই দৈনিক ১০০ গ্রাম দই বিভিন্ন ভাবে শরীরের উপকার করে । কিছু গবেষণায় পাওয়া গেছে নিয়মিত দই খেলে কোরোনা রোগের সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক কমে যায় । 


৬। হলুদ 

বাঙালীদের কাছে হলুদের পরিচয় রকমারি রান্নায় আর বিয়ের আগে গায়ে হলুদে । বাঙালীর সংস্কৃতির সাথে জড়িত এই  হলুদের গুনও প্রচুর । কাঁচা হলুদের উজ্জ্বল হলুদ রঙের কারন এতে থাকা কারকিউমিন । এই কারকিউমিন ইমিউনিটি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । দুধের সাথে বা কাঁচা হলুদ খেলে  মানব শরীরে অনেক ধরনের ব্যাথা বেদনা নাশ হয় । কোরোনা মোকাবিলায় ইমিউনিটি বাড়াতে হলুদের জুড়ি মেলা ভার । তাই হলুদকে অন্যতম ইমিউনিটি বুস্টার বলা চলে । 


৭। ব্রকলি ও পালং শাক 

ব্রকলি বা গ্রাম্য ভাষায় সবুজ-ফুলকপি -তে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন A, C এবং E । আছে প্রচুর ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট । কাজেই ব্রকলিকে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সেরা সবজী বলা চলে । অবশ্য ব্রকলি সবজীর দিকে সেরা হলেও শাকের রাজা পালং শাক । পালং শাকে আছে প্রচুর ভিটামিন C , বিটা ক্যারোটিন , অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট । কাজেই কোরোনা সহ আরো অনেক মারন রোগ থেকে বাঁচতে , ইমিউনিটি মজবুত করতে সাপ্তাহিক মেনুতে অন্তত ২ দিন পালং শাক ও দু'দিন ব্রকলি রাখা দরকার । তবে বাঙালীরা তাদের রেসিপিতে সব শাক সবজীকেই ঘ্যাটে পরিনত করে ফেলে , এতে খাদ্যগুন নস্ট হয় । এটা না করে ভালো হয় সবজী ভাপিয়ে বা কম সেদ্ধ করে খেতে  । 


মোটামুটি এই ৭ সহজলভ্য খাবারের মাধ্যমে বাড়িয়ে ফেলুন ইমিউনিটি । আর লেখাটা ফেসবুকের মাধ্যমে শেয়ার করে অন্যদের জানবার সুযোগ করে দিন । 




সাতটি ইমিউনিটি বুস্টার ফুড - 7 Best immunity booster food সাতটি ইমিউনিটি বুস্টার ফুড - 7 Best immunity booster food Reviewed by Wisdom Apps on May 16, 2021 Rating: 5

অতিরিক্ত গ্যাস অম্বলের ওষুধ খান ? এর সাইড এফেক্ট কী ভয়ানক হতে পারে জানেন ?

May 16, 2021

 


রোজ অনেকে মুঠো মুঠো গ্যাস অম্বলের ওষুধ খান। অনেকে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ না করে নিজের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ইচ্ছামতো ওষুধ খান । আজকাল আবার অনেকে অনলাইন থেকে ওষুধের কার্যকারিতা দেখে নিয়ে নিজেই নিজের ডাক্তারি করা শুরু করে দেন । এর ফলাফল কী ভয়ানক হতে পারে আপনি ভাবতেও পারবেন না । অন্য রোগের কথা বাদ দিন , বাঙালীর আদরের "গ্যাস-অম্বল" রোগের ওষুধ সম্বন্ধেই কিছু আলোচনা করা যাক - 

এক্ষেত্রে দু'টি জিনিস মনে রাখতে হবে

  • বহু গ্যাস-অম্বলের রোগী রোজ সকালে একটা করে প্যান্টোপ্রোজল বা  ওমিপ্রোজল অথবা ল্যানসোপ্রোজল জাতীয় গুযুধ খান। এই ধরনের ওধুধ 'অ্যান্টাসিড' হিসাবেই খান। অথচ এগুলো একটাও অ্যান্টাসিড নয়। অ্যান্টাসিড তো শরীরে উৎপন্ন অতিরিক্ত অ্যাসিড নস্ট করে , কিন্ত এই ওষুধ গুলো শরীরে অ্যাসিড তৈরির সম্ভাবনাকেই নষ্ট করে দেয়। এটাই একটা বড় সমস্যা । কারন সব প্রানীর শরীরেই খাবার হজম ও অন্যান্য প্রয়োজনে নির্দিষ্ট পরিমান অ্যাসিডের প্রয়োজন । 


  • অ্যান্টাসিড সেগুলোই, যেগুলো শরীরে তৈরি হয়ে যাওয়া অ্যাসিড কমাতে পারে। কোনও রোগীর যদি কোনও ওষুধের প্রভাবে বা শারীরিক নানা সমস্যায় ঘন ঘন অ্যাসিডিটি হয়, তার সেই প্রবণতা কমাতে অনেক সময় এই প্যান্টোপ্রোজল, ওমিপ্রোজল, ল্যানসোপ্রোজল জাতীয় ওষুধ দিতেই হয়। অনেক সময় রোগী অনুযায়ী ডাক্তারবাবুরা নির্দিষ্ট কিছু গ্যাসের ওষুধকে কনটিনিউ করতে বলেন । সেটা সম্পূর্ণই নির্ভর করে রোগীর পরিস্থিতির উপর। দেখুন ভিন্ন রকমের খাবার খেলে অল্প বিস্তর গ্যাস অম্বল হতেই পারে কিন্ত বাঙালিরা যেহেতু সারাক্ষণ গ্যাস-অম্বল নিয়ে মাথা ঘামায়, তাই কিছু হতে না হতেই মুঠো মুঠো গ্যাসের ওষুধ খেয়ে ফেলে। অবশ্যই এর সুদূরপ্রসারী প্রভাবও পড়ে শরীরে। 


কেমন সে প্রভাব? 


প্রথমত, গ্যাস-অম্বলের কোনও ওষুধই এভাবে ওভার দ্য কাউন্টার প্রেসক্রিপশন ছাড়া কেনাবেচার আইন নেই। কিন্ত এদেশে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সেই কাজ সমানে চলছে।  শরীরের পক্ষে কোনটা প্রয়োজনীয়, কোনটা নয়, সেটা রোগী বুঝতে পারেন না। শরীরে সবসময় সবরকমের ওষুধ চলে না। একবার কোনও একটা ওষুধে গ্যাস-অম্বল কমেছিল বলে সবসময় সেটাই হবে, এমন ভাবলে কিন্তু আখেরে ক্ষতি রোগীরই। তাই আমরা সাজেস্ট করি গ্যাস-অম্বলের সমস্যা যদি নাছোরবন্দা হয় তবে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে তবেই উপযুক্ত ওষুধ খান । 


ভুল বা অতিরিক্ত গ্যাস-অম্বলের ওষুধ খেলে ঠিক কী ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়? 


একটি নির্দিষ্ট ওষুধে সকলের যে সমান  অ্যাডভার্স ড্রাগ রিয়্যাকশন হবে, এমন কিন্তু নয়। এক-একজনের শরীরে এক এক রকমের পার্শ্প্রতিক্রিয়া হয়। 

প্যান্টোপ্রাজল জাতীয় ওষুধ নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খেলে হাড় ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। বি-১২ ভিটামিনের অভাব দেখা দেয়। এই ধরনের ওষুধ দীর্ঘদিন ধরে খেলে অম্লের ভাগ অনেক বেড়ে যায়। এর ফলে রি-বাউন্ড অ্যাসিড তৈরি হয়। মানে, আসিড কমতে কমতে শরীরে ক্ষারের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীর নিজেই আবার পাল্টা আাসিড তৈরি করতে পারে। তখন প্রকৃত ভাবেই ঐ নির্দিষ্ট ওষুধ শরীরে কোনো কাজ করবে না বরং বিপরীত ক্রিয়া সৃষ্টি করবে  ।

আ্যালুমিনিয়াম যুক্ত অ্যান্টাসিড খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ে। ম্যাগনেশিয়াম যুক্ত অ্যান্টাসিড খেলে ডায়ারিয়া হয়। কিছু অ্যান্টাসিড আছে, যেগুলি রুটিনে থাকা অন্য ওষুধের কাজ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। 

  • মনে রাখবেন ওযুধ আছে যেগুলি চটজলদি কাজ করে। মাঝেমধ্যে খেলে অত অসুবিধা হয় না। কিন্ত বাতিকে পড়ে নিয়মিত খেলে শরীরে ক্ষার বেড়ে অ্যাসিড ক্ষারের ভারসাম্য নস্ট হয় যা আখেরে আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতিই করে । 
অতিরিক্ত গ্যাস অম্বলের ওষুধ খান ? এর সাইড এফেক্ট কী ভয়ানক হতে পারে জানেন ? অতিরিক্ত গ্যাস অম্বলের ওষুধ খান ? এর সাইড এফেক্ট কী ভয়ানক হতে পারে জানেন ? Reviewed by Wisdom Apps on May 16, 2021 Rating: 5

একজিমা থেকে ক্যান্সার - সারাতে পারে নিম - জেনে নিন মহৌষধি নিমের ১১টি বিশেষ গুন

May 08, 2021

 nimer_gunaboli




১) ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় নিমের ব্যবহার বহুল প্রচলিত। নিম ব্লাড সুগার কমায় তাই অন্য আ্যান্টি ডায়াবেটিক ওষুধের সঙ্গে নিম খেলে নিয়মিত ব্লাড সুগার লেভেল পরীক্ষা করানো দরকার। নিমের কাঁচা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা নিমপাতার রস ৩ থেকে-৫ এমএল মাত্রায় খেতে পারেন। 

. ২)🌿 চর্মরোগে নিমপাতা বেটে তার প্রলেপ লাগালে উপকার হয়। নিম ও চন্দনের প্রলেপ হিট র‍্যাশ ও ঘামাচির সমস্যা দূর করে। নিমের প্রলেপ অ্যাকনে বা ব্রণ প্রতিরোধ করে। একজিমা, সেরিয়াসিস এবং রিং ওয়ার্ম (দাদ) সারাতে নিম তেল ব্যবহার করা হয়। 

৩) নিমের অ্যান্টিএজিং গুণ আছে। ত্বকের দাগ ছোপ, জীবাণু সংক্রমণ দূর ফরতে নিম খুব ভালো কাজ দেয়। 

৪) 🌿ত্বকের মতোই চুলের জন্য নিম খুব উপকারী। মাথার স্ক্যাল্পে জীবাণু সংক্রমণ এবং ছত্রাক সংক্রমণ রোধ করতে হেয়ার ওয়াশের পর নিমপাতা ফোটানো জল লাগালে উপকার হয় । নিমপাতা বেটে প্রলেপ দিলে মাথায় উকুন হয় না । 

৫) নিমে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুন , ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকারী ।  নিম আ্যান্টিক্যান্সারাস। এটি টিউমারের কোষের বৃদ্ধি প্রতিহত করে ৷  প্যাংক্রিয়াস এবং ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে নিয়মিত নিমপাতা খেতে পারেন । এছাড়া কেমোথেরাপির ক্ষতিকারক প্রভাব রোধ করতেও নিমপাতা খাওয়াযায়। 

৬)🌿 অ্যাজমা এবং অ্যালার্জি প্রতিরোধ করতে নিমপাতা চুর্ণ খাওয়া ভালো। নিম অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করে। অ্যাজমা জনিত কাশি এবং শ্বাসনালীর প্রদাহ কমায়। অ্যাজমা রোগীর ঘরে সামান্য মাত্রায় নিমের পাতা ধোঁয়া দিয়ে জীবাণু মুক্ত রাখতে পারেন। তবে সেই সময় অবশ্যই রোগী যেন অন্যত্র থাকেন, সে দিকে লক্ষ রাখা দরকার। 

৭)  চরক সংহিতায় দাঁত ও মাড়ি ভালো রাখতে এবং বিভিন্ন মুখরোগ প্রতিরোধের জন্য নিমের দাঁতিন ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। নিমপাতা জলে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে মাউথ ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করলে ডেন্টাল প্লাক ও জিঞ্জিভাইটিস (মাড়ির অসুখ) হয় না। মুখ জীবাণুমুক্ত থাকে ।

৮) 🌿করোনারি আর্টারি ডিজিজ,  অ্যারিদমিয়া, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে নিম খুবই কার্যকর। নিম হার্টের রক্ত সঞ্চালনের হার বাড়ায় এবং হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য কৰে। 

৯) নিম অ্যান্টি ম্যালেরিয়াল গুণযুক্ত। ম্যালেরিয়া জ্বরে নিম পাতার ক্কাথ মধুসহ খাওয়ালে উপকার হয় । এছাড়া নিম ইন্সেক্ট রিপিল্যান্ট । তাই মশা আসতে পাড়ে না । 

১০)🌿 নিম আলসার এবং গ্যাস্ট্রাইটিস প্রতিরোধ করে । বমি , হাইপার অ্যাসিডিটি এবং পেটের সংক্রমন প্রতিরোধে নিম কার্যকারী ভেষজ । 

১১) নিম্বাদি বটি , নিম ক্কাথ বা নিমপাতা চূর্ণ খেলে কৃমি চিরতরে দূর হয় । 


আরো পড়ুনঃ হার্ট অ্যাটাক আটকাবেন কিভাবে ? 


টপিকঃ 

neem benefits , neem uses ,how to use neem leaves, neem oil, diseases cured by neem leaves, neem for skin, নিমপাতার গুন, নিমপাতা ,নিমের উপকারিতা

একজিমা থেকে ক্যান্সার - সারাতে পারে নিম - জেনে নিন মহৌষধি নিমের ১১টি বিশেষ গুন একজিমা থেকে ক্যান্সার - সারাতে পারে নিম - জেনে নিন মহৌষধি নিমের ১১টি বিশেষ গুন Reviewed by Wisdom Apps on May 08, 2021 Rating: 5

বাচ্চাদের ন্যাপী পড়ানো উচিৎ কি উচিৎ নয় ? কি বলছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা ?

May 07, 2021




কাঁথা কাপড় না ন্যাপী ? বাচ্চা জন্মানোর সাথে সাথেই মা , ঠাকুমার মনে এই প্রশ্ন ভিড় করে । আগেকার দিএর মানুষের মধ্যে সুতির কাঁথায় বাচ্চাকে শুয়িয়ে রাখার চল ছিল বেশি , প্রস্রাব করলে বারংবার কাঁথা বদল করে বাচ্চা পালন করার কষ্টের জন্য একটা আলাদাই গর্ব অনুভব করতেন মায়েরা । কিন্ত  এখন ছােটদের ন্যাপি পরানাের চল বহুগুণ বেড়েছে। তার কারণও খুব সময়োচিত ।  আসলে ন্যাপির মধ্যে অ্যাবসর্পটেন্স স্তর রয়েছে। এই স্তর তরল শোষণ করার ক্ষমতা রাখে। ফলে বাচ্চা প্রস্রাব করলে এই স্তরটি তা শোষণ করে নেয়। এর লাভ রয়েছে অনেকগুলি। 
প্রথমত, এর শুষে নেওয়ায় ফলে বারংবার বাচ্চার বিছানা বদলাতে হয় না। দ্বিতীয়ত, বাচ্চা প্রস্রাব করার পরও অনায়াসে ঘুমােতে বা খেলতে পারে। ইউরিন হয়েছে বলে বুঝতে পারে না। তৃতীয়ত, সাধারণ অবস্থায় বাচ্চা ইউরিন করলে বিছানা ও তার জামাকাপড় ভিজে যায়। এই ভিজে বিছানা এবং জামাকাপড় দ্রুত না বদলালে ছােট্ট সদস্যের ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা দেখা দেয়। ন্যাপি পরা থাকলে ইউরিন শুষে যায়। ফলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা কমে। চতুর্থত, ন্যাপি পরানাের সামাজিক দিকটি ভুললে চলবে না। রাস্তাঘাটে বেরিয়ে, কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে পৌঁছে বাচ্চা প্রস্রাব বা মলত্যাগ করে ফেলতেই পারে। এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে ন্যাপি পরানাে থাকলে দুই-চার ঘণ্টার জন্য অন্তত নিশ্চিন্তে থাকা যায়। আর বাচ্চা মলত্যাগ করলেও কিছুটা সময় হাতে পাওয়াই যায় ন্যাপি বদলে ফেলার 

তবে এহেন এক কাজের সামগ্রী নিয়েও অভিভাবক থেকে সাধারণ মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন। এবার সেই সকল প্রশ্নেরই উত্তর খুজে নেওয়া যাক- 

কতক্ষণ অন্তর ন্যাপী বদল করতে হবে?

বিভিন্ন ন্যাপি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি বলে একবার ইউরিন হওয়ার পরই ন্যাপি চেঞ্জ করতে। তবে এই নিয়ম মানতে গেলে বহু পরিবারের অর্থনীতি একেবার খাদের কিনারে এসে ঠেকবে। তাই একটু নমনীয় হতেই হবে। এক্ষেত্রে একবার ইউরিনের বদলে দুইবার ইউরিন করলে ন্যাপি বদলাতে হবে। ঘণ্টার হিসেবে মােটামুটি চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় বদলাতে হবে। আর হ্যাঁ, মল কিন্তু ন্যাপি শুষতে পারে না। ফলে একবার মলত্যাগ করলেই বদলাতে হবে ন্যাপি।

ন্যাপী কি সারাক্ষণ পরানাে উচিত?

একেবারেই না। রাতের বেলা, বাইরে কোথাও বেরলে ন্যাপি পরানাে যায়। কিন্তু দিনের বেলায় যতটা সম্ভব বাচ্চাকে স্বাভাবিক অবস্থায় রাখুন । 

কোন বয়স থেকে ন্যাপী পড়ানো উচিৎ ?

র‍্যাশ না বেরলে ১০ থেকে ১৫ দিনের বাচ্চাকেও অনায়াসে এক থেকে দুই ঘণ্টার জন্য ন্যাপি পরানাে যায়। 

কোন বয়স পর্যন্ত ন্যাপী পড়ানো উচিৎ ?

মােটামুটি বাচ্চার বয়স দুই বছর পেরনাের পরই ন্যাপি পরানাের অভ্যেস কমাতে হবে। 

ন্যাপি থেকে অ্যালার্জি হতে পারে কি ? 

সাধারণত ন্যাপি র‍্যাশ বলা হয়। তবে এই সমস্যাকে ঠিক র‍্যাশ বলা চলবে না। এটা ক্যানডিডা নামক ফাঙ্গাসের ইনফেকশন। ন্যাপি পরার সঙ্গে এই সমস্যার সরাসরি কোনও যােগ নেই। তবে এই সমস্যা হওয়ার সময় ন্যাপি পরলে অসুখ বাড়ে। এক্ষেত্রে কুঁচকি, কোমর, নিতম্বের মতাে জায়গা লাল হয়ে যায়। এই জায়গাটিতে ইউরিন। লাগলে ভীষণই জ্বালা অনুভূত হয়। বাচ্চা সর্বক্ষণই অস্বস্তি বােধ করে। এমন সমস্যা দেখা দিলে। চিকিৎসকের কাছে বাচ্চাকে আনতেই হবে। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে অ্যান্টিফাঙ্গাল মলম লাগানাের পরামর্শ দেওয়া হয়। কয়েকদিনের মধ্যেই সমস্যা কমে যায়। 

মনে রাখবেন, ইনফেকশনের সময় বাচ্চাকে কোনওভাবেই ন্যাপি পরানাে যাবে না। সংক্রমণ কমলে ফের পরানাে যায়।

ন্যাপি পরলে ঠান্ডা লাগতে পারে কি  ? 

এমনটা হওয়ার আশঙ্কা কম। কারণ ন্যাপি ইউরিন শুষে নেয়। কিন্তু চার-পাঁচ ঘণ্টা হয়ে যাওয়ার পর বা বাচ্চা দুই-তিনবার ইউরিন করে ফেলার পরও ন্যাপি না বদলালে ন্যাপি লিক করে। তখন বাচ্চার ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা তৈরি হয়।

ন্যাপী পরলে কি টয়লেট ট্রেনিং হয় না ?

ন্যাপি পরালে নাকি বাচ্চা ঠিক জায়গায়, ঠিক সময়ে মলত্যাগ করতে শেখে না, এই অভিযােগ রয়েছে।  আসলে সত্যিটা হল, দুই বছর বয়সের আগে কোনও বাচ্চাকে টুল ট্রেনিং করানাে উচিত নয়। এমনটা করলে তার কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। দুই বছরের পরই হবে স্টুল ট্রেনিং। সেক্ষেত্রে দুই বছরের পর ন্যাপি ব্যবহারও কমিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। ফলে ন্যাপির সঙ্গে টয়লেট ট্রেনিংকে জুড়ে দিলে চলবে না। তাই কোনও সমস্যা না থাকলে দুই বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাকে ন্যাপি পরাতেই পারেন। চিন্তার কিছুই নেই। 


বাচ্চাদের ন্যাপী পড়ানো উচিৎ কি উচিৎ নয় ? কি বলছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা ? বাচ্চাদের ন্যাপী পড়ানো উচিৎ কি উচিৎ নয় ? কি বলছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা ? Reviewed by Wisdom Apps on May 07, 2021 Rating: 5

ধুলোয় অ্যালার্জি চিরতরে সেরে যাবে এই ওষুধ খেলেই

March 01, 2021

অ্যালার্জি কি ? 

একজনের কাছে সমস্যাই নয় । একেবারে সাধারণ । এমন সমস্যাই যখন অন্য জনের কাছে শারীরিক অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাকে চিকিৎসা শাস্ত্রে অ্যালার্জি বলা হয় । 

উদাহরণ দেওয়া যাক, মোটামুটি প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে ডিম খাওয়ার চল রয়েছে । বেশিরভাগ মানুষ অনায়াসে এই সুখাদ্য হজম করতে পারে । কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ আবার ডিম খেলে শারীরিক অসুস্থতার প্রকাশ করেন।  হতে পারে পেটে ব্যথা ,গায়ে চাকা চাকা দাগ, চুলকানি ইত্যাদি সবগুলোই এলার্জির লক্ষণ । এক্ষেত্রে এলার্জির কারণ হলো ডিম অর্থাৎ আপনার সাধের ডিম । কারোর কাছে হয়ে উঠল ভিলেন ! 

এলার্জি আক্রান্তদের নির্দিষ্ট কিছু দ্রব্যে হাইপার সেনসিটিভিটি বা অতি স্পর্শকাতরতা থাকে।  নির্দিষ্ট খাদ্যদ্রব্য বা জিনিস শরীরে প্রবেশ করলে বা সংস্পর্শে এলে দেহের অভ্যন্তরীণ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অন্যতম উপাদান ইমিউনোগ্লোবিউলিন এর পরিমাণে তারতম্য ঘটে হলে শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দেয় । 



 কি থেকে অ্যালার্জি হয় ? 

মোটামুটি তিন ধরনের অবস্থায় এলার্জি হয় । 

১- কোন নির্দিষ্ট খাদ্যবস্তু গ্রহণ করলে ২- শ্বাসনালীতে কিছু প্রবেশ করলে ৩- নির্দিষ্ট কিছু সংস্পর্শে এলে । 

  • ডিম ,চিংড়ি, কাকড়া, বিভিন্ন ধরনের মাংস, বেগুন সহ বিভিন্ন খাদ্যে মানুষের এলার্জি থাকতে পারে 
  • ধুলো ,ধোয়া ,পোলেন  এবং সেন্টের গন্ধ ইত্যাদি নাকে ঢুকলে বাংলক্ষ্ভিদেও অ্যালার্জি হতে পারে।
  •   কিছু ওষুধ ইনজেকশন এবং টিকা থেকেও মানুষের অ্যালার্জি হতে পারে । 
কি কি লক্ষণ হয় ?
  •  নির্দিষ্ট কিছু খাওয়ার পর পেটে ব্যথা ,গায়ে চুলকানি হলে 
  •  ধুলো ধোয়া , পোষা প্রাণী প্রাণীর লোম বা তীব্র গন্ধের সংস্পর্শে আসার পরে হাঁচি হলে জ্বর জ্বর ভাব দেখা দিলে বা শ্বাসকষ্ট হলে 
  • নির্দিষ্ট কাপড় পড়লে ,কোন প্রসাধনী বা অন্যকিছু ত্বকের সংস্পর্শে আসার পর র‍্যাশ বেরোলে ,লাল হলে, চুলকানি ,শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি শুরু হলে  তা এলার্জির উপসর্গ । 
চিকিৎসা কি ? 
হোমিওপ্যাথিতে অ্যালার্জির দারুন চিকিৎসা রয়েছে । একেবারে গোড়া থেকে তুলে ফেলা সম্ভব। তবে চিকিৎসার প্রাথমিক পর্যায়ে অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী জিনিশগুলো এড়িয়ে চলতে হবে । হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নির্বাচনের সময় রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন দিক লক্ষ্য রাখতে হবে । হোমিওপ্যাথিতে মূলত দুই ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয় ।
এক, রোগীর তাৎক্ষণিক  সমস্যা নিবারক ওষুধ ,অর্থাৎ হাঁচি-কাশির হচ্ছে তা কমানোর ওষুধ । 
দুই,  কনস্টিটিউশনাল মেডিসিন । এক্ষেত্রে রোগটি নির্মূল করার ওষুধ ব্যবহার করা হয় । 

তাৎক্ষণিকভাবে এলার্জি সমস্যার কয়েকটি ওষুধ হল - 

১। হঠাৎ করে হাসি কাশি হচ্ছে র‍্যাশ বেরোল  ইত্যাদি লক্ষণে আর্সেনিক ওষুধটি দারুন কাজ করে 
২। রোদ লেগে আমবাতের মতো বেরোলে নাট্রাম মিউর  ওষুধটি ভালো কাজ দেয় 
৩। নাকে মুখে ধুলো ঢোকার পর প্রথমে সর্দি তারপর হাঁপানি শুরু হলে প্রথোস ওষুধ টি কার্যকারী ।
৪। এলার্জি থেকে নাক দিয়ে জলের মতো সর্দি গড়ালে সঙ্গে কাশি এবং জ্বর জ্বর ভাব বা জ্বর রয়েছে এইসব লক্ষণে ডালকামারা ভালো কাজ করে।
৫। এলার্জি থেকে হাঁচি হচ্ছে সঙ্গে জ্বর জ্বর ভাব গলা খুসখুস এবং নাক শুষ্ক থাকলে ব্রায়োনিয়া ওষুধটি খেলে উপকার মেলে ।
৬। খাবার খেয়ে আমবাত বা অ্যালার্জির সমস্যা হলে আরটিকা ইউরেন্স ওষুধটি কার্যকারী 

এ ছাড়াও বহু ধরনের এলার্জি সমস্যা রয়েছে সেই সকল সমস্যার জন্য একজন চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নির্দিষ্ট ওষুধ খেতে হবে নিজে থেকে ওষুধ কিনে খেলে সমস্যা বাড়বে বৈ কমবে না তাই সমস্যা দেখা দিলে চটজলদি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন । 


ধুলোয় অ্যালার্জি চিরতরে সেরে যাবে এই ওষুধ খেলেই ধুলোয় অ্যালার্জি চিরতরে সেরে যাবে এই ওষুধ খেলেই  Reviewed by Wisdom Apps on March 01, 2021 Rating: 5

চুলপড়া , পাকা চুল ও খুশকি ঠিক করার ঘরোয়া উপায় - জেনে নিন - Best hair fall treatment

February 27, 2021

কয়েকটি ঘরােয়া পরিচর্যার মাধ্যমে চুল ভালো রাখুন 

খাঁটি নারকেল তেল স্নানের আধ ঘন্টা পূর্বে মাখুন। ভালােভাবে ম্যাসাজ করুন। রোদ্দুর থাকলে দু' পাঁচ মিনিট মাথায় লাগিয়ে নিন, তবে চড়া রােদে নয়। তারপর হালকা গরম জলে স্নান করুন, পারলে সারা বছর। তেল মাখার আধ ঘণ্টা পরেই স্নান করুন। সপ্তাহে ২ দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন, অবশ্যই তেল মাখার পর। নারকেল তেল চুলের বৃদ্ধি ঘটায়, চুল সুন্দর ও ঘন হয় , সহজে  খুশকি আসে না। এছাড়া মাথা ঠান্ডা রাখে, মাথার চামড়া ভালাে থাকে। তবে প্রয়ােজন হলে ঘরোয়া শ্যাম্পু ও খুশকি নাশক বিধান মেনে চলতে পারেন। তেল, সাবান ও শ্যাম্পু ঘনঘন বদলাবেন না। নারকেল তেল যেমন চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, তেমনি চুলকে দূষণ থেকে রক্ষা করতে পারে।



• যাঁদের নারকেল তেল সহ্য হয় না, তারা খর্টি সরষের তেল ব্যবহার করুন। খাঁটি কথাটা সরষের তেলের ক্ষেত্রে বলাটা খুবই মুশকিল। যে কোনও পরিচিত একটা ব্রান্ডের তেল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ১০ গ্রাম সরষের তেলের সঙ্গে ১০ গ্রাম নিম তেল ভালােভাবে মিশিয়ে সেটিও ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারিক নিয়ম পূর্বের মতে। এর দ্বারা চুলের গোড়া শক্ত হয়, সহজে খুশকি আসে না ও চুল পাকে না, খুশকি থেকে উৎপন্ন কোনও চুলকানি বা অ্যালার্জি হয় না। শীতে চুলপড়া ও খুশকি হাত ধরাধরি করে আসে। প্রত্যহ স্নানের পূর্বে পূর্বোক্ত নিয়মে তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। নারকেল তেল বা সরষের তেল সর্বাঙ্গে মাখতে পারলে ত্বক ভালাে থাকবে।

• গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য একটা বহুপরীক্ষিত মুষ্টিযোগের উল্লেখ করা যাক । ১০-১২ বছর বয়স পর্যন্ত সপ্তাহে ২ দিন শ্যাম্পু হিসাবে এটি ব্যবহার করতে পারেন । ৪-৫ টি ঢ্যড়শ পাতা ও ৮-১০টি লাল জবা ফুলের পাতা ভালোকরে ধুয়ে নিয়ে , কুচি কুচি করে কেটে জলের মধ্যে চটকাবেন । এরপর পাতাগুলো তুলে ভালো করে নিংড়ে নিয়ে ফেলে দেবেন । এই লালার মত মিশ্রিত ফ্যানা দিয়ে মাথা ঘষতে হবে শ্যাম্পুর মতো করে । কিছুক্ষন রাখার পর মাথা ধুয়ে ফেলবেন । ইচ্ছা হলে বড়রাও এটা ব্যবহার করতে পারেন । এতে চুলের গোড়া শক্ত হয় , চুল ঘন হয় , খুশকি হবে না, সহজে চুল পাকবে না, আর চুল খুব ফুরফুরে থাকবে । এটা ব্যবহার করার আগে নারকেল তেল বা নিমতেল মিশ্রিত সরষের তেল ব্যবহারতে পারেন। ব্যবহার করলে উপকার বেশি। আবার যে দু'দিন শ্যাম্পু করবেন, সে দুদিন পূর্বে তেল না মাখলে বিকেলের দিকে শুকনাে চুলে অল্প তেল ম্যাসাজ করে ভালােভাবে চিরুনি দেবেন। তাহলে পরদিন গানের পুর্বে তেল মাখার প্রয়ােজন হবে না। ভালো চিরুনি দিয়ে মাঝে মাঝে এবং তেল ব্যবহার করার পর চুল আঁচড়ানােটা চুলের পরিচর্যার প্রাথমিক ধাপ।


খুশকি তাড়াতে হলে কি করবেন ? 

এক কাপ জলে একটা পাতিলেবু নিংড়ে সেই জলটি দিয়ে স্নানের পূর্বে মাথায় ঘষে ঘষে লাগান। পাৱলে মাথায় মেখে ১০-১৫ মিনিট হালকা রােদ লাগান। লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড খুশকিকে প্রতিহত করে। ১০-১৫ মিনিট পরে মাথাটি ধুয়ে ফেলুন বা স্নান করুন। হাল রোদ লাগালে চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়বে এবং চুলে একটা আলাদা রঙের সৃষ্টি হবে। ওই দিন বিকেলের দিকে কোন তেল মাথায় দিতে পারেন অথবা নাও দিতে পারেন। সপ্তাহে একদিন অথবা খুব প্রয়োজন হলে ব্যবহার করবেন। তবে লেবুর বসে অ্যালার্জি থাকলে এটি আর ব্যবহার করবেন না।

• আর একটি খুশকি নিবারক একক দ্রব্যের কথা বলি। সেটি হল কচি ডাবের নরম মালা বেটে রস বের করতে হবে। শিকাকাই ও আমলকী (সমান পরিমাণে প্রয়ােজনমতো ওজন করে নিতে হবে) রাতে ভিজিয়ে সকালে চটকে সেই জল দিয়ে মাথা ধোওয়ার পর চুল ভালাে করে শুকিয়ে গেলে বিকেলের দিকে চুল চিরে চিরে নারকেল মালার রসটি লাগান। হঠাৎ ধােওয়ার কোনও দরকার নেই। পরদিন তেল না মেখে স্নান করুন। এরপর যেভাবে শ্যাম্পু ও তেল ব্যবহার করেন তাই করবেন । 


বাড়িতে এই তেল তৈরি করে চুলে লাগানঃ 

  • শশা, পুদিনা পাতা ও গাজর সম পরিমাণে (আন্দাজমতো) নিয়ে থেতো করে রস বের করতে হবে।  এটি স্নানের পর মাথায় হালকা মাসাজ করে লাগিয়ে ১০-১৫মিনিট পর ধুয়ে ফেলবেন ।
  •  যারা নারকেল তেল বা সরষের তেল ব্যবহার কখতে চান না , তারা একটা তেল বাড়িতে তৈরি করে সপ্তাহে ৬ দিন ব্যবহার কত পারেন। সপ্তাহের বাকি একটা দিন স্নানের ঘন্টাখানেক পূর্বে রসুনের রস লাগিয়ে স্নান করে নিন। তেল তৈরির নিয়ম- তিল তেল ১২৫ গ্রাম, ভৃঙ্গরাজ পাতা ও ডাঁটার রস ২০০ গ্রাম ও কুঁচ ফল (সাদা হলে ভালো, না পেলে লাল ) ১৫ গ্রাম বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে হায়কা আঁচে ফোটাতে  হবে। ফুটতে ফুটতে যখন রস মরে যাবে, শুধু তেলটি থাকবে, তখন নামিয়ে ঠান্ডা হলে ছেঁকে শিশিতে রাখুন। এটি ব্যবহারে চুল বাড়বে, হঠাৎ পাকবে না। যাদের চুল পাকতে শুরু করেছে, সেটা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে। নিজে না পারলে কোনও আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে বানিয়ে নিতে পারেন।
  •  এছাড়া আরও একটা তেল তৈরি করে মাখতে পারেন। সেটি এভাবে তৈরি করবেন- ২৫০ গ্রাম অমলকী ২ লিটার জলে সিদ্ধ করে , আধ লিটার থাকতে নামিয়ে ছেঁকে সেই জলটি ১৫০ গ্রাম নারকেল তেল মিশিকে হালক আঁচে ফুটিয়ে জলটি শুকিয়ে গেলে যখন কেবল তেলটি অবশিষ্ট থাকবে, তখন নামিয়ে ঠান্ডা হলে ছেলে একটি শিশিতে রাখুন। এটি প্রত্যহ স্নানের আধ ঘন্টা পূর্বে মাথায় মাখবেনা । যেদিন সাবান বা শ্যাম্পু মাথায় নেবেন, সেদিন তেলটি মাখবেন। সুবিধেমতে তেল দুটির যে কোনও একটি তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন । মনে রাখবেন পাকা চুলকে সমস্যা বলে নিজে থেকে না বলে কোনও সমস্যা নেই। 

চুলপড়া , পাকা চুল ও খুশকি ঠিক করার ঘরোয়া উপায় - জেনে নিন - Best hair fall treatment চুলপড়া , পাকা চুল ও খুশকি ঠিক করার ঘরোয়া উপায় - জেনে নিন - Best hair fall treatment Reviewed by Wisdom Apps on February 27, 2021 Rating: 5

কোরোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার সহজ উপায় - পড়ুন ও শেয়ার করুন

March 21, 2020
কোরোনা ভাইরাস সম্বন্ধে এপর্যন্ত অনেক কিছুই আপনি জেনেছেন এবং পড়েছেন , কিন্ত এই লেখাটি পড়লে আপনার ভয় পালাবে , আত্মবিশ্বাস বাড়বে আর নিজের ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদেরকে জানাবেন । আসুন, কোরোনাকে ভয় না পেয়ে একসাথে মোকাবিলা করা যাক । 



প্রথমে একটা ব্যাপার জানুন - কোরোনা একটা ভাইরাস , কোনো ব্যাকটিরিয়া না । যারা জানেন না তাদের জানাই , ভাইরাস কিন্ত জীবন্ত নয় , আবার মৃতও নয় । ভাইরাস (Virus)হল একপ্রকার অতিক্ষুদ্র জৈব কণা বা অণুজীব যারা জীবিত কোষের ভিতরেই মাত্র বংশবৃদ্ধি করতে পারে । জীবিত কোষ না পেলে এরা জড় পদার্থের মত আচরন করে এবং সময় বিশেষে নস্ট হয়ে যায় ।
তাহলে এটা নিশ্চিত যে এই ভাইরাসটি যতক্ষন না আমাদের কারোর শরীরে প্রবেশ করছে ততক্ষন চিন্তা নেই ।  

এবার প্রশ্ন হল এরা আমার শরীরে প্রবেশ করবে কিভাবে ? 
দেখুন , কোরোনা বিভিন্ন মাধ্যমের মধ্যে দিয়েই প্রবেশ করতে পারে । এ ব্যাপারে আপনারা অনেক কিছু শুনেছেন । এখন একটা উদাহরন দিই । ধরুন আপনি একটা হোটেলে খেতে গেছেন , আপনি জানেন না যে সেখানে কিছুক্ষন আগে এক কোরোনা রুগী খাওয়ার খেয়েছে । সে হাঁচি দিয়েছে , মুখ খুলে কেশেছে , আর যে টেবিলে বসে খেয়েছে সেটায় এটোকাঁটা ছড়িয়েছে , এমনকি একটি স্টিলের গ্লাসে সে মুখ লাগিয়ে জলও খেয়েছে , তাহলে কিসে কিসে কোরোনা ভাইরাস লেগে থাকতে পারে ? 
দা ইংল্যান্ড জার্নাল ওফ মেডিসিন এর লেখা অনুযায়ী - করোনা ভাইরাস কার্ডবোর্ডের গায়ে দিব্যি ২৪ ঘন্টা আক্টিভ থাকতে পারে , তবে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হল স্টিলের ও প্লাস্টিকের জিনিসের গায়ে ৭২ ঘন্টা আক্টিভ থাকে করোনা । ভালো ব্যাপার হল - তামার পাত্রে কোরোনা ৪ (চার) ঘন্টার বেশী টিকে থাকে না , নস্ট হয়ে যায় । তাহলে এটা বুঝুন -কাপড়ের বা প্লাস্টিকের মাস্ক পড়া যেমন জরুরী তেমনই মাস্ক পরিস্কার রাখাটাও জরুরী , আপনার মাস্কে লেগে থাকা অনুজীব বায়ুর থেকে বেশী সময় আক্টিভ থাকবে । তাই যতটা পারেন , হাত , মুখ , মাস্ক সব ধুয়ে সাফ রাখুন । আর বাড়িতে তামার পাত্র থাকলে আজ থেকেই ব্যাবহার শুরু করুন । স্টিলের পাত্র ও প্লাস্টিকের বোতল যত কম ব্যবহার করেন ততই ভালো । এখন প্রায় সব বাড়িতেই জারে করে বাইরের জল কিনে খাওয়া হয় । সেই জলের জার করোনা মুক্ত কিনা তা তো আর পরীক্ষা করা সম্ভব নয় তাই বাড়িতে আনা জল তামার পাত্রে ভরে কয়েক ঘন্টা রেখে খান । এতে ক্ষতি তো হবেই না বরং শরীরের বেশ কিছুটা উন্নতি হবে । 
আর একটা ব্যাপার হল , কোরোনার বায়ুতে উড়ে বেড়ানোর সময়কাল ৩ ঘন্টা , অর্থাৎ কোরোনা সংক্রমিত বায়ুকে তিন ঘন্টার বেশী সময় চুপচাপ রেখে দিলে সেখানে করোনা আর আক্টিভ থাকে না । তাই , কয়েকদিন ঘর থেকে কম বার হন ।  


আচ্ছা , হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে কি করোনা মারা যায় ? 

অনেকেই হয়ত জানেন না , হ্যান্ড ওয়াশ আর হ্যান্ড স্যানিটাইজার আলাদা জিনিস । হ্যান্ড ওয়াশ হাতে লাগানোর পর জল দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হয় - এটা বেশী ভালো ব্যাপার । কিন্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যাবহার করা হয় যখন হাত ধোয়ার কোনো পরিস্থিতি থাকে না । ক্রিমের মত করে স্যানিটাইজার সারা হাতে মেখে নিতে হয় ।
তবে , হাতে  ভালো করে স্যানিটাইজার লাগিয়ে নিলেই কি হাত করোনা মুক্ত হয় ? 
livescience.com -এর মতে যে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মধ্যে 62-71% ethanol ( অ্যালকোহল) আছে এবং সাথে  0.5% hydrogen peroxide বা 0.1% sodium hypochlorite (bleach) আছে শুধু সেটাই পারে করোনা ধ্বংস করতে । কিন্তু , স্যানিটাইজার লাগানোর সাথে সাথেই করোনা ধ্বংস হয় না , হাতে স্যানিটাইজার ভালোকরে লাগানোর পরে কোরোনা ধ্বংস হতে মিনিমাম ১ মিনিট সময় লাগবে । তাই একটু অপেক্ষা করুন বন্ধু । ( ধুতে থাকো ধুতে থাকো ) 

সত্যিই কি এটা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়েছে ? 

এই পোস্টটি লেখার সময় পর্যন্ত সারা বিশ্বে মোট ২০৯৮৩৯ জন মানুষ কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এর মধ্যে মোত ৮৭৭৮  জন মানুষ মারা গেছেন । কাজেই ভয়ে মুষড়ে পড়ার প্রয়োজন নেই । ধরবে আর মারবে এমন ক্ষমতা কোরোনার নেই । তবে আপনাকে থাকতে হবে সাবধানে । 

যেহেতু , কারোর শরীরে ঢুকতে না পারলে কোরোনা প্লাস্টিকের গায়ে ৭২ ঘন্টা বেঁচে থাকতে পারে তাই যদি মাত্র ৭২ ঘণ্টার জন্য সমস্ত পাবলিক গ্যাদারিং বন্ধ করা হয় তাহলে কোরোনার ম্যাক্সিমাম প্রভাবকে নস্ট করা সম্ভব । 


সবাইকে ৩ ফুট দুরত্ব বজায় রাখতে বলছে কেন ? 

রাস্তা ঘাটে কেউ হাঁচি বা কাশি দিলে তার থেকে অন্তত ৩ ফুট দুরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে , কারন কোরোনা ভাইরাসের তো আর ডানা নেই যে সে উড়ে উড়ে আপনার নাকে এসে বসবে , একমাত্র সামনের লোকের শ্লেষ্মা বা থুথু আপনার নাকে মুখে লাগলে তবেই কোরোনা আপনার দেহে ঢুকতে পারবে । আর বিজ্ঞানীরা মেপে দেখেছেন একজন লোক হেঁচে তার শ্লেষ্মা তিন ফুটের বেশী দুরত্বে পাঠাতে গেলে  রীতিমত রকেট লঞ্চারের মত নাক প্রয়োজন । তাই মোটামুটি ৩ ফুট দুরত্বে থাকাই ভালো ।


আচ্ছা কোরোনা থেকে বাঁচার কোনো শর্টকাট উপায় আছে  ? 

অবশ্যই আছে -পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন , বাড়িতে থাকুন ।
টিভিতে তো দেখছেন - কোরোনা থেকে বাঁচার জন্য কেউ গোমূত্র খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন তো কেউ বিভিন্ন বাবা'র দারস্থ হয়ে টাকায় আগুন ধরাচ্ছেন  । কোরোনা থেকে বাঁচার জন্য  নদিয়ার কাঠালিয়া ও করিমপুর অঞ্চলের মানুষজন দৈনিক সন্ধ্যেবেলা বাড়ির সবার নামে একটি করে মোমবাতি জ্বালিয়ে বারান্দায় রেখে আসছেন - এমন খবরও পাওয়া গেছে ।  অনেক টোটকা বেরিয়ে পড়েছে  , আরো বেরোবে । দয়া করে এগুলোতে জড়াবেন না । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া গাইডলাইন মেনে চলুন । এখানে ক্লিক করে পুরোটা জানতে পারবেন । 


মুরগীর মাংস খেলেই কি কোরোনা ধরবে ? 

আজ্ঞে না । অবশ্য কে জানে আপনি রেঁধে খাবেন না কাঁচা খাবেন তাই জোর দিয়ে কেউ বলতেও পারবে না । তবে আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক সুগত দাশগুপ্ত বলেন, “ভারত সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি মুরগির মাংস, ডিম, এগুলির থেকে COVID-19-র সংক্রমণের ঝুঁকি। কাজেই কোনও কারণ নেই এই নিয়ে অকারণে বিতর্ক তৈরি করা বা ভয় পাওয়ার। "
 আর একটা ব্যাপার আপনি নিজেই ভেবে দেখুন -অন্যান্য ভাইরাসের মতোই কোরোনা ভাইরাসও বেশী তাপমাত্রায় বেঁচে থাকতে পারে না , তাহলে মুরগীর দেহে কোরোনা থাকলেও সেটা রান্না করে খেলে সেই ভাইরাস কি আর বেঁচে থাকবে ? মশাই আমরা তো আর চীনে পাবলিক নই , খাওয়ার ব্যাপারে বাঙালী অত কাঁচা নয় । মনে রাখবেন ,  সুসিদ্ধ কোনো খাবারেই কোরোনা থাকতে পারে না । 


আচ্ছা , কোনোভাবে আমি করোনা আক্রান্ত হলে কিভাবে বুঝব ? 


রোগের লক্ষ্মণ দেখবেন । শ্বাসকষ্ট ছাড়াও জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের বিভিন্ন সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষণ।এটি ফুসফুসে আক্রমণ করে। সাধারণত শুষ্ক কাশি ও জ্বরের মাধ্যমেই  উপসর্গ দেখা দেয়, পরে শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত রোগের উপসর্গগুলো প্রকাশ পেতে গড়ে পাঁচদিন সময় নেয়।
এক কাজ করুন , শ্বাস নিয়ে দম বন্ধ করে কিছুক্ষন বসে থাকুন - ঘড়ি দেখুন - কতক্ষন পারছেন থাকতে ? ১০ সেকেন্ড এর আগেই দম ছেড়ে দিলে বারবার করে দেখুন ।মিনিমাম ১০-১৫ সেকেন্ড শ্বাস ধরে রাখতে না পারলে বুঝতে হবে স্বাশকস্ট দেখা দিচ্ছে । অন্যান্য উপসর্গ গুলো থাকলে একবার চেকাপ করিয়ে নিন । 


আচ্ছা , করোনা ভাইরাসের নাকি ওষুধ আবিস্কার হয়ে গেছে ? 

দেখুন আজ ২১শে মার্চ পর্যন্ত এমন কোনো খবর জানা যায়নি । অবশ্য আমরা ভারতীয়রা ও বাংলাদেশের মানুষেরা নিজেরাই অনেক ওষুধ আবিষ্কার করে ফেলেছে, তাড়াতাড়ি আমরা নোবেলও পেয়ে যেতে পারি ।  তবে যে কোরোনা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ওষুধ খান না কেন , খাওয়ার আগে একবার কোরোনা রোগের ভাইরাস SARS-CoV-2 এর ফুল ফর্মটা জিজ্ঞেস করে নেবেন । 


ভয় পাবেন না । ভয় ছড়াবেন না । পরিস্কার থাকুন । নিয়ম মেনে চলুন । লেখাটা শেয়ার করুন । 



SARS-CoV-2 :  severe acute respiratory syndrome coronavirus 2 



















কোরোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার সহজ উপায় - পড়ুন ও শেয়ার করুন কোরোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার সহজ উপায় - পড়ুন ও শেয়ার করুন Reviewed by Wisdom Apps on March 21, 2020 Rating: 5

স্তন ক্যানসার , কীভাবে পরীক্ষা করবেন ? সাবধান হন আর জেনে নিন কখন কি ট্রিটমেন্ট করাবেন ।

January 21, 2020


মহিলাদের মধ্যে যে ক্যান্সারের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি তা হলো স্তন ক্যান্সার। সাবধানে থেকে বা হাজার সাবধানতা নিয়েও এই রোগ কখনও কখনও আটকানো যায় না। তবে সচেতন থাকলে আগে ভাগেই চিনে ফেলতে পারেন এই ক্যানসার। প্রাথমিক স্তরে চিকিৎসা করালে রোগ নির্মূল করা যায় সহজেই। তাই চলুন দেরি না করে জেনে নিই এই রোগ চিনবেন কি করে।

● আয়নার দুপাশে হাত রেখে দাঁড়ান। দুদিকের স্তনের মধ্যে কোনও অসামঞ্জস্য আছে কি না লক্ষ করুন। এবার মাথার ওপর দুহাত তুলুন। মাথার পাশে রাখুন। দেখুন দুদিকের স্তনের মধ্যে কোনও অসামঞ্জস্য আছে কি না। হাতের চেটো দিয়ে প্রথমে একদিকের ও পরে অন্য দিকের স্তন পরীক্ষা করুন। কোনওরকম চাকা বা ফোলা ভাব আছে কি না ভালো করে লক্ষ্য করুন। এবার দেখুন নিপল বা স্তনবৃন্তে কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না। পরিবর্তন বলতে এক দিকের নিপল ভেতরের দিকে ঢুকে গেছে কি না বা নিপল এর পাশে কোনো ঘা আছে কি না। যদি ঘা এর সন্ধান পান তাহলে অবিলম্বে ব্রেস্ট ক্যানসার সার্জেনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। হতেই পারে, আপনার স্তনে ক্যানসার হয়নি। কিন্তু যদি হয়, তাহলে সঠিক সময়ে চিকিৎসার কোনো বিকল্প নেই।

● ট্রিপল এসেসমন্ট পদ্ধতি: ডায়াগনসিসের জন্য যেতে পারেন কোলকাতার ওয়ান স্টপ বেস্ট ক্লিনিকে। চিকিৎসার জন্য এখানে রয়েছে ট্রিপল এসেসমেন্ট পদ্ধতি - ১) প্রথমে একজন স্তন ক্যান্সার সার্জেন রোগীর পরীক্ষা করেন ও তার পারিবারিক ইতিহাস জানবেন। 

২) রোগীর স্তনের আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান বা ম্যামোগ্রাম করে হবে। ৩) সার্জেন রোগীর ল্যাম্প থেকে এফ এন এ সি বা কোর বয়োন্সি করবেন।
এখন বেশিভাগ ক্ষেত্রে কোর বয়োপ্সি করা হয় কারণ এটি উন্নত পদ্ধতি। অল্পবয়সীদের ক্ষেত্রে সাধারণত আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান করা হয়। ৩৫ বয়সের বেশি মহিলাদের ক্ষেত্রে রোগ শনাক্তকরণের জন্য ম্যামোগ্রাম করা হয়।

● সবসময় সার্জারির প্রয়োজন হয় না: প্রথম ধাপেই ক্যানসার ধরা পরলে সার্জারির প্রয়োজন হয় না। রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ সার্জেন ঠিক করেন কী ধরনের অস্ত্রপচার প্রয়োজন। চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে এখন প্রাথমিক স্তরে স্তন ক্যানসার ধরা পরলে স্তন কেটে বাদ দেওয়ার প্রয়োজন পরে না। শুধুমাত্র টিউমার বাদ দিয়ে স্তনের বাকি অংশ রেডিওথেরাপি বা রে দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এই সার্জারির সময় বগলের নিচের অংশের গ্ল্যান্ড গুলো সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হয়। এই রিপোর্টের ওপরেই নির্ভর করে রোগীর কেমোথেরাপির প্রয়োজন কি না। তবে বেড়ে যাওয়ার পর ধরা পরলে নিও অ্যাডযুকেন্ট কেমোথেরাপি দিয়ে সার্জারি করাটাই ভালো।

● হরমোন থেরাপিতেও রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব: বেশ কিছু ক্ষেত্রে স্তন ক্যানসার হরমোন রিসেপ্টর সেনসিটিভ হয়। এক্ষেত্রে রোগীর অ্যান্টি ইস্ট্রোজেন জাতীয় কোনো ওষুধ দিলে কার্যকর হয়। হরমোন ছাড়াও 'হার টু নিউ' নামক একটি রিসেপ্টর রয়েছে। এক্ষেত্রে হারসেপশন নামে একটি ওষুধ দেওয়া হয়। ওষুধটি ব্যয়বহুল হলেও স্তন ক্যানসারের চিকিৎসায় সাফল্য খুব আশানুরূপ। যাদের বয়স বেশি তাদের ক্ষেত্রে হরমোনথেরাপির মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।



লেখাটি শেয়ার করে সবাইকে সচেতন করে দিন 
স্তন ক্যানসার , কীভাবে পরীক্ষা করবেন ? সাবধান হন আর জেনে নিন কখন কি ট্রিটমেন্ট করাবেন । স্তন ক্যানসার , কীভাবে পরীক্ষা করবেন ? সাবধান হন আর জেনে নিন কখন কি ট্রিটমেন্ট করাবেন ।  Reviewed by Wisdom Apps on January 21, 2020 Rating: 5

শীতকালে ব্যাথা বাড়ে কেন ? কীভাবে ব্যাথা নিয়ন্ত্রনে রাখবেন জেনে নিন ।

January 20, 2020




শীতকালে সব বয়সের মানুষের শরীরে ব্যাথা বাড়ে। বিশেষ করে হাড়ের ব্যাথা তো বাড়েই। এমনিতেই অন্য সময় সামান্য আঘাত লাগলে শরীরে যতটা না কষ্ট হয়, শীতকালে সামান্য চোট লাগলে ব্যাথা অনেক বেশি অনুভূত হয়। শীতকালে হাড়ের জয়েন্ট গুলোর ব্যাথা বাড়ে। তার পেছনে কতগুলো কারণ রয়েছে।
● শীতকালে তাপমাত্রা অনেক কমে যাওয়ার কারণে হাড়ের জয়েন্টে থাকা ফ্লুইড বেড়ে যায়। সেজন্য হাড়ের জয়েন্ট গুলোয় ব্যাথা অনুভূত হয়।
● এছাড়া শরীরের মধ্যে যেসব শিরা, উপশিরা আছে, ঠান্ডার কারণে সংকুচিত হয়। শরীরে ব্যাথা হওয়ার এটাও একটা কারণ। 
● মানব দেহের মাংসপেশি গুলোও আবহাওয়ার কারণে কুঁচকে যায়।
● তাপমাত্রা কম থাকার কারণে হাড়ের জয়েন্ট গুলির মুভমেন্টও ঠিকমতো হয় না। এইসব কারণগুলির জন্য শীতে হাড়, মাসল সহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যাথা অনুভব হয়।
যেমন এ সময় দেখা যায়, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরে একাধিক জায়গায় ব্যাথা করছে। বিশেষ করে হাঁটু, গোড়ালির জয়েন্টে ব্যাথা, হাতে বেশি করে অনুভূত হয়। আসলে হাড়ের মুভমেন্ট ঠিক মতো না হওয়ার কারণেই এ ধরণের সমস্যা বেশি হয়। আবার সকালের দিকে কিছুটা হাঁটাচলা করলে, সূর্য্য ওঠার পর কিছুক্ষন রোদে বসলে অধিকাংশ ব্যাথা বেদনা উধাও হয়ে যায়। বয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি হয়। 
  আমাদের মত হলো, এই সময় শরীরে ব্যাথা কমাতে ঘরের মধ্যে নিজেকে আটকে রাখবেন না। ঘরে চুপচাপ এক জায়গায় বসে থাকলেই বরং ব্যাথা বাড়বে। কারণ, এতে হাড়ের মুভমেন্ট কম হয়। তাই শীতকালে বাইরে বের হন। হাঁটুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন। পারলে ব্যাডমিন্টন খেলুন। ফুটবলও খেলা যেতে পারে। শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করুন। 
  দুই, সাঁতার কাটতে পারলে খুব ভালো। কারণ জলের নীচে তাপমাত্রা এই সময় বেশি থাকে। সাঁতার কাটলে শরীরের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এর মুভমেন্ট হবে। মনে রাখবেন, এ সময় সাঁতার কাটলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা বরং কম। 
  তিন, এছাড়া সবসময় গরম পোশাক পরতে হবে। রাতের দিকে সবকটি দরজা জানালা না দিয়ে অন্তত একটি জানালা খুলে রাখা যেতে পারে।
  চার, নিয়মিত ভিটামিন ডি জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
  পাঁচ, স্নানের আগে নিয়ম করে তেল মেখে কিছুক্ষন রোদে বসা যেতে পারে। এতে শরীর ভালোও থাকবে। 
  ছয়, স্নানের সময় গরম-ঠান্ডা জল মিশিয়ে স্নান করে যেতে পারে। একেবারে ঠান্ডা জলে স্নান করলে ঠান্ডা বাড়বে বই কমবে না। তাছাড়া শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  সাত, যারা বাইক চালান, তারা হাতের দস্তানা, পায়ে মোজা, মাথার টুপি, হেলমেট, জ্যাকেট পরবেন। কোনোভাবেই শরীরের ভেতরে হওয়া ঢুকতে দেওয়া যাবে না। আট, শীতকালে গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে সেটি হাটু সহ বিভিন্ন জয়েন্টে সেক নেওয়া যেতে পারে। এতে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়।
  নয়, বয়স্করা সকালের দিকে ঘুম থেকে উঠে গরম জলের সেক নিন। অনেক বেশি আরাম পাবেন। এর পরও যদি ব্যাথা বাড়ে, সেক্ষেত্রে ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
শীতকালে ব্যাথা বাড়ে কেন ? কীভাবে ব্যাথা নিয়ন্ত্রনে রাখবেন জেনে নিন । শীতকালে ব্যাথা বাড়ে কেন ? কীভাবে ব্যাথা নিয়ন্ত্রনে রাখবেন জেনে নিন ।  Reviewed by Wisdom Apps on January 20, 2020 Rating: 5

জানেন কি ? দাঁতে পোকা বলে কিছু হয়না । আজীবন দাঁত ভালো রাখার আরো সিক্রেট জেনে নিন

January 05, 2020

দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝেন কজন। মুখের সৌন্দর্য অনেকটাই নির্ভর করে দাঁত, মাড়ি ও চোয়ালের আকারের ওপর। তাই দাঁতে গঠনগত ত্রুটি বা দুর্ঘটনার কারণে কোনও খুঁত হলে, যোগাযোগ করুন কোনও ডেন্টাল সার্জেনের সঙ্গে। সুন্দর-নির্মল হাসির জন্য যে সুস্থ দাঁত দরকার।
গঠন: প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দুটি চোয়ালে মত বত্রিশটি দাঁত থাকে। মানুষের দুবার দাঁত ওঠে। যেমন দুধের দাঁত(Milk Teeth) এবং স্থায়ী দাঁত(Permanent Teeth), মানুষের দাঁতের এই বৈশিষ্ট্যের জন্য মানুষের দাঁতকে ডাইফিডোন্ট(Diphidont) দাঁত বলে।

দাঁতের নানা কাজ: 
 ● খাদ্যবস্তুকে চিবিয়ে ক্ষুদ্র কনায় পরিণত করা।   
 ● মুখের সৌন্দর্য বা হাসি ধরে রাখা।
 ● স্পষ্ট উচ্চারণ করতে সাহায্য করা।
 ● সুন্দর মুখ ও হাসির জন্য চাই ঝকঝকে দুপাটি দাঁত।
 ● আত্মরক্ষায় দাঁত কামড়েও দেয় প্রতিপক্ষকে।

দাঁত সংক্রান্ত কিছু প্রচলিত ধারণা: 

 ● দাঁতের ব্যাথায় পেনকিলার খাওয়া উচিত?
   কী কারণে ব্যাথা হচ্ছে তা না জেনে দিনের পর দিন ব্যাথা কমানোর ওষুধ খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এতে শরীরের ভালো তো হয়ই না উল্টে লিভার, কিডনি সহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। ওষুধ খেলে ব্যাথা কমে সাময়িক ভাবে, কিন্তু দাঁতের মূল যে সমস্যা, সেটা চিকিৎসা না করলে থেকেই যায়।
● দাঁতে পোকা আছে কি?
   পোকা বলে কিছু হয় না, দাঁতে সংক্রমণ হলে দাঁত ক্ষয়ে যায়, কালো কালো ছোপ দেখা যায়, যা আপাত দৃষ্টিতে পোকার মতো দেখতে লাগে।
● ব্যথার দাঁতে পেস্ট লাগলে ব্যাথা কমে যায়?
   ব্যাথা একটি বিশেষ ধরনের অনুভূতি যা, দাঁতের ভেতরে থাকা ডেন্টিনালের টিউবিউলসের মধ্যে দিয়ে পাল্পে পৌঁছায়, পাল্পের মধ্যে রক্তবাহী শিরা উপশিরা থাকে - পেস্ট লাগালে ডেন্টিনাল টিউবিউলসগুলি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্যাথা অনুভব হয় না। সাময়িক আরাম মেলে।
● দাঁতের ক্যাভিটি
   অনেকেরই ধারণা শক্ত কিছু খেতে গিয়ে দাঁত হটাৎ ভেঙে যাওয়া বা দাঁতে ক্যালসিয়াম কমে যাওয়া থেকে দাঁতে ক্যাভিটি হয়। এটা ভুল ধারণা। ক্যাভিটি হওয়ার মূল কারণ হলো ভুল পদ্ধতিতে দাঁত ব্রাশ করা। বেশিরভাগ মানুষই পদ্ধতি মেনে ব্রাশ করেন না। দাঁত মাজার নিয়মই হলো ওপর নিচ করে। কিন্তু প্রায় সকলেই সোজাসুজি দাঁত মাজেন। এর ফলে মাড়ি আর দাঁতের সংযোগ স্থল ঘষে যায়। দাঁতের ওপরের অংশের এনামেল ক্ষয়ে যায়। দাঁতের তুলনামূলক ভাবে কম শক্তিধর অংশ ডেন্টিন প্রকাশ্যে চলে আসে। চিকিৎসা করানোর প্রয়োজনও হয়। যদি ঠিকমতো দাঁত না মাজা হয়, দাঁতের মাঝে মাঝে লেগে থাকা খাদ্যকনাগুলি সঠিক ভাবে পরিষ্কার হয় না। নানা ধরণের ব্যাকটেরিয়া খাবারের কণা ভেঙে অ্যাসিড তৈরি করে, আর এর ফলেই দাঁতে ক্যাভিটি দেখা যায় এবং দাঁত ভাঙার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
● গরম বা ঠান্ডা খেলে দাঁত শিরশির করে
   দাঁতের ডেন্টিনাল টিউবিউলসের থেকে ব্যাথা পাল্পে পৌঁছানোর জন্য এমন শিরশিরানি হয়েই থাকে। তাই কোনও সমস্যা হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
● দাঁতের যত্ন না নিলে যে অন্যান্য রোগ হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়, তা হলো হার্টের রোগ - দাঁতের সমস্যা থেকে হার্টের ভালভের সমস্যা, ব্যাকটেরিয়াল এন্ডোকার্ডইটিস হতে পারে। ডায়াবেটিস সারে না। পাইরিয়ার চিকিৎসা না করলে ডায়াবেটিস এর ওষুধ খেলেও রোগ কমে না।
সংক্রমিত দাঁতের সমস্যার সমাধান না করে নি(knee) রিপ্লেসমেন্ট বা ছানির অপারেশন করালে মারাত্মক সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
দাঁত ভালো রাখার পদ্ধতি:
● দিনে কমপক্ষে দুবার ব্রাশ করতে হবে। একবার ঘুম থেকে উঠে আর একবার আর একবার রাতে শুতে যাওয়ার আগে। ব্রাশ করতে হবে সঠিক পদ্ধতিতে। ব্রাশ চলবে ওপর থেকে নিচ, নীচের থেকে ওপরে, কখনওই দাঁতের ওপর আড়াআড়ি ভাবে ব্রাশ করা যাবে না। প্রতি তিনমাস অন্তর ব্রাশ পরিবর্তন করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দাঁতের সমস্যার জন্য মেডিকেটেড টুথব্রাশ ব্যবহার করতে হবে।
● কোনো কিছু খাওয়ার পরেই জল দিয়ে ভালো করে মুখ কুলকুচি করে ফেলতে হবে। যাতে খাবারের টুকরো অংশ মুখে পচে দুর্গন্ধ সৃষ্টি না করে।
● দাঁত মাজার জন্য খৈনি, ছাই, গুড়াখু চলবে না। পান মশলা, জর্দা, সুপারি, বেশি গরম বা ঠান্ডা খাবার দাঁতের পক্ষে ভালো নয়।
● মূল খাবার গ্রহণের পর ফ্লস দিয়ে দাঁতের ফাঁকগুলি পরিষ্কার করে নেওয়া ভালো।
● ব্রাশ করার পর আঙ্গুল দিয়ে মাড়ি ম্যাসাজ করা উচিত।
● গায়ের জোরে দাঁত মাজা উচিত নয়।
● অসমান দাঁত ওঠা আটকাতে ছোটদের দুধের দাঁত সঠিক সময়ে ফেলতে হবে।
● মাড়ির যে কোনও রোগ, দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্ত পড়লে অবহেলা করা উচিত নয়। প্রাথমিক অবস্থায় ডেন্টাল ক্যারিজ ধরা পড়লে সঠিক চিকিৎসায় তা সেরে যাবে।
● পুষ্টিকর খাবার, ফল, ও স্যালাড চিবিয়ে খেলে দাঁত ভালো থাকে।
● বাঁধানো দাঁত নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। রাতে খুলে অ্যানটিসেপ্টিক লোশনে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ঝকঝকে ও রোগহীন দাঁত ও মাড়ির জন্য বছরে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
জানেন কি ? দাঁতে পোকা বলে কিছু হয়না । আজীবন দাঁত ভালো রাখার আরো সিক্রেট জেনে নিন জানেন কি ? দাঁতে পোকা বলে কিছু হয়না ।  আজীবন দাঁত ভালো রাখার আরো সিক্রেট জেনে নিন Reviewed by Wisdom Apps on January 05, 2020 Rating: 5

যে ৫ টি কারনে - ডিমের খোসা খাওয়া উচিৎ প্রতিদিন

June 12, 2019
আমাদের কাছে পরিচিত সবচেয়ে পুষ্টিকর এবং সুস্থ খাদ্য সামগ্রীগুলির মধ্যে ডিম অন্যতম , এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। বিশ্বজুড়ে বহু মানুষের  ব্রেকফাস্ট খাদ্যের অংশ হিসাবে ডিম অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু, আশ্চর্যের বিষয় যে, ডিমগুলির মতোই, ডিমের খোসাগুলি বিভিন্ন পুষ্টির সাথেও আসে এবং স্বাস্থ্য উন্নতির ক্ষেত্রে খাদ্য হিসাবে অসাধারণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম । 

যদিও, ভোজ্য অংশগুলি যেমন ডিমের কুসুম বা ডিমের সাদা অংশ গ্রহণের পরে অধিকাংশ লোক ডিমের বাকি অংশ ফেলে দেয় ।  কিন্তু , ডিম শেলগুলিও খাওয়া যায়। আসুন eggshells-এ থাকা প্রধান স্বাস্থ্য সুবিধার দিকে তাকানো যাক  । 
সামগ্রিক সুস্থ স্বাস্থ্য নিশ্চিত করুন - গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে ডিমের খোসা গুলো খাওয়ার সর্বোত্তম উপায় পাউডারের আকারে এবং নিয়মিতভাবে এই পাউডারটি বিভিন্ন খাবারে সাথে যোগ করে গ্রহণ করলে,  সহজেই  সামগ্রিক শারীরিক সুস্থতা রক্ষা করা যেতে পারে। 


ডিমশেলে উপস্থিত হায়ালুরোনিক এসিড আপনার ত্বককে আলোকিত করতে পারে, তবে চন্দ্রোইটিন, কোলাজেন এবং গ্লুকোজামিনের মতো অন্যান্য উপাদান গুলি গাঁটের যন্ত্রণা দূর করতে সহায়তা করে।

দেহের বিষাক্ত উপাদান নির্মূল করতে - রক্ত ​​পরিষ্কার করা বা রক্ত থেকে ক্ষতিকর বিষাক্ত উপাদানগুলি নির্মূল করার জন্য ডিমশেল পাউডার একটি দুর্দান্ত সমাধান হতে পারে। কমপক্ষে তিন গ্লাস  , ডিমশেল পাউডার এবং জলের  মিশ্রণ প্রতিদিন খাদ্য হিসাবে গ্রহন করলে  শরীরের বিষাক্ত এজেন্টকে কার্যকরভাবে মুছে ফেলা যায় ।

থাইরয়েড গ্রন্থিগুলিও চিকিত্সা করতে - থাইরয়েড সমস্যা সমাধানের  জন্য আপনি  ডিমের খোসাগুলোকে চূর্ণ করে, এতে লেবুর রস যোগ করে, কমপক্ষে 7 দিনের জন্য ফ্রিজে এটি সংরক্ষণ করে রাখুন । প্রতিদিন সকালে 1 চা চামচ গুড়ো মধু মিশিয়ে  খালি পেটে খেলে ভীষণ উপকার পাবেন । 


গ্যাস্ট্রিক আলসারের নিরাময়ের উপায় ডিমের খোসা  - গ্যাস্ট্রিক আলসার নিরাময় করার জন্য সর্বাধিক কার্যকরী প্রাকৃতিক প্রতিকারের ক্ষেত্রে ডিমশেলগুলির ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিমশেলের অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টিকর উপাদান গুলি  গ্যাস্ট্রিক আলসারের অবস্থার উন্নতির জন্য আদর্শ পথ্য হিসাবে কাজ  করে । নরম ডিমশেল পাউডার এবং গরম দুধের মিশ্রণ নিয়মিত নেওয়া হলে আলসার বা গ্যাস্ট্রাইটিস নিরাময় হতে পারে।

হাড়গুলি শক্ত করে তুলুন - ক্যালসিয়াম শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির মধ্যে একটি, হাড়গুলি শক্তিশালী এবং সুস্থ রাখতে, শরীরের দৈনিক ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা জরুরি। ডিমসেলগুলির মধ্যে প্রচুর পরিমান ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়, বিশুদ্ধ ক্যালসিয়ামের এই উত্স  হাড় শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। 
ডিমশেল গুলি খাদ্য হিসাবে গ্রহন করলে স্বাস্থ্যকর দাঁত আজীবন টিকে থাকে । অতএব বলা চলে নিয়মিত খাদ্য হিসাবে এটি গ্রহন  করা যেতে পারে, এবং  স্বাস্থ্য ভাল রক্ষণাবেক্ষণে ডিমশেল বা ডিমের খোসারএকটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি মূল্য আছে। 
অতএব, ডিমগুলোকে ব্যাবহার করার পর নিক্ষেপ করার পরিবর্তে মসৃণ ডিমশেল পাউডার তৈরি করে ডিমশেলগুলি ব্যবহার করা এবং খাদ্যতে পাউডার হিসাবে যোগ করা অবশ্যই নিজের স্বাস্থ্যের স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত সম্ভাবনা সরবরাহ করে।



লেখাটি লিখেছেন - 
ডায়েটেশিয়ান শিখা মহাজন 
[ লেখাটি শেয়ার করুন হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মাধ্যমে ] 


ইংরাজী লেখার লিঙ্ক - 
যে ৫ টি কারনে - ডিমের খোসা খাওয়া উচিৎ প্রতিদিন যে ৫ টি কারনে - ডিমের খোসা খাওয়া উচিৎ প্রতিদিন Reviewed by Wisdom Apps on June 12, 2019 Rating: 5

শরীরের উইরিক অ্যাসিডই কি বাতের কারন ? জেনে নিন বাত সম্বন্ধে

October 09, 2018

গাউট অর্থাৎ বাত কী?

ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ শরীরে বেড়ে গেলে তা শরীরের নানা জায়গায় গিয়ে জমা হয়। সব থেকে বেশি জমা হয় শরীরের জয়েন্টে। তখন জয়েন্টগুলোতেও এক ধরনের ইনফ্লামেশন হয় বা ফুলে যায়। এটা সব থেকে বেশি হয় আমাদের পায়ের বুড়ো আঙুলে। এছাড়া হাঁটু, গোড়ালি বা শরীরের অন্য নানা জয়েন্টেও হতে পারে। খুব বেশি জমা হলে ওইখানে ব্যাথা হয়, লাল হয়ে যায় এবং ফুলে যায়। একে বলে অ্যাকিউট গাউটি আর্থ্রাইটিস।

ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে কেন?

ইউরিক অ্যাসিড আমাদের সবার শরীরেই থাকে। এর দুই তৃতীয়াংশ তৈরি হয় শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায়। আর এক তৃতীয়াংশের উৎস হল খাদ্য। আমরা যে ধরনের খাবার খাই তার থেকেও শরীরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড ঢুকতে পারে। যেমন বেশি হচ্ছে বিয়ার, অ্যালকোহল থেকে প্রচুর ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয় শরীরে। আবার যে কোনও ধরনের মাংস, বিশেষ করে অর্গান মিট বা শরীরের যন্ত্রাংশের মাংশ যেমন মেটে, সি-ফুড, শেল-ফিশ যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, নান ধরনের বিনস থেকেও শরীরে তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড। আরেকটা কারণ হল শরীরের ভিতরেই অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হওয়া। লিউকোমিয়াজাতীয় ক্যানসারের মতো কিছু রোগে এই রকম হতে পারে। দেখুন, আমাদের শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড প্রস্রাবের মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে যায়। এখন কিডনিতে কোনও সমস্যা হলে আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া ব্যহত হতে পারে। অনেক সময় উপোস করা কিমবা খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমালেও ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়। এছাড়াও একটা বিরল সম্ভাবনা হল, বংশানুক্রমিকভাবে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়া। এটাকে বলা হয় লেশ-নিহ্যান সিনড্রোম। অনেক সময় কিছু কিছু ওষুধের জন্যও ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যেতে পারে।

গাউট কি বাত? 

সাধারণ বাত বলতে বোঝা হয় আর্থারাইটিস। এর মধ্যে সব থেকে বেশি হয় অস্কিওআর্থ্রাইটিস। এটা সাধারণত শরীরের ওজন বহনকারী জয়েন্টগুলোতে হয় যেমন হাঁটু গোড়ালি এইসব জায়গায়।কারও কারও ক্ষেত্রে কনুই, কাঁধ এবং কমরেও হতে পারে। এর বাইরেও ছোটবেলায় কোনও জয়েন্টে আঘাত লেগেছে, সেটা থেকেও বাত হতে পারে। এটা এক ধরনের অষ্টিওআর্থ্রাইটিস। কিন্তু এটাকে বলা হয় পোস্ট ট্রমাটিক আর্থ্রাইটিস। এইগুলো হল নানা ধরনের বাত। এছাড়াও এক ধরনের বংশানুক্রমিক অর্থোপ্যাথি আছে। এই ধরনের বাত শরীরের নানা জয়েন্টে অ্যাটাক করতে পারে যেমন হাতে, মেরুদণ্ডে। এইগুলোর মধ্যে সব থেকে কমন হল রিউম্যাটইয়েড আর্থ্রাইটিস, অ্যাঙ্কোলাইজিং স্পন্ডিলাইটিস এর বাইরেও একরকম আর্থ্রাইটিস আছে যাকে আমরা বলি ক্রিস্টাল আর্থোপ্যাথি। ইউরিক অ্যাসিড থেকে গাউট হওয়াটা এই ধরনের। এই রোগে ইউরিক অ্যাসিডের ক্রিস্টাল জয়েন্টে গিয়ে জমা হয়। এই ধরনের আর্থ্রাইটিস ইউরিক অ্যাসিডের জন্য হতে পারে। সেই অর্থে গাউটটা হল ক্রিস্টাল অর্থোপ্যাথির একটা দিক।

গাউট-এর চিকিৎসা কীভাবে হয়?

 গাউট হলে প্রথমেই দেখতে হবে ইউরিক অ্যাসিড শরীরে বাড়ছে কেন। যদি ক্যানসার বা এই জাতীয় কারণে হয় তবে তাঁর চিকিৎসা করতে হবে। যদি শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড বার করতে কিডনির সমস্যা হয় তাহলে কিডনির চিকিৎসা করাতে হবে। যদি কোনও  ওষুধ থেকে হয়, তাহলে সেই ওষুধগুলোকে বদলে দেওয়া বা বন্ধ করতে হবে। যদি খাবার থেকে হয়, তাহলে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড আছে এমন খাবার খাওয়া বন্ধ করা। এর সঙ্গে সবথেকে উপকারী হল জীবনযাত্রার পরিবর্তন জরুরি।

কী ধরনের জটিলতা হতে পারে?

নানা জয়েন্টে গাউট হলে হাঁটাচলার কাজকর্মে অসুবিধা হতে পারে। সফট টিস্যুতে ইউরিক অ্যাসিড জমলে সেইখানেও ব্যাথা হয়।

গাউটের চিকিৎসার কেমন সময় লাগে?

যাদের একবার গাউট হয়েছে, তাঁদের বারবার গাউট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যখন খুব জটিল সমস্যা হয় তখন পা-টাকে উঠিয়ে রাখতে হবে। বরফ দিতে হয়। ব্যাথার ওষুধ খেতে বলা হয়। কিছু ক্ষেত্রে ওষুধে ব্যাথা কমে না। তখন স্টেরয়েড দিতে হতে পারে। যখন এই অ্যাকিউট অ্যাটাকটা কমে যায়, তখন দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা শুরু করতে হয়।

বাত সারাতে অপারেশন

বিরাশি বছর বয়সি বিমানবাবুর কথা দিয়েই আলোচনা শুরু করা যাক। অনেকদিন ধরে তিনি হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন। তার ওপর আবার কার্ডিয়াক, নিউরোলজিক্যাল সমস্যাও রয়েছে তাঁর। খুব পজিটিভ মানুষ হলেও হাঁটুর অপারেশন করাতে ভয় পাচ্ছেন। কীসের ভয়? উত্তরে তিনি বললেন,'দেখলেন না প্রাক্তন এক প্রধানমন্ত্রীর এই অপারেশন করে কী হয়েছিল? তিনি নাকি লন্ডনে গিয়ে অপারেশন করেছিলেন। তাতেও দেখুন..." ভদ্রলোককে বুঝিয়ে বললাম, 'আপনি কিছুই খবর রাখেন না। তাই এরকম নেগেটিভ কথা বলছেন। আসলে আমাদের দেশের বহু মানুষেরই এটা ধারণা যে বিদেশে গিয়ে অপারেশন করিয়েও আমাদের দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নি-রিপ্লেসমেন্ট সাকসেসফুল হয়নি। প্রথমত, বিদেশে গিয়ে তিনি অপারেশন করাননি। তখনকার বম্বে আর আজকের মুম্বাইয়ের চিকিৎসক সি.এস. রানাওয়াতের নেতৃত্বে ডাক্তারদের এক বিশেষ মেডিক্যাল টিম ওই অপারেশন করেছিলেন। আর যারা বলেন যে ওঁর অপারেশন সাকসেসফুল হয়নি তাঁরা কি করে জানলেন সেটা। ওই যে ভুত দেখা মানুষকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি যেমন বলেন, ওই অমুকে দেখেছেন। ব্যাপারটা এমনই। 
আসলে বাস্তবতা অন্য। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নি রিপ্লেসমেন্ট শুধু সাকসেসফুল হয়েছিল তাই-ই নয়, তিনি যথেষ্ঠ সুস্থ হয়েওছিলেন। তাহলে এমন গুজব কেন? অপারেশনের পর তো প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ওবামা সাহেবের মতো গটগট হরে হাঁটছেন না। এবার এই বিষয়েই একটু বিস্তারিত আলোকপাত করা যাক। 

এক্সারসাইজ প্রয়োজন

একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, কঙ্কাল কিন্তু হাঁটতে পারে না।
হাঁটার জন্য যে শক্তি দরকার তা আসে মাংসপেশি থেকে। অর্থাৎ যতক্ষন না পর্যন্ত মাসল পাওয়ার সঠিকভাবে ব্যালান্সড হবে ততক্ষণ পর্যন্ত হাঁটু বা হিপের এক্স-রে যতই সুন্দর হোক না কেন সঠিকভাবে এবং সাবলীলভাবে হাঁটার ক্ষমতা অপূর্ণ থেকে যাবে। নি-রিপ্লেসমেন্ট করার আগে রোগীকে বেশ কিছু এক্সারসাইজ দেওয়া হয়। সেই এক্সারসাইজ প্রতিদিন নিয়ম মেনে করতেই হবে। যতই কষ্ট হোক না কেন এই এক্সারসাইজ করতে হবে। আবার অপারেশনের পরেও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে কিছু ব্যায়াম করতে হয়। আমার বিশ্বাস, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে যতটা এক্সারসাইজ প্রোগ্রাম করানো দরকার ছিল ততটা বাস্তবে রুপায়িত করা সম্ভব হয়নি। যাই হোক, আমার ধারণা সঠিক নাও হতে পারে। 

নি-রিপ্লেসমেন্ট আসলে কী?

প্রথমেই কোর ম্যাটারে আসা যাক। 'হাঁটু পালটানো'-র অপারেশনকে সাধারণত টোটাল নি-রিপ্লেসমেন্ট বলা হয়। সত্যিটা হল, টোটাল নি-রিপ্লেসমেন্ট করা যায় না। তাহলে রোগী আর হাঁটতে পারবেন না। কারণ হাঁটু মানে কিন্তু দুটো  বোনের মাথা আর সামনে একটা মালাইচাকি নয়। অর্থাৎ যেটুকু কঙ্কালের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। হাঁটুকে পূর্ণ রুপ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সফট টিস্যু থাকে। যেমন-সাইনুভিয়াল ক্যাপসুল, লিগামেন্টস, টেনডনস। ফ্যাট আর চামড়া তো বাদই দিলাম। আসলে অপারেশনের মাধ্যমে ব্যালেন্সিং করা পুরো বিষয়টা।

শরীরের উইরিক অ্যাসিডই কি বাতের কারন ? জেনে নিন বাত সম্বন্ধে শরীরের উইরিক অ্যাসিডই কি বাতের কারন ? জেনে নিন বাত সম্বন্ধে Reviewed by Wisdom Apps on October 09, 2018 Rating: 5
Powered by Blogger.