Featured Posts

[Quotes][feat1] [Travel][feat2]

বাংলা ক্যালেন্ডার অ্যাপ খুজছেন ? এই অফলাইন ক্যালেন্ডার অ্যাপটা ৬ লক্ষ লোক ব্যাবহার করছেন

জানুয়ারী ০৫, ২০২৩

WB ইংরাজি + বাংলা ক্যালেন্ডার অ্যাপ নামের এই অ্যাপটি ব্যাবহার করেন প্রায় ৬ লক্ষ বাঙালী , প্লে স্টোরে হাজারেরও বেশী লোক এটাকে ৫ স্টার রেটিং দিয়েছেন । 

bangla calendar app

বাংলা ক্যালেন্ডার অ্যাপ তো প্লে স্টোরে অনেক আছে কিন্ত সবথেকে ভালো অ্যাপ কোনটা ? আপনার পক্ষে সব অ্যাপ ইন্সটল করে করে দেখা তো সম্ভব নয় তাই আমরা আপনার জন্য কাজটা সহজ করে দিচ্ছি । বাংলা ক্যালেন্ডার অ্যাপ প্লে স্টোরে অনেক আছে । কোনোটা ১০০ ডাউনলোড তো কোনোটা ১লক্ষ ডাউনলোড । কোনোটায় বাংলা তারিখ আছে তো কোনোটায় ইংরাজী । একেকটা একেক রকম । কিন্ত যদি এমন একটা অ্যাপ পাওয়া জায় যেটায় সব কিছু তো আছেই তাছাড়া আরো বিশেষ কিছু সুবিধা আছে । 

আসুন এক এক করে জেনে নি এই Bangla Calendar-এর সুবিধাগুলো কি কি ? 

১। এই অ্যাপটা সম্পূর্ণ অফলাইন ( নেট না চালিয়েও অ্যাপের সব কাজ করা যায় ) 

২। মাস অনুযায়ী পেজ সাজানো , ঠিক আপনার দেওয়ালে ঝোলানো ক্যালেন্ডারের মতো ।

৩। কবে কি ছুটি আছে সেই দিন গুলো লাল করে দেওয়া । 

৪। সরকারী অফিস ও বিদ্যালয় ছুটির দিনগুলো নিল রঙ করে দেওয়া আছে । 

৫। কোন কোন শনিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ সেগুলো লিখে দেওয়া আছে । 

৬। একাদশী , পূর্ণিমা , অমাবস্যা কবে হবে , কটা থেকে কটা সব লেখা আছে । 

৭। দুর্গাপুজো , ইদ , ক্রিসমাস সব ডেট সঠিক ভাবে দেওয়া আছে । 

৮। প্রতি মাসের বিখ্যাত লোকেদের সংক্ষিপ্ত জীবনী দেওয়া আছে ।  

৯। বছরে মাত্র ১ বার এই অ্যাপটি আপডেট করা হয় । কাজেই ঝামেলা নেই । 


এছাড়া অ্যাপে কিছু স্পেশাল ফিচার পাবেন 

১। ফ্রী নোটপ্যাডঃ বাজারের তালিকা , খরচের হিসাব , এমন টুকিটাকি জিনিস তারিখ অনুযায়ী সাজিয়ে লিখে রাখতে পারবনে এই নোটপ্যাডে । 

২। বিনিয়োগ ক্যালকুলেটারঃ ফিক্সড ডিপোসিট বা রেকারিং , মিউচুয়াল ফান্ড  SIP কত রাখলে কত পাবেন ? হিসাব করুন নিমেশে 

৩। ফ্রী QR কোড স্ক্যানারঃ আজকাল আধার কার্ড হোক বা কোনো পন্য , সবেতেই থাকে এই কোড । অ্যাপ ব্যাবহার করে সহজেই স্ক্যান করে ফেলতে পারবেন যেকোনো QR কোড 

৪। সমস্ত ছুটির লিস্টঃ পাবলিক হলিডে ছাড়াও বিভিন্ন কারনে অফিস আদালত ছুটি থাকে । সেই সমস্ত ছুটির বিস্তারিত লিস্ট পাবেন অ্যাপের মধ্যে । 


বাংলা ক্যালেন্ডার অ্যাপ খুজছেন ? এই অফলাইন ক্যালেন্ডার অ্যাপটা ৬ লক্ষ লোক ব্যাবহার করছেন বাংলা ক্যালেন্ডার অ্যাপ খুজছেন ? এই অফলাইন ক্যালেন্ডার অ্যাপটা ৬ লক্ষ লোক ব্যাবহার করছেন Reviewed by WisdomApps on জানুয়ারী ০৫, ২০২৩ Rating: 5

ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় এর অসাধারন কিছু কথা

জুলাই ২৯, ২০২২

 পান্ডব গোয়েন্দার স্রষ্টা লেখক শ্রী ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় এর কিছু অসাধারন কথা 



● চারদিকে পাহাড়ের পাঁচিল। তারই একধারে শহরের গা ঘেঁষে বয়ে চলেছে সোনার নদী সুবর্ণরেখা। এক ধারে সুবর্ণরেখা এবং অপর পারে যে ঘন বন ও পাহাড়ের আড়াল সেখান থেকেই নেমে এসেছে এক ছোট্ট চঞ্চলা গিরিধারা। নাম ধারাগিরি। বিস্তৃত শালবন, গভীর অরণ্যানী। শ্যামল উপত্যকা, ফুলডুংড়ি পাহাড়, হরিণ ধুবড়ি (হরিণ ধুকুড়ি) আর তামুকপালের নির্জন গিরিনদীর কিনারে বনের মধ্যে ছোট্ট মন্দিরটির কথা শুনে বাবলুর মনের মধ্যে ঘাটশিলার একটা কাল্পনিক ছবি আঁকা হয়েছিল। অনেক জিজ্ঞাসাবাদের পর জানতে পারলাম রাতমোহনা হল প্রকৃতির অনেক বিষ্ময়ের একটি বিস্ময়। পূর্নিমার রাতে যেমন মানুষের তৈরি তাজমহল, ফতেপুর সিক্রি ইত্যাদি দেখতে মানুষ ছুটে যায়, তেমনই যারা জানে বা যারা সত্যিকারের প্রকৃতি প্রেমিক তারা কিন্তু ছুটে যায় রাতমোহনায়। রাতমোহনা তো মানুষের তৈরি নয়। প্রকৃতির এক অপার বিস্ময়। সোনার নদী সুবর্ণরেখার অনন্ত রূপের যেখানে ছড়াছড়ি সেখানেই রাতমোহনা।

● স্বর্গ কোথায় আছে তা জানি না, কিন্তু ময়ূরভঞ্জের এই অরণ্য পর্বতে মর্তের স্বর্গ বিরাজ করছে। প্রকৃতির এমন রূপটি আর কোথাও নেই। অজস্র ঝরনা আর ফুলের সৌরভে মন প্রাণ ভরে আছে আমাদের। বৈতরণীর উৎস এখানেই। শুনলে অবাক হবে পাহাড়ে এখানে পদ্ম ফোঁটে।

●  মানুষের একমাত্র ধর্ম মনুষ্যত্ব। ধর্মের স্বরূপ হল প্রেম। প্রেম যেখানে শাশ্বত সেখানে পুরাণ - কোরাণ - বাইবেল - গীতা সব একাকার। সেখানে জাতিধর্মের কোনও ভেদাভেদ নেই। পবিত্র ঈদের দিনেই বেশি করে ওর কথা মনে পড়ে আমার। ঈশ্বরের কাছে (আল্লাহর কাছে) প্রার্থনা করি, হে পরম করুণাময়! *****কারোর স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া উচিত নয়।

● সংসাকে মাটির দাম কিন্তু সোনার চাইতে কোনো অংশে কম নয়। জীবনের ভার যে মানুষ বইতে পারে না তার বেঁচে থাকা অর্থহীন। মানিয়ে নেওয়া, মানিয়ে চলা সংসারের ধর্ম। গরীবের কেউ নেই কিন্তু  ভগবান তো আছে।

● যে অবুঝ তার সাথে বোঝাপড়া হয় না। 

● যে পুরুষ সাপ খেলাতে পারে না, তার ঘর সংসার না করাই ভাল। মানুষকে ফাঁকি দিয়ে মানুষ কোনো দিনও সুখি হতে পারে না। মানুষকে কাঁদিয়ে মানুষ কোনোদিন ফুল-মাটি-আকাশের মত হাসতে পারে না। 

● খোঁড়া যদি মনে করে তাহলে সে পাহাড়ও ডিঙাতে পারে। হাতের ঢিল ফস্কে গেলে আর ফেরানো যায় না। জলে শুধু পদ্মফুল ফোটে না, জলে ভালো মানুষের গায়ে পাপও ফোটে।

● যৌবন কারও চিরদিন থাকে না। যৌবন হারিয়ে গেলে সূর্যের মত ওঠে না।

● যার নদী আছে, আকাশ আছে, তার আবার ভয় কি!
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় এর অসাধারন কিছু কথা  ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় এর অসাধারন কিছু কথা Reviewed by WisdomApps on জুলাই ২৯, ২০২২ Rating: 5

বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর ভ্রমনের সম্পূর্ণ গাইড । ২৯ টি স্পট ঘুরুন ১ দিনে । জেনে নিন বিস্তারিত

জুন ১২, ২০২২

বিষ্ণুপুর ট্রাভেলের সম্পূর্ণ ভিডিও পেয়ে যাবেন আমাদের চ্যানেলে - এখানে ক্লিক করে দেখুন 

এই লেখা থেকে আপনি জানতে পারবেন বিষ্ণুপুর কিভাবে যাবেন , কি কি দেখবেন ,ঘুরতে খরচ কত হবে এবং বিষ্ণুপুরের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস । ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখে ভালো লাগলে একটি লাইক দিয়ে ও কমেন্টে আপনার মতামত লিখে আমাদের অনুপ্রানিত করবেন । আসুন শুরু করা যাক ।



বাঁকুড়া জেলা পশ্চিমবঙ্গের একটি অন্যতম ঐতিহাসিক , সাংস্কৃতিক ও ধার্মিক স্থান । এই জেলায় একদিকে আছে পাহাড় , একদিকে ঘন জঙ্গল আর জেলার প্রাণকেন্দ্র বিষ্ণুপুর এক সুপ্রাচীন ঐতিহ্যশালী শিল্পের জন্মস্থান । টেরাকোটা বা পোড়া মাটির কাজের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে লোক বিষ্ণুপুর ঘুরতে আসেন। ভ্রমণের জন্য গ্রীষ্মকাল বাদে বছরের যে কোনো সময়ই সঠিক সময় ।

প্রথমে জেনে নিন কিভাবে বিষ্ণুপুর যাবেন - 
হাওড়া থেকে অনেক ট্রেন আছে । কয়েকটি প্রতিদিন চলে া কয়েকটি সপ্তাহে ১/২ দিন অন্তর চলে , সব ট্রেনের তালিকা এখানে দেওয়া হলো -


 । হাওড়া থেকে বিষ্ণুপুরের দুরত্ব ১৩৪ কিলোমিটার , ট্রেনে সময় লাগে ৩.৩০-৪ ঘন্টা । হাওড়া থেকে ভোরের দিকের ট্রেন ধরে সকাল সকাল বিষ্ণুপুর পৌঁছে গেলে হাতে অনেকটা সময় পাবেন । এছাড়াও ধর্মতলা থেকে বিষ্ণুপুরগামি অনেক বাস পেয়ে যাবেন । প্রাইভেট গাড়ি করে এলে এখানে গাড়ি পারকিং করার জায়গা আছে , নিশ্চিন্তে আসতে পারেন ।

বিষ্ণুপুরের ইতিহাস -
প্রাচীন মল্লভূমের রাজধানী বিষ্ণুপুর। সপ্তম শতাব্দীর শেষের দিকে অর্থাৎ ৬৯৫ খ্রীষ্টাব্দে আদিমল্ল রঘুনাথ মল্ল রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর বংশধর জগৎমল্ল বিষুপুরে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন। পরবর্তীকালে মল্লরাজ বীরহাম্বির বৈষ্ণব পণ্ডিত শ্রীনিবাস আচার্যের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে একজন পরম বৈষুব ভক্তে পরিণত হন। তিনিই মল্ল রাজবংশের কুলদেবতা ‘মদনমোহন’কে বিষুপুরে নিয়ে আসেন এবং মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। কালে কালে কৃষ্ণমন্দিরে ভরে যায় আশপাশ।

মল্লরাজাদের উদ্দেশ্য ছিল বিষ্ণুপুরকে ভারতের দ্বিতীয় বৃন্দাবন বানানোর । তাই সারা বিষ্ণুপুরে জুড়ে ছড়িয়ে আছে শতাধিক ছোট বড় মন্দির । কিছু মন্দির সংরক্ষিত আর বাকিগুলো ভগ্নপ্রায় । বিষ্ণুপুরে অনেক মন্দির থাকলেও এই ২৯ টি স্থান দর্শন করলেই মোটামুটি দেখা সম্পূর্ণ হয় ।

সব মন্দির গুলো ঘুরে দেখার জন্য বিষ্ণুপুর স্টেশন থেকে বা বাসট্যান্ড থেকে টোটো বা অটো রিজার্ভ করে নিতে পারেন । ভাড়া পড়বে মোটামুটি ২৫০-৪০০ টাকার মধ্যে । আমরা প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে গিয়ে বাজারের কাছে গ্যারেজে গাড়ি রেখে এই ভাইয়ের টোটো করে ঘুরেছিলাম । গাড়ি পারকিং খরচ ৫০ টাকা । আর টোটো ভাড়া নিয়েছিল ৩০০ টাকা ।

বিষ্ণুপুরের মন্দির গুলো কাছাকাছি হওয়ায় ঘুরতে খুব বেশি সময় লাগে না । এই হলো মন্দিরের একটি ম্যাপ ।



 নিচে একটি লিঙ্ক দেওয়া থাকলো সেখান থেকে এই ম্যাপটি আপনি ডাউনলোড করতে পারবেন । এই ম্যাপ অনুযায়ী ঘুরলে কম সময় আপনি অনেকটা জায়গা ঘুরতে পারবেন ।

টোটো প্রথমেই আপনাকে নিয়ে যাবে রাসমঞ্চে -
১৫৮৭ খ্রীষ্টাব্দে মল্লরাজ বীরহাম্বিরের প্রতিষ্ঠিত অনুপম স্থাপত্যের এই রাসমঞ। পিরামিডাকৃতি অভিনব গঠন শৈলীর এমন মঞ্চ ভারতবর্ষে বিশেষ চোখে পড়ে না। ইটের কার্ভিং-এর কাজ বিস্ময়কর। এটি কিন্তু কোনো মন্দির নয়, তাই এখানে কোনো বিগ্রহ নেই। অতীতে বার্ষিক রাসপর্বের সময়ে সমগ্র মল্লরাজ্যের যাবতীয় রাধাকৃষ্ণের বিগ্রহ এখানে একত্রিত করে মহাধুমধামে রাসোৎসব পালিত হতো। এই মন্দিরের সামনেই একটি টিকিট কাউন্টার পাবেন । মাথাপিছু ৩০ টাকার বিনিময়ে রাসমঞ্চ ঘুরে দেখে টিকিট জত্ন করে রেখে দেবেন , অন্য মন্দিরে প্রবেশ করার সময় এই একটি টিকিট দেখালেই হবে ।

রাসমঞ্চ দেখে টোটো আপনাদের নিয়ে যাবে পঞ্চ রত্ন শ্যামরায় মন্দির দেখাতে । পশ্চিমবঙ্গের যাবতীয় টেরাকোটা মন্দিরের মধ্যে এই পাঁচচূড়া বিশিষ্ট শ্যামরায় মন্দির শিল্প নৈপুণ্যে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার। ১৬৪৩ খ্রিস্টাব্দে রঘুনাথ সিংহের তৈরি এই পঞ্চরত্ন মন্দিরটির সূক্ষ্ম কারুকাজ হতবাক করে দেয়। মন্দিরের দেওয়ালে পোড়ামাটিতে রচিত হয়েছে রামায়ণ, মহাভারতের মতো মহাকাব্য। বর্গাকার ক্ষেত্রের মধ্যে বৃত্তাকারে শ্রীকৃষ্ণের রাসচক্রের চিত্রে , আরো জানা অজানা অনেক ছবি দেখতে পাবেন মন্দিরের গায়ে । রাজাদের শিকার দৃশ্য ও চিত্রিত আছে মন্দিরের আনাচে কানাচে। এই মন্দিরের কাজ আপনাকে অভিভূত করবে । সময় নিয়ে মনোযোগ দিয়ে দেখবেন , প্রতিটি কারুকাজ আপনাকে আনন্দ দেবে । 
এই শ্যামরায় মন্দিরের সামনে দেখবেন দাদা দিদিরা কাঠের ও পোড়ামাটির জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন । বিভিন্ন দামের হরেক রকম জিনিস , দেখলাম অনলাইন পেমেন্ট করারও সমস্ত ব্যাবস্থা আছে । আমরা এখান থেকে কয়েকটা মাটির কাপ ও মাটির ঘোড়া কিনেছিলাম , একটু দরদাম করতে হলেও জিনিস ভালো ।

শ্যামরায় মন্দির দেখার পর যাবেন জোড় বাংলা মন্দিরে - রাসমঞ্চে কাটা টিকিট দেখিয়েই এখানে প্রবেশ করতে পারবেন । ১৬৫৫ খ্রীষ্টাব্দে মল্লরাজ রঘুনাথ সিংহের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি এই জোড় বাংলা মন্দির। অনেকে এটিকে কৃষ্ণরায় মন্দিরও বলেন। দুটি বাংলা চালের উপর একটি শিখর এই মন্দিরের প্রধান বৈশিষ্ট্য। এর দেওয়ালের সর্বত্র আয়তকার পোড়ামাটির ব্লকে রামায়ণ, মহাভারতের বিভিন্ন ঘটনা, শ্রীকৃষ্ণের লীলা, রাজাদের শিকার ও যুদ্ধ দৃশ্য দেখতে পাবেন । বাংলার টেরাকোটা মূর্তি শিল্পের সর্বশ্রেষ্ঠ নিদর্শন এখানে পরিলক্ষিত হয়।

এই মন্দিরের বাইরেও ছোট ছোট স্টল দেখতে পারবেন । আমরা ১ জোড়া কাঠের হরিন ও একটি মাটির জলের বোতল কিনেছিলাম। মাটির বোতলের ব্যাপারে একটু সতর্ক করে দিই । বোতলে জল রেখে খাওয়ার ইচ্ছা হলে যে বোতলের গায়ে রং দিয়ে ফুল ফলের ছবি আঁকা সেগুলো নেবেন না । রংএর তীব্র গন্ধের কারনে এতে জল রেখে আমরা একটুও খেতে পারিনি । এর থেকে সাদামাটা বোতল গুলো নেবেন , কাজে দেবে । এই মন্দিরের পাশে টিফিনের দোকান আছে , চা বিস্কুট ম, ডিমটস্ট খেয়ে নিতে পারেন ।

এরপর টোটো আপনাদের নিয়ে যাবে গড় দরজা দেখাতে
সপ্তদশ শতাব্দীর শেষের দিকে মল্লরাজ বীরসিংহ, মাকড়া পাথর দিয়ে এই গড় দরজাটি তৈরি করান , রাজার সৈন্যরা এই বিশালাকার দুর্গের ন্যায় দরজার ভিতরে লুকিয়ে থেকে শত্রু মোকাবিলা করতো । এতো বছর আগে তৈরি তবুও এখনও আশ্চর্য মজবুত এই দরজা । এখানে কোনো কারুকাজ নেই তবে দুর্গের গায়ে যুদ্ধের ইতিহাসের ছাপ দেখতে পাবেন।
এর একটু সামনেই ছোট আরেকটি পাথরের দরজা দেখতে পাবেন - এটি হল ছোট গড় দরজা । এটিও মাকড়া পাথরের তৈরি । ছোট দরজা থেকে একটু গেলেই দেখতে পাবেন এই পাথরের রথ । মল্লরাজ দ্বিতীয় রঘুনাথ সিংহ ১৩০০ শতাব্দীতে মাকড়া পাথর দিয়ে চাকাবিহীন এই রথটি তৈরি করান । সময়ের সাথে সাথে রথের কারুকাজ অনেকটা নস্ট হয়ে গেছে ।

পাথরের রথ দেখে উত্তরে ১ কিমি দূরে মদনমোহন মন্দির  দেখে আসতে পারেন । বিষুপুরের মল্লরাজ বংশের কয়েকশো বছরের উত্থানপতনের ইতিহাসে জড়িয়ে আছে জাগ্রত দেবতা মদনমোহনের নাম। বিষ্ণুপুর মদনমোহনের লীলাক্ষেত্র। লোকমুখে বহুবিচিত্র কাহিনী প্রচলিত আছে প্রাণের ঠাকুরকে ঘিরে। তখন ১৭৪৩ সাল, মারাঠা সর্দার ভাস্কর পণ্ডিত বিষ্ণুপুর আক্রমণ করেন। তৎকালীন রাজা গোপাল সিংহ মদনমোহন
ঠাকুরের ওপর বিশ্বাস রেখে প্রতিরোধের কোনো চেষ্টাই করলেন না। দুদিন বাদে ভীষণ তোপধ্বনির গর্জনে বর্গীরা বিষ্ণুপুর ছেড়ে ভয়ে পালিয়ে ছিল। ভক্তদের বিশ্বাস মদনমোহন ঠাকুরই নিজে দলমাদল কামান দেগে বর্গীদের বিতাড়িত করেছেন। একরত্ন বিশিষ্ট মদনমোহন মন্দিরটি বেশ সুন্দর। সামনের দিকটা খোপ খোপ নক্সা কাটা। এই মন্দিরের বিশেষত্ব থামের অপরূপ কারুশিল্প। গোলাকার থামে খাঁজ কাটা ত্রিমাত্রিক গঠন শৈলী অনবদ্য। পশুপাখি থেকে শুরু করে মানব-মানবী সবই মন্দির গাত্রে জীবন্ত। মদনমোহন মন্দিরের উত্তর-পূর্ব দিকে গোস্বামী পাড়ায় শ্রীনিবাস আচার্য্যের সমাধিস্থল ও নিকটেই তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাধারমন মন্দিরও দেখে নিতে পারেন । 
এই দেখে ফেরার পথে গড় দরজার পাশেই পাবেন লালজী মন্দির ১৬৫৮ খিস্টাব্দে মল্লরাজ দ্বিতীয় বীর সিংহ এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন । ল্যাটেরাইটের তৈরি এই একরত্ন মন্দিরটি চারিপাশে সুউচ্চ পাঁচিল দিয়ে ঘেরা । পাঁচিলের বাইরের দিকের এই পার্কটি দেখছেন এটির নাম গড় দরজা পার্ক । এই পার্কে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন ।

লালজী মন্দিরের উল্টোদিকে একটু এগুলে রাস্তার ধারেই দেখতে পাবেন জরাজীর্ণ রাজবাড়ী । সময় গ্রাস করেছে সমগ্র রাজবাড়িকে । ধ্বংসস্তূপ ছাড়া আর কিছুই দেখার নেই । একটু পিছনের দিকে গেলে দেখবেন হাওয়া মহল । রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বট অশ্বত্থ দখল করেছে এক কালের বিশালাকার এই মহলটিকে । সাপ খোপের উৎপাত আছে , বাচ্চা নিয়ে এদিকে না যাওয়াই ভালো ।

রাজবাড়ি ছাড়িয়ে দু'পা হাটলেই পৌঁছে যাবেন মৃন্ময়ী মাতার মন্দিরে , রাজা জগৎমল্ল স্বপ্নাদেশে মাটির তলা থেকে এই দেবীমূর্তি উদ্ধার করে ৯৯৭ খ্রীষ্টাব্দে মন্দিরে দেবী বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন । এই মন্দিরে এখনো নিয়মিত পূজা হয় । মন্দির প্রাঙ্গনে দুটি ডোকরা ও টেরাকোটার জিনিসের দোকান দেখতে পাবেন । কেনাকাটা করতে পারেন ।

মৃন্ময়ী মায়ের মন্দিরের উল্টদিকেই আছে রাধাশ্যাম মন্দির মল্লরাজ চৈতন্য সিংহ ১৭৫৮ খ্রীষ্টাব্দে বাংলা চালের ধাঁচে এক শিখর বিশিষ্ট ল্যাটেরাইট পাথরে এই একরত্ন মন্দিরটি রাধাশ্যামের চরণে অর্পণ করেন। প্রবল আর্থিক অনটনের মধ্যেও পূর্বপুরুষদের মন্দির নির্মাণের রীতি তিনি বজায় রেখেছিলেন। তারই ফলশ্রুতি রাধাশ্যাম মন্দির। এই মন্দিরে আপনি বিগ্রহ দর্শন করতে পারবেন ।

ফেরার পথে এই কৃষ্ণ বলরাম মন্দির দেখতে পাবেন যা সংরক্ষণের অভাবে জীর্ণদশা প্রাপ্ত হয়েছে । আর একটু এগিয়েই দেখতে পাবেন মহাপ্রভু মন্দির । এর অবস্থাও শোচনীয় ।


আরো কিছুটা এগিয়ে দেখতে পাবনে গুমগড়ঃ অনেকে ভুল করে এটাকে গুম ঘড় বলেন । এটি আসলে দরজা - জানালা বিহীন একটি চৌকো দালান বাড়ি । বলা হয় যুদ্ধ অপরাধী ও রাজ অপরাধীদের এই গুমগরে ফেলে হত্যার সাজা দেওয়া হতো । অবশ্য অনেকে মনে করেন এটা নিছক একটা বড় শস্য ভান্ডার ছিল । যাই হোক , গুমগরের সোজা রাস্তা ধরে কিছুটা এগুলেই পৌঁছে যাবেন আচার্য যোগেশ চন্দ্র পুরাকীর্ত্তি ভবন বা বিষ্ণুপুর মিউসিয়ামে । বিষ্ণুপুর সম্বন্ধে আরো ভালো করে জানতে চাইলে অবশ্যই এই মিউজিয়ামটি ঘুরে নেবেন । অনেক কিছু দেখতে ও জানতে পারবেন ।

মিউজিয়ামের ঢিল ছোড়া দুরত্বে আছে লালবাঁধ । চৌকাকৃতি সুপেয় জলের এই বিশাল সরোবরের নাম লালবাঁধ। এছাড়াও বিষ্ণুপুর জুড়ে যমুনাবাঁধ, পোকাবাঁধ, শ্যামবাঁধ, কালিন্দীবাঁধ নামের আরো কয়েকটি বাঁধ আছে । লালবাঁধের সাথে দ্বিতীয় রঘুনাথের প্রেয়সী লালবাঈয়ের নাম ওতোপ্রোত ভাবে জড়িত। অনেক রকম গল্প কথা এই বাধের সাথে প্রচলিত । অনেকে বলেন এই বাধের নিচে সুরঙ্গ আছে । অনেকে বলে রাজার সম্পত্তি পোঁতা আছে । তবে আর কিছু না হোক এখানে আপনি কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়ে নিতে আপ্রবেন । শীতের দিনে পিকনিকের জমজমাট আড্ডা বসে লালবাঁধের ধারে। 


বাধের উত্তর পাশের বিজয় যোগাশ্রম এবং পশ্চিম পাড়ের খানিকটা দূরে বকুলকুঞ্জের মধ্যে সর্বমঙ্গলা দেবীর মন্দিরও দেখে নিতে পারেন । শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের পদধূলিধন্য এই জাগ্রত স্থান ও সংলগ্ন ঘাট রামঠাকুরের ভাব সমাধির সাক্ষী।

লালবাঁধ থেকে টোটো আপনাদের নিয়ে যাবে রাধামাধব মন্দির ও কালাচাঁদ মন্দির । রাধামাধব মন্দির টি মহারাজ গোপাল সিংহ তাঁর জ্যেষ্ঠা পুত্রবধু ধর্মপরায়না চূড়ামণি দেবীকে দিয়ে ১৭৩৭ খ্রিস্টাব্দে  প্রতিষ্ঠা করান । একরত্ন মন্দিরটি রাধামাধবের শ্রী চরনে নিবেদিত । 

এর পাশেই দেখবেন কালাচাঁদ মন্দির - এটি ১৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে মল্লরাজ রঘুনাথ সিংহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত । মন্দিরের সামনের দিকে কৃষ্ণলীলা ও পুরানের দৃশ্যাবলী দেখতে পাবেন । কিছুটা সামনে এগিয়ে দেখতে পাবেন জোড় মন্দির । এই মন্দিরের পাশেই পোড়া মাটির হাট বসে । এখান থেকেও টেরাকোটার জিনিস কিনতে পারবেন ।  

এর উল্টোদিকে আছে নন্দলাল মন্দির । একচালার এই মন্দিরটিতে তেমন কোনো কারুকার্য নেই । সঠিক কোন সালে তৈরি সেটাও জানা যায়নি । তবে মন্দিরের গায়ে চুনের কাজ দেখে অনুমান করা হয় সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি এটা তৈরি করা হয়েছে । 

এরপর টোটো আপনাদের নিয়ে যাবে দলমাদল কামান দেখতে । বিষ্ণুপুরের রাজাদের প্রতিরক্ষার জন্য কামান ব্যাবহারের প্রচলন ছিলো । বিষ্ণুপুরে আরো অনেক কামান ছিলো । বর্তমানে এই একটিই অবশিষ্ট আছে , বাকিগুলি ইংরেজ বাবুরা নিয়ে গেছেন বা নস্ট করে ফেলেছেন । এই দলমাদল কামানটি ৬৩ টি বিশালাকার লোহার আংটা ঢালাই করে তৈরি । এর ওজন প্রায় তিনশো মন । কামানের দৈর্ঘ্য ১২ ফুট আর মুখের ব্যাস ১ ফুট । এত বছর পুরানো লোহার জিনিস অথচ মরচে পড়েনি । দেখে ভালো লাগবে । আমি বাবা মামা আর মেশো এই কামানের সামনে একটা গ্রুপ ফটোও নিয়েছিলাম । 

দলমাদল কামানের পাশেই ছিন্নমস্তা মায়ের মন্দিরে । মেদিনীপুরের বিখ্যাত ব্যবসায়ী শ্রীযুক্ত কৃষ্ণচন্দ্র গুই ১৯৭৩ সালে এখানে মা ছিন্নমস্তার মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। মার্বেল ও টাইলস দ্বারা নির্মিত আধুনিক মন্দিরে মহামায়া মা ছিন্নমস্তারূপে পূজিতা। রাজস্থানের পাথরে তৈরী রক্তবর্ণ দেবীমূর্তিটি অপূর্ব। এইখানে আপনি ছিন্নমস্তা মায়ের পুজো দিতে পারেন , সমস্ত ব্যাবস্থা আছে । 

মন্দিরের উল্টোদিকে ভাত খাওয়ার হোটেল পাবেন । দুপুরের খাবার খেয়ে নিতে পারেন । 

মোটামুটি এইখানেই আপনার বিষ্ণুপুর দর্শন সম্পূর্ণ হবে । 

হাতে সময় থাকলে ছোট খাটো আরো কিছু মন্দির দর্শন করতে পারেন । তবে তেমন বিশেষ কিছু পাবেন না । পরের দিন মুকুট্মনিপুর , বা শুশুনিয়া পাহাড় বা গনগনি যাওয়ার প্ল্যান থাকলে রাত্রে থাকতে পারেন বিষ্ণুপুর সরকারী গেস্ট হাউসে  বা অন্যান্য যেকোনো হোটেলে । কিছু হোটেলের ফোন নাম্বার ডেসক্রিপশনে দেওয়া লিঙ্ক থেকে পেয়ে যাবেন । আর থাকতে না চাইলে সন্ধ্যের দিকে ট্রেন ধরে রাতের আগে হাওড়া ফেরত চলে আসতে পারবেন । বাসে করে আসতে চাইলে বিষ্ণুপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে নাইট সার্ভিস বাস পেয়ে যাবেন ।  


বিষ্ণুপুর ট্রাভেলের সম্পূর্ণ ভিডিও পেয়ে যাবেন আমাদের চ্যানেলে - এখানে ক্লিক করে দেখুন 

বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর ভ্রমনের সম্পূর্ণ গাইড । ২৯ টি স্পট ঘুরুন ১ দিনে । জেনে নিন বিস্তারিত বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর ভ্রমনের সম্পূর্ণ গাইড । ২৯ টি স্পট ঘুরুন ১ দিনে । জেনে নিন বিস্তারিত Reviewed by WisdomApps on জুন ১২, ২০২২ Rating: 5

শ্রীমৎ বিজয়কৃষ্ণ গােস্বামীর অমৃতবাণী . Quotes by Srimad BijayKrishna Goswami

জুন ১০, ২০২২

 • শ্রীমৎ বিজয়কৃষ্ণ গােস্বামীর অমৃতবাণী

quotes by bijoykrishna goswami


1️⃣ যথার্থ সত্যলাভ করতে হলে সকল প্রকার সংস্কার বর্জিত হতে হয়। সংস্কার সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ হলে মনটি একেবারে নির্মল হয়ে যায়। যারা কোনও মতামতের বা সংস্কারের অধীন না হয়ে কেবলমাত্র নিজের অন্তরে সত্যেরই অনুসন্ধান করেন, তাদের কোনাে দলও নেই, সম্প্রদায়ও নেই।

2️⃣ বৈধভাবে...ইন্দ্রিয় চরিতার্থ করে নাও..তবে তাে ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে।...“কাম” নষ্ট হােক...একথা ঠিক না। কাম থাকুক, কিন্তু (আত্মবোেধ থাকুক) ত্রিগুণাতীত হয়ে। এই কামই উপাসনা, ভজন, যা কিছু; তখন তার নাম প্রেম।

3️⃣ জীবাত্মা ও পরমাত্মার মিলন হলে তখন আত্মা নিজেকে (স্বতন্ত্রবােধে ধারণ করা) ভুলে যায়, যা দেখে  ব্রহ্মসত্তাই দেখে ....অন্যেরা ভাবে সে ভগবানের সঙ্গে মিলে গেছে, কিন্তু তখনও তার পার্থক্য বােধ থাকে—ভগবানের রাসলীলা দেখতে থাকে ও ধন্য হয়।

4️⃣ ভগবান ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিবরূপে যেমন মায়িক সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয়ের কর্তা হয়ে আছেন, সেইরূপ অপ্রকৃত বৈকুণ্ঠ-শিবলােকাদি ধামেও তার ওই প্রকার সচ্চিদানন্দ রূপ আছে। ভগবানই এক এক রূপে ভক্তের  নিকট লীলা করেন।
.
5️⃣ মানুষের মনুষ্যত্বকেই মানবীয় ধর্ম বলে। প্রত্যেক মানুষ সাধনা করলে এই মানবীয় ধর্ম অতিক্রম করে “দেবত্ব লাভ করে।...এই দেবত্ব থেকে উন্নত হলে (মানুষ) জীবাত্মা পরব্রহ্মের অসীম সত্তায় প্রবেশ করে লীলারস সম্ভোগ করে।

6️⃣ সদগুরু প্রদত্ত নাম, অক্ষয় নয় বা একটা শব্দ নয়। এই নামেই অনন্ত শক্তি। শিষ্যের ভেতরে এই শক্তি সঞ্চারই সদ্গুরুর দীক্ষা। ঈশ্বরের শক্তি সকলের মধ্যেই আছে। একটি মহাপুরুষের শক্তি দ্বারা সেই শক্তিকে জাগরিত করে দেওয়াকেই শক্তিসঞ্চার বলে।

7️⃣ সমস্ত জীব কেবল (মায়িক) উপাধিতে আবৃত বলে (স্বরূপে) অন্ধবৎ আছে।' যত কাটে, ততই দেবত্ব লাভ করে। এই জন্য জীবকে “চিৎকণ” বলেছে। জীব (উপাধি) মুক্ত হলেই “শিব” (স্বরূপ)।

8️⃣ একটি কাজ নিতান্ত অনিচ্ছা থাকলেও এবং পুনঃ পুনঃ বিরত হতে চেষ্টা করেও যখন অবশ হয়ে তা করে ফেলাে, তখন তা প্রারন্ধবশতই হল জানবে।...অনিচ্ছাসত্ত্বেও যখন কোনাে কাজে প্রবৃত্ত হতে হয় জানবে, ওই কর্ম “প্রারব্ধ”। 

9️⃣ পাপ ও পূণ্য-সবেরই একটা স্বরূপ আছে, সেটি দর্শন হলেই... লােকে ঠিক বুঝতে পারে।...এখন যা পাপ-পূণ্য মনে করছাে, সমস্তই একটা সংস্কারমাত্র। 

🔟“অন্নময় কোষ” ভেদ হলে পার্থিব বস্তুতে আকর্ষণ থাকে না। “প্রাণময় কোষ” ভেদে শারীরিক উত্তেজনা (আর) থাকে না। “মনােময় কোষ” ভেদে সঙ্কল্প— বিকল্প যায়। বিজ্ঞানময় কোষ” ভেদে সংশয় বুদ্ধি থাকে না। “আনন্দময় কোষ” ভেদে পার্থিব আনন্দে (আর) মুগ্ধ করতে পারে না। তত্ত্বজ্ঞানের উদয়ে “মােহ’ নষ্ট হয়। 

1️⃣1️⃣জ্ঞান ও ভক্তি উভয়ই প্রয়ােজন। জ্ঞান না হলে ভক্তি প্রকাশ হয় না। কারণ যাকে ভক্তি করবে, তার বিষয়ে না জানলে কাকে ভক্তি করব? ভগবানের পদাশ্রিত ভগবৎ-জন মহাপুরুষেরাই সদ্গুরু। 
কর্তৃত্বাভিমান না গেলে মানুষ মুক্ত হয় না।

1️⃣2️⃣ ...ভগবানই সর্বময় কর্তা।...তার অজ্ঞাতসারে বা তার ইচ্ছা না হলে একটি তৃণও নড়ে না।..কর্তৃত্বাভিমান যতকাল আছে, ততকাল তাপও আছে। কর্তৃত্বাভিমান না থাকলে কোনাে তাপই স্পর্শ করে না।..তিনিই  সব করেছেন, তিনি সমস্ত করিয়ে নিচ্ছেন—এটি বুঝলেই শান্তি। 

1️⃣3️⃣ মহাপুরুষদের কথা তাে শাস্ত্র বিরুদ্ধ হয় না, তবে শাস্ত্রের সাধারণ ব্যবস্থার সঙ্গে মিল নাও হতে পারে। বিশেষ বিশেষ অবস্থায়, বিশেষ বিশেষ ব্যবস্থা—এ তাে শাস্ত্রেই আছে।

1️⃣4️⃣ শ্রদ্ধা-ভক্তি ভালােবাসা এই তিনটি পিঠের ওপর মানুষের জীবন দাঁড়িয়ে আছে। যে কোনাে একটি যদি অবসান ঘটে যায় তাহলে বাকি দুটি আর ক্রিয়াশীল থাকতে পারে না।

1️⃣5️⃣ অপরের ওপর বিনা কারণে কতৃত্ব করবে না। দুর্বলের ওপর অত্যাচার করবে না। সকলকে বেশি শ্রদ্ধা-ভক্তি দেখাবে না। এই সবকটি ত্যাগ করা উচিত। 
শ্রীমৎ বিজয়কৃষ্ণ গােস্বামীর অমৃতবাণী . Quotes by Srimad BijayKrishna Goswami শ্রীমৎ বিজয়কৃষ্ণ গােস্বামীর অমৃতবাণী . Quotes by Srimad BijayKrishna Goswami Reviewed by WisdomApps on জুন ১০, ২০২২ Rating: 5

এ পি জে আব্দুল কালামের ভাষণ - IIT হায়দ্রাবাদে প্রদত্ত - complete speech of APJ Abdul Kalam in Bengali

এপ্রিল ০৩, ২০২২

এ পি জে আব্দুল কালামের IIT হায়দ্রাবাদে প্রদত্ত ভাষণ 

complete speech of apj abdul kalam in bengali

ভারতের জন্য আমার তিনটি দৃষ্টিভঙ্গি আছে। আমাদের সভ্যতার তিন হাজার বছর ধরে বিশ্বের সব প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে এসেছে এবং আমাদের আক্রমণ করেছে, আমাদের জমি দখল করেছে, আমাদের মন দখল করেছে। আলেকজান্ডার থেকে, গ্রিক, তুর্ক, মােগল, পর্তুগিজ, ব্রিটিশ, ফরাসি, ডাচ সবাই এখানে এসে আমাদের লুঠ করেছে, আমাদের যা ছিল নিয়ে নিয়েছে। আমরা কাউকে আক্রমণ করিনি। আমরা ওদের জমি, ওদের সংস্কৃতি, ইতিহাস দখল করিনি এবং আমাদের জীবন ওদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করিনি। কেন? কারণ আমরা অন্যের স্বাধীনতাকে সম্মান করি

এজন্যই আমার প্রথম দৃষ্টিভঙ্গি হল ‘ফ্রিডম’ বা স্বাধীনতা। আমি মনে করি, ভারত তার প্রথম দৃষ্টিভঙ্গি পেয়েছিল ১৮৫৭ সালে, যখন আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু করেছিলাম। এটাই সেই স্বাধীনতা যা আমাদের অবশ্যই রক্ষাকরতে হবে এবং লালনপালন করতে হবে। আমরা যদি স্বাধীন না হই, কেউ আমাদের সম্মান করবে না। 

ভারতের জন্য আমার দ্বিতীয় দৃষ্টিভঙ্গি হল উন্নয়ন। পঞ্চাশ বছর ধরে আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশ। এখন সময় এসেছে আমাদের উন্নত দেশ রূপে আত্মপ্রকাশ করার। জিডিপির ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বের প্রথম পাঁচটা দেশের মধ্যে রয়েছি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমাদের দশ শতাংশ বৃদ্ধির হার আছে। আমাদের দারিদ্র্যসীমা হ্রাস পেয়েছে। আমাদের কৃতিত্ব আজ বিশ্ব স্তরে স্বীকৃতি পেয়েছে। এরপরও আমরা নিজেদের উন্নত, স্বনির্ভরশীল ও স্বনিশ্চিত দেশ হিসেবে দেখার আত্মবিশ্বাসের অভাব বােধ করছি। এটা কি সত্যি নয়?

আমার তৃতীয় দৃষ্টিভঙ্গি হল যে বিশ্বের কাছে ভারতকে উঠে দাঁড়াতে হবে। কারণ আমি বিশ্বাস করি যে যদি ভারত বিশ্বের সামনে উঠে না দাঁড়ায় তবে আমাদের কেউ সম্মান শ্রদ্ধা করবে না। একমাত্র শক্তিই শক্তিকে সম্মান করে। আমাদের শক্তিশালী হতে হবে শুধু সামরিক শক্তিতেই নয়, এইসঙ্গে অর্থনৈতিক শক্তিতেও। উভয়ের উচিত হাতে হাত মিলিয়ে চলা। আমার সৌভাগ্য যে তিনজন বিখ্যাত মানুষের সঙ্গে কাজ করার সুযােগ পেয়েছি। মহাকাশ বিভাগের বিক্রম সারাভাই, তার উত্তরসূরি অধ্যাপক সতীশ ধাওয়ান এবং পরমাণু সামগ্রীর জনক ব্ৰহ্ম প্রকাশ। আমি খুব ভাগ্যবান যে এই তিনজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি এবং এই মহান সুযােগ আমার জীবনে এসেছে। আমার কেরিয়ারে চারটি মাইলফলক দেখেছি ।

 আমি কুড়ি বছর কাটিয়েছি আইএসআরও-তে। ভারতের প্রথম উপগ্রহ চালিত যানের— এসএলভি৩– প্রজেক্ট ডিরেক্টর হওয়ার সুযােগ আমাকে দেওয়া হয়েছিল। এটা রােহিণী প্রতিস্থাপন করেছিল। আমার বৈজ্ঞানিক জীবনে এই বছরগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমার আইএসআরও জীবন শেষ হওয়ার পর আমি যােগ দিই ডিআরডিও-তে এবং ভারতের মিসাইল কর্মসূচিতে কাজ করার সুযােগ পাই। এটা ছিল আমার দ্বিতীয় আশীর্বাদ যখন ১৯৯৪ সালে অগ্নি তার প্রয়ােজনীয় অভিযান প্রাপ্ত হল।

১১ ও ১৩ মে, সাম্প্রতিক পরমাণু পরীক্ষায় আণবিক শক্তি ও ডিআরডিও-র এই দুর্দান্ত জুটি ছিল। এটা ছিল তৃতীয় আশীর্বাদ। এই পরমাণু পরীক্ষাগুলােয় আমার দলের সঙ্গে কাজ করার আনন্দ পেয়েছি এবং বিশ্বের কাছে প্রমাণ করেছি যে ভারত এটা করতে পারে, আমরা আর উন্নয়নশীল দেশ নই বরং ওদের অন্যতম। এটা আমাকে একজন ভারতীয় হিসেবে খুব গর্বিত করিয়েছে । সত্যি কথা হল এখন আমরা অগ্নির জন্য নতুন কাঠামােয় উন্নয়ন করছি, যার জন্য আমরা এই নতুন সামগ্রী উন্নত করেছি। খুব হালকা সামগ্রী যাকে বলা হয় কার্বন-কার্বন।

একদিন নিজাম ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স থেকে একজন অর্থোপেডিক সার্জন আমার গবেষণাগার দেখতে আসেন। তিনি এই সামগ্রী তুলে উপলব্ধি করেন যে এটা খুব হালকা এবং এরপর তিনি আমাকে তার হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তার রােগীদের দেখান। যেখানে ছােট্ট ছােট্ট বালকবালিকা তাদের পায়ে তিন কেজি ওজনের ধাতুর ক্যালিপার লাগিয়ে শুয়েছিল।

তিনি আমাকে বলেছিলেন : অনুগ্রহ করে আমার রােগীদের ব্যথা দূর করুন। তিন সপ্তাহের মধ্যে আমরা ৩০০ গ্রাম ওজনের ক্যালিপার তৈরি করে অর্থোপেডিক সেন্টারে নিয়ে গেলাম। এটা ছেলেমেয়েরা চোখে দেখেও বিশ্বাস করতে পারছিল না। পা থেকে তিন কেজি ওজন সরিয়ে দেওয়ার পর ওরা তখন হাঁটতেও পারছিল! ওদের বাবা-মায়ের চোখে আনন্দাশ্রু। এটা আমার চতুর্থ আশীর্বাদ


এখানে সংবাদমাধ্যম কেন এত নেতিবাচক? ভারতে কেন আমরা আমাদের নিজস্ব শক্তি, নিজস্ব কৃতিত্ব স্বীকার করতে ইতস্তত বােধ করি ? আমরা এত মহান দেশ। আমাদের অনেক দুরন্ত সাফল্যের কাহিনি আছে, কিন্তু আমরা সেগুলাে স্বীকার করতে কুণ্ঠা বােধ করি। কেন?

দুধ উৎপাদনে আমরা বিশ্বের প্রথম। রিমােট সেন্সিং স্যাটেলাইটে আমরা এক নম্বর। আমরা দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী। আমরা দ্বিতীয় বৃহত্তম ধান উৎপাদনকারী। ড. সুদর্শনের দিকে তাকান, তিনি একটা উপজাতি গ্রামকে স্বনির্ভরশীল, আত্মচালিত গ্রামে পরিণত করেছেন। এরকম লক্ষ লক্ষ কৃতিত্বের কাহিনি আছে, কিন্তু আমাদের সংবাদমাধ্যম শুধুই খারাপ সংবাদ, ব্যর্থতা ও বিপর্যয়ের খবরে মােহাবিষ্ট।

একসময় আমি তেল আভিভে ছিলাম এবং একটা ইজরায়েলি সংবাদপত্র পড়তাম। অনেক আক্রমণ, বােমা বিস্ফোরণ ও মৃত্যু ঘটেছিল একদিন। হামারা আক্রমণ করে। পরের দিন সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় ছিল একজন ইহুদি ভদ্রলােকের ছবি যিনি পাঁচ বছরে একটা মরু অঞ্চলকে অর্কিড ও শস্যভূমিতে পরিণত করেছেন।

এটা ছিল সেই অনুপ্রেরণামূলক ছবি যে সবাইকে জাগিয়ে দেয়। হত্যা, বােমা বিস্ফোরণ, মৃত্যুর খবর ছিল সংবাদপত্রের ভেতরের পাতায় অন্যান্য খবরের সঙ্গে মিলেমিশে। ভারতে আমরা শুধু মৃত্যু, রুগ্নতা,উগ্রপন্থা, অপরাধের খবর পড়ি। আমরা কেন এত নেতিবাচক ? 

আরেকটা প্রশ্ন : জাতি হিসেবে আমরা কেন বিদেশি সামগ্রী নিয়ে এত মােহাবিষ্ট? আমরা বিদেশি টিভি চাই, আমরা বিদেশি জামা চাই,আমরা বিদেশি প্রযুক্তি চাই। আমদানিকৃত সামগ্রী নিয়ে আমরা কেন মােহাবিষ্ট। আমরা কি অনুভব করি না যে আত্মনির্ভরশীলতা থেকেই আত্মসম্মান তৈরি হয় ? হায়দরাবাদে আমি যখন এই ভাষণ পেশ করি, একটি ১৪ বছরের মেয়ে আমার অটোগ্রাফ নিতে আসে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করি তােমার জীবনের লক্ষ্য কী? সে উত্তর দিয়েছিল : আমি উন্নত ভারতে বাস করতে চাই। তার জন্য আপনারা এবং আমাকে এই উন্নত ভারত গড়তে হবে। আপনারা নিশ্চয় জানেন যে ভারত আর অনুন্নত দেশ নয়, এটা খুব উন্নত দেশ

আপনাদের কি দশ মিনিট সময় আছে? আমাকে একটু সময় দিন। আপনাদের দেশের জন্য দশ মিনিট সময় দেবেন না? যদি হ্যা বলেন,তাহলে বলুন, অবশ্য পছন্দটা আপনাদের।

আপনারা বলছেন যে 'আমাদের সরকার অক্ষম?

আপনারা বলছেন যে আমাদের আইন খুব পুরনাে?

আপনারা বলছেন যে পৌরসভার গাড়ি আবর্জনা সরায় না

আপনারা বলছেন যে ফোন কাজ করে না, রেলপথ হাস্যকর, বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ এয়ারলাইন, চিঠি কখনাে গন্তব্যে পৌঁছায় না।

আপনারা বলছেন যে আমাদের দেশ কুকুরের খাদ্যে পরিণত হয়েছে।

আপনারা বলতে থাকুন, বলতে থাকুন।

আপনারা এসম্পর্কে কী করেছেন? সিঙ্গাপুরগামী কোনাে ব্যক্তিকে ধরুন। তার নাম দিন আপনাদের। তাকে একটা মুখ দিন-- আপনাদের। আপনি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসুন এবং আপনারা সবার সেরা হয়ে উঠুন। সিঙ্গাপুরে সিগারেটের টুকরাে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলা যায় না ।  তাদের ভূতল যােগাযােগ নিয়ে আপনি গর্বিত হবেন। বিকেল ৫টা থেকে সন্ধে ৮টার মধ্যে ৫ ডলার দিয়ে (প্রায় ৬০ টাকা) অর্চাড রােডে আপনাকে গাড়ি চালাতে হবে। কোনাে রেস্তোরাঁ বা শপিং মলে অতিরিক্ত সময় কাটালে আপনি যেই হন না কেন, পার্কিং মাশুল দিতে হবে। সিঙ্গাপুরে আপনি কিছু বলতে পারেন না, পারেন কি ? দুবাইয়ে রমজানের সময় আপনি প্রকাশ্যে কিছু খেতে পারবেন না। জেড্ডায় আপনি আপনার মাথা না ঢেকে হাঁটতে পারবেন না। আপনি লন্ডনে কোনাে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ কর্মীকে ১০ পাউন্ড দিয়ে বলার সাহস করবেন না যে দেখবেন আমার এসটিডি ও আইএসডি কলের বিল যেন অন্য কারও নামে আসে।

ওয়াশিংটনে আপনি ঘণ্টায় ৫৫ মাইল (ঘণ্টায় ৮৮ কিলােমিটার) গতিবেগে গাড়ি চালানাের সাহস করবেন না এবং কোনাে ট্রাফিক পুলিশকে বলতে পারবেন না, জানতা হ্যায় শালা ম্যায় কৌন হু? আমি অমুক, আমি অমুকের ছেলে। দুডলার নাও এবং ভাগাে এখান থেকে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সমুদ্রতীরে আপনি খালি নারকেলের খােলা আবর্জনার বাক্স ছাড়া কোথাও ফেলতে পারবেন না। কেন আপনারা টোকিওর রাস্তায় পানের পিক ফেলতে পারেন না? কেন আপনারা বােস্টনে পরীক্ষার জকি বা নকল সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে পারেন না? আমরা এসব কথাই সেই আপনাকে বলছি। আপনি, যে অন্যান্য দেশের ব্যবস্থা শ্রদ্ধা ও সম্মান করেন কিন্তু সেটা কখনাে নিজের দেশে করেন না। ভারতীয় ভূমিতে প্রবেশ করলেই আপনারা সিগারেট ও কাগজের টুকরাে ছুঁড়ে রাস্তায় ফেলেন। যদি আপনারা বিদেশে গিয়ে এসব নিয়ম মানতে পারেন তবে কেন ভারতে একই কাজ করবেন না ?

একবার এক সাক্ষাৎকারে বম্বের বিখ্যাত প্রাক্তন পৌরসভার কমিশনার। তিনাইকর খুব সুন্দর বলেছিলেন, ‘ধনী মানুষদের কুকুর রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে যেখানে সেখানে তাদের মলমূত্র ত্যাগ করে। এরপর সেই একই মানুষগুলাে কর্তৃপক্ষের সমালােচনা করে অক্ষমতা ও নােংরা রাস্তার জন্য।

 আধিকারিকরা কী করবেন বলে তারা আশা করেন? তাদের কুকুর যতবার মলমূত্র ত্যাগ করবে সেগুলাে পরিষ্কার করবেন ? আমেরিকায় সব কুকুর যা নােংরা করবে সেটা তার মালিককেই পরিষ্কার করতে হয়, জাপানেও একই নিয়ম। ভারতীয় নাগরিকরা কি এখানে সেটা করে?' তিনি সঠিক কথাই বলেছেন। আমরা নির্বাচনের সময় ভােট দিই সরকার গড়ার জন্য তারপর সব দায়িত্ব তার ওপর দিয়ে আমরা বসে থাকি। আমরা আশা করি আমাদের সরকার সব কাজ করে দেবে কিন্তু আমাদের অবদান একেবারে নেতিবাচক। আমরা আশা করি সরকার সব পরিষ্কার করবে কিন্তু আমরা সর্বত্র নােংরা ফেলা বন্ধ করি না কিংবা আমরা কখনাে রাস্তা থেকে কাগজের টুকরাে কুড়িয়ে আবর্জনার বাক্সে ফেলি না। আমরা আশা করি রেলওয়ে আমাদের পরিষ্কার বাথরুম দেবে কিন্তু আমরা বাথরুমের উপযুক্ত ব্যবহার শিখলাম ।


আমরা চাই ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স ও এয়ার ইন্ডিয়া সেরা খাদ্য ও আতিথেয়তা দেবে কিন্তু আমরা নামমাত্র সুযােগেই তা নষ্ট করতে দ্বিধা করি না। একই কথা প্রযােজ্য সেইসব কর্মচারীর ক্ষেত্রে যারা জনগণকে পরিষেবা দেয় না। সমাজের জ্বলন্ত সমস্যাগুলাের ক্ষেত্রে যেমন মহিলা, পণ, শিশুকন্যা ও অন্যান্য ব্যাপারে আমরা প্রতিবাদ করি এবং ঘরে এসে তার বিপরীত কাজ করি। আমাদের অজুহাত? ‘গােটা ব্যবস্থাটাই বদলাতে হবে, শুধু আমার পুত্রকে পণ নেওয়া থেকে বিরত করলে কী ইতরবিশেষ হবে? 


তাহলে ব্যবস্থাটা কে বদলাবে? ব্যবস্থা বা পদ্ধতিতে কী থাকে ? সাধারণভাবে এটা আমাদের অতিথি, অন্যান্য পরিবার, আমাদের শহর, আমাদের সম্প্রদায় ও প্রকার। কিন্তু অবশ্যই আমি বা আপনারা নন। যখন আমাদের কাছে সময় আসে এই পদ্ধতি বা ব্যবস্থায়। ইতিবাচক অবদান রাখার তখন আমরা পরিবারের সঙ্গে নিজেকে নিরাপদ খােলসে আটকে রাখি এবং তাকিয়ে থাকি দূরে যে একজন মিস্টার ক্লিন এসে তার জাদুকরি হাতের ছোঁয়ায় অলৌকিক কিছু ঘটিয়ে আমাদের মুক্ত করবে কিংবা আমরা এই দেশ ছেড়ে চলে যাব। যেমন কাপুরুষের মতাে আমরা ভয় পেয়ে আমেরিকার কাছে দৌড়ে যাই এবং তাদের সাফল্য ও পদ্ধতির প্রশংসা করি। যখন নিউ ইয়র্কে নিরাপত্তার অভাব ঘটে আমরা চলে যাই ইংল্যান্ডে। যখন ইংল্যান্ডে বেকারির সমস্যা তীব্র হয় আমরা পরের উড়ান ধরে চলে যাই মধ্যপ্রাচ্যে। যখন মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধভূমি হয়ে ওঠে আমরা তখন নিরাপত্তার জন্য চিৎকার করি এবং ভারত সরকার আমাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।


সবাই এই দেশকে গালি দিচ্ছে এবং ধর্ষণ করছে। কেউ সিস্টেমের কথা ভাবছে না। আমাদের চেতনা এখন অর্থভিত্তিক হয়ে গেছে। 

হে ভারতীয়রা,

এই প্রবন্ধ চিন্তা উদ্রেককারী, এটা নিজেকে নিয়ে নিজে ভাবার জন্য এবং নিজের বিবেককে জাগ্রত করার জন্য সেজন্য... আমি জে এফ কেনেডির কথাই পুনরাবৃত্তি করব - ভারতীয়দের জন্য যা তিনি তাঁর দেশ আমেরিকার মানুষদের জন্য বলেছিলেন...

‘নিজেকে প্রশ্ন করাে যে আমরা ভারতের জন্য কী করতে পারি এবং আমেরিকা ও অন্যান্য পশ্চিমী দেশ আজ যা হয়েছে ভারতকে সেরকম গড়তে হলে আমার কী করা উচিত। আমাদের থেকে ভারতের যা প্রয়ােজন আসুন আমরা সেটাই করি।


ধন্যবাদ আব্দুল কালাম


 

এ পি জে আব্দুল কালামের ভাষণ - IIT হায়দ্রাবাদে প্রদত্ত - complete speech of APJ Abdul Kalam in Bengali এ পি জে আব্দুল কালামের ভাষণ - IIT হায়দ্রাবাদে প্রদত্ত - complete speech of APJ Abdul Kalam in Bengali Reviewed by WisdomApps on এপ্রিল ০৩, ২০২২ Rating: 5

সাধক শ্রীমৎ ভােলানন্দ গিরির বাণী • অসাধারন ১৫টি বানী সংকলন । ভোলানন্দ গিরি বাণী বংলা

মার্চ ৩০, ২০২২

শ্রীমৎ ভােলানন্দ গিরির অমৃতবাণী - পড়ুন - শেয়ার করুন 

quotes by bholananda giri


 👉যদি মনের কথা মতাে চলাে, তবে কখনােই শান্তি পাবে না। কারণ একটি বাসনা পূর্ণ হলেই অপর একটি বাসনার উদয় হবে। বাসনার হাত থেকে কোনাে ক্রমেই নিষ্কৃতি হবে না। মনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয় সময়ে মন আপনিই শান্ত হয়ে যাবে।ধৈৰ্য্য চাই।

✍ জলের মতাে স্বচ্ছ পবিত্র হৃদয় হবে। ভূমির মতাে ক্ষমাশীল ও সহিষ্ণু হবে।সূর্যালােকের মতাে প্রকাশশীল হবে।

🙏“গুরু” শব্দ দ্বারা কোনাে ব্যক্তিকে বােঝায় না। “গুরু” একটি শক্তি, যে শক্তির সাহায্যে অজ্ঞানী জ্ঞান লাভ করে। এই শক্তি একমাত্র তাদেরই মধ্যে জাগে যাঁরা ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেছেন। যিনি ব্রহ্মকে জানেন, তিনি নিজেই ব্রহ্মস্বরূপ হয়ে যান। যিনি গুরু, তিনিই ঈশ্বর। সকলের গুরুই এক।

👉যে দেহকেই আত্মা বলে মনে করে, তার মনে রিপুগণ আসবেই। আর যে নিজেকে দেহাতীত বলে জেনেছে, তার মনে রিপুগুলি আসতেই পারে না। কাউকে কখনও কর্কশ বাক্য ব্যবহার করাে না। অন্যায় দেখলে নিন্দনীয় বাক্য প্রয়ােগ না করে শাসন করাে।

✍ আত্মজ্ঞানী দেখেন, “সব ভগবানের মায়া; সব তারই ইচ্ছা।”

👉এই শরীর পঞ্চভূত হতে উৎপন্ন হয়েছে, পুনরায় তাতেই লয় পাবে।—এইরূপ বিচার করে সর্বদা শরীর থেকে নিজেকে পৃথক বলে ধারণা করতে চেষ্টা করবে। 

🙏বাহ্য দৃষ্টিতে সাধুদের বিচার করতে নেই। ... আত্মজ্ঞদের ব্যবহার বাইরে থেকে বােঝা কঠিন।

👉আয়ের এক-দশমাংশ যােগ্য পাত্রে গােপনে দান করবে। এক-চতুর্থাংশ সঞ্চয় করবে ভবিষ্যতের জন্য। বাকি অংশে সংসার নির্বাহ করবে।

যতদিন সামর্থ্য থাকে, ততদিন শরীর দ্বারা খুব কাজ করিয়ে নেওয়াই ভালাে। যখন খেতে চায় ঠিক খাবার দাও, আবার যখন কাজে লাগাবে তখন এর কোনাে কথাই শুনবে না, খুব কাজ আদায় করবে... সাধনের সময় যদি আলস্য করে... তবে একে জোর করে সাধনা করতে হবে। শরীরকে যত কম আরামে রাখবে, শরীর তত সুস্থ থাকবে ও আত্মজ্ঞানের সহায়ক হবে।

👉জপ করতে করতেই অন্তঃকরণ শুদ্ধ হয়। শুদ্ধ অন্তঃকরণে তত্ত্বজ্ঞানের উদয় হয়। সিদ্ধি লাভ হয়ে থাকে।

🙏ভগবান আছেন—এটা ঠিক জানবে। যাঁরা তাঁকে দেখেছেন, সেইসব ত্রিকালদর্শী মহাপুরুষগণ তার অস্তিত্ব সম্বন্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। শাস্ত্রে তা লিপিবদ্ধ হয়ে আছে।বিশ্বাস ও ভক্তিবলেই শ্রীভগবানের দর্শন, আত্মার উপলব্ধি ও নির্বাণ লাভ হয়ে থাকে।

“অজ্ঞান” বােধেও চৈতন্য আছে, কিন্তু তাতে অজ্ঞানের প্রকৃতির কোনাে হানি হয়।। এই চৈতন্যকে “সামান্য চৈতন্য” বলে, যা সর্বব্যাপী আকাশবৎ আছে। এর দ্বারা কারাের কোনাে লাভ বা ক্ষতি হয় না। কিন্তু বিশেষ চৈতন্যেই” জ্ঞানের উদয় হয়। (সামান্য ও বিশেষ দুই মায়া শক্তির অধীনে,—সামান্যটি অবিদ্যামায়াগত, বিশেষটি বিদ্যামায়াত)।

🙏কাম (আসক্তি) ও মােহকে বৈরাগ্য দ্বারা, লােভকে সন্তোষ দ্বারা ও ক্রোধকে ক্ষমা দ্বারা জয় করবে। ক্রোধকে সম্পূর্ণ ত্যাগ  করলে কাজ চলে না তাই লােককে শাসনের জন্য একটু ক্রোধ রাখতে হয়। সত্ত্বগুণের ক্রোধ রাখবে, রজঃ ও তমগুণের ক্রোধ বিষবৎ পরিত্যাগ করবে। সত্ত্বগুণীর ক্রোধ, যেমন জলের ওপর রেখা টানা মাত্রই জলের মধ্যে মিলিয়ে যায়।

👉“যা কিছু করি, ভগবানের সেবার্থে করি” এই প্রকার দ্বৈতভাবে চলাে। তারপর ঠিক অদ্বৈতভাব আসবে।

🙏মাতা-পিতার সেবা করবে, তাদের অবহেলা করলে কৃতঘ্নতারূপ মহাপাপে লিপ্ত হবে। অতিথি পরায়ণ হবে। সঙ্কীর্ণ মন দ্বারা ধর্মাচরণ সম্ভব হয় না।

সাধক শ্রীমৎ ভােলানন্দ গিরির বাণী • অসাধারন ১৫টি বানী সংকলন । ভোলানন্দ গিরি বাণী বংলা  সাধক শ্রীমৎ ভােলানন্দ গিরির বাণী • অসাধারন ১৫টি বানী সংকলন । ভোলানন্দ গিরি বাণী বংলা Reviewed by WisdomApps on মার্চ ৩০, ২০২২ Rating: 5

প্লেটোর দর্শনে ৩০ টি অনুপ্রেরণামূলক বানী । প্লেটোর বানী ও উক্তি

ফেব্রুয়ারী ০৫, ২০২২

 


• চরম অজ্ঞতা অতটা ভয়ানক কিংবা অশুভ নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে তা এসব থেকে বহু দূরে। কিন্তু অত্যাধিক শিক্ষা, অত্যাধিক ধূর্ততা, সেই সঙ্গে অসৎ পরিবারে বড় হয়ে ওঠা সমাজের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক।

• গণতন্ত্র থেকেই জেগে ওঠে স্বৈরতন্ত্র, যা কিনা চরম স্বাধীনতা জাত অত্যাচার ও দাসত্বের এক ভয়াবহ রূপ।

• প্রতিটি হৃদয়ই গান গায়, তবে তা অসম্পূর্ণ, যতক্ষণ না আর একটি হৃদয় সে গান ফিসফিসিয়ে ফিরিয়ে দেয়। যারা গান গাইতে চান সব সময়ই কোনাে-না-কোনাে গান গেয়ে যান। প্রেমের স্পর্শে প্রত্যেকেই এক একজন কবি হয়ে যান।

• অতিরিক্ত স্বাধীনতা, তা সে ব্যক্তির ক্ষেত্রেই হােক কিংবা রাষ্ট্রের, পরিণতিতে চরম দাসত্ব ডেকে আনে।

• যা কিছু অতিরিক্ত তা সবেরই প্রতিক্রিয়া আছে এবং তা বিপরীতমুখী। ঋতু-ব্যক্তি- সরকার, সকলের ক্ষেত্রেই কথাটা প্রযােজ্য।

• সকল যুদ্ধ জয় অপেক্ষা মহত্তম জয় হল নিজেকে জয় করা।

• যিনি বিয়ার আবিষ্কার করেছিলেন তিনি একজন জ্ঞানী ব্যক্তি।

• সঠিক শিক্ষা ও লালনপালন সুনাগরিকত্বের বীজ বপন করে।

• যিনি অন্যায় করেন তাকে অন্যায় দ্বারা আহত ব্যক্তি অপেক্ষা বেশি যন্ত্রণা একদিন সইতে হয়।

• যিনি শান্ত ও সুখী তিনি বয়সের চাপ তেমন অনুভব করেন না এর বিপরীত মানসিকতার মানুষদের কাছে যৌবন কিংবা বয়স সমান বােঝা স্বরূপ।

• যে ভালাে সেবক নয় কখনােই ভালাে প্রভু হতে পারে না।

• সততা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অসততার থেকে কম লাভজনক। 

• যে সামান্য চুরি করে তার অভিপ্রায় যে বড় ধরনের চুরি করে তার থেকে কোনাে অংশে কম নয়। 

• তুমি কীভাবে প্রমাণ করবে যে এই মুহূর্তে আমরা ঘুমিয়ে আছি, আর আমাদের সকল ভাবনাই এক একটা স্বপ্ন ; কিংবা আমরা জেগে আছি, এবং একে অপরের সঙ্গে যে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছি তা সম্পূর্ণ জাগ্রত অবস্থায় ? 

• মানুষের ব্যবহার তিনটি উৎস থেকে নেমে আসে  ঃবাসনা,আবেগ,এবংজ্ঞান। 

•আমি তােমাদের জোর করছি যুদ্ধে নামতে,এ যুদ্ধ জীবনের সঙ্গে,পার্থিব যে-কোনাে দ্বন্দ্বের থেকে যে যুদ্ধ বড়। জীবনে আমি এমন কোনাে গণিতজ্ঞের কথা শুনিনি যিনি যুক্তিনিষ্ঠ।

•মূল্যবান কোনাে কিছু আমার জীবনে আচমকা ঘটেনি, আমার কোনাে আবিষ্কার দুর্ঘটনাবশত ঘটেনি; সবকিছুই এসেছে কাজের মধ্য দিয়ে।

•আমি তাহলে ধরে নেব,তােমার মৌনতার অর্থ সম্মতি।

•আরও অনেক কিছু শিখতে শিখতে আমি বুড়াে হব।

•অজ্ঞতা,যাবতীয় দুর্দশার মূল এবং কাণ্ড।

•যে মানুষ শিক্ষাকে অবহেলা করে,জীবনের শেষপ্রান্ত অবধি সে খুঁড়িয়ে হাঁটে।

• অন্যায় সর্বদা নিন্দনীয় কারণ যারা নিন্দা করেন তারা অন্যায়ের শিকার হতে ভয় পান। তারা নিজেরা যেসব অন্যায় করেন তার ভয়ে নয়।

• এটা প্রত্যেকেই কাছেই পরিষ্কার যে অ্যাস্ট্রোনমি সব ঘটনাতেই আমাদের আত্মাকে বাধ্য করে ওপর দিকে তাকাতে, আর পৃথিবীর যা কিছু তা থেকে সরিয়ে আনতে।

• প্রত্যেক মুখে মুখে অতি সাধারণ প্রবাদটি হল, জীবন হােটেল-বাস ছাড়া আর কিছু নয়।

• যার যা প্রাপ্য তাকে তা দেওয়া উচিত।

• রাষ্ট্রের জীবনে কিংবা আচরণে ন্যায়বিচার তখনই সম্ভব যখন প্রত্যেক নাগরিকের হৃদয়ে তা বিদ্যমান।

• ন্যায় মানে নিজের কাজে মন দেওয়া এবং অপরের কাজে ব্যাঘাত না ঘটানাে।

• জ্ঞান হল প্রকৃত অভিমত। জ্ঞান অশুভ হয়ে দাঁড়ায় যখন তার লক্ষ্য পাপের দিকে নিবদ্ধ হয়। মানুষ বাধ্য হয়ে যে জ্ঞান অর্জন করে মনের ওপর তার ছাপ পড়ে না।

• শুধুই ধন-সম্পদ নয়, গভীর শ্রদ্ধার মহিমা কী—আসুন, আমরা সকলে আমাদের সন্তান-সন্ততিদের তারও উত্তরাধিকারী ঘােষণা করে যাই।

• বিবেকহীন জ্ঞানকে বলা যেতে পারে এক ধরনের ধূর্ততা, তা মােটেই বােধি অভিমুখী নয়।

প্লেটোর দর্শনে ৩০ টি অনুপ্রেরণামূলক বানী । প্লেটোর বানী ও উক্তি প্লেটোর দর্শনে ৩০ টি অনুপ্রেরণামূলক বানী । প্লেটোর বানী ও উক্তি Reviewed by WisdomApps on ফেব্রুয়ারী ০৫, ২০২২ Rating: 5

কেমন কাটবে এই সপ্তাহ ? জানুন নিখুঁত ভাগ্যফল ১৬ থেকে ২২শে জানুয়ারী ২০২২

জানুয়ারী ১৬, ২০২২

 সাপ্তাহিক রাশিফল বাংলা -জেনে নিন কেমন কাটবে এই সপ্তাহ ? কি লেখা আছে ভাগ্যে ?  ১২ রাশির এই সপ্তাহের রাশিফল । অভিজ্ঞ জ্যোতিষীদের সাহায্যে তৈরি নিখুঁত রাশিফল । 



কেমন কাটবে এই সপ্তাহ ? জানুন নিখুঁত ভাগ্যফল ১৬ থেকে ২২শে জানুয়ারী ২০২২ কেমন কাটবে এই সপ্তাহ ? জানুন নিখুঁত ভাগ্যফল ১৬ থেকে ২২শে জানুয়ারী ২০২২ Reviewed by WisdomApps on জানুয়ারী ১৬, ২০২২ Rating: 5

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উক্তি - সেরা ১১ টি Quotes by Sunil Gangopadhyay

জানুয়ারী ১৬, ২০২২

 সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বানী 

sunil gangopadhyay quotes in bengali


• মেয়েরা এক এক সময় মুখে যা বলে, মনের কথাটা হয় ঠিক তার উল্টো। 

• সময় তাে দর্পণের মতাে থেমে থাকে না, সময় নদীর স্রোতের মতাে বয়ে চলে। তবু দর্পণের প্রতিবিম্বের মতন এক একটি ছবি সময়ের স্রোতের মধ্যেও নিথর হয়ে থাকে। 

• শরীরের তাে পাপ-পুণ্য নেই। সবকিছুই মনের।


• মানুষ তার সীমানা ছাড়াতে পারে, তার আগে সীমানাটা চেনা দরকার ভালাে করে,বুঝতে হয় কোথায় কোথায় তার অক্ষমতা আর কোথায় কোথায় তার ক্ষমতাকে একটুও কাজে লাগানাে হয়নি।

• শরীরের একটা জৈবিক সুখ আছে। কিন্তু ভালবাসা না পাবার উপলব্ধির বেদনা যে আরাে অনেক, অনেক বেশি তীব্র।

• পুরুষের চোখে কোনাে কোনাে নারী চিরন্তন প্রেমিকা হয়েই থাকে।


• দেশাত্মবােধের অপর নাম ঘৃণা।

• দেশের মানুষকেই দেশের ভবিষ্যৎ গড়তে হয়। এই ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য স্বপ্ন দেখতে হয়। সকলের স্বপ্ন এক হয় না, তা নিয়েই যত বিপত্তি।


• স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দ, অকারণ হাসি, এসব শুধু যৌবনেই সম্ভব।

• যৌবন অনেক কিছুই সহ্য করতে পারে। যৌবনের অনেক দুঃখ যন্ত্রণাকেও মনে হয় বিলাসিতা।

quotes by sunil gangopadhyaya


• দুঃখই কবিতার জননী।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উক্তি - সেরা ১১ টি Quotes by Sunil Gangopadhyay সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উক্তি - সেরা ১১ টি Quotes by Sunil Gangopadhyay Reviewed by WisdomApps on জানুয়ারী ১৬, ২০২২ Rating: 5
Blogger দ্বারা পরিচালিত.