স্তন ক্যানসার , কীভাবে পরীক্ষা করবেন ? সাবধান হন আর জেনে নিন কখন কি ট্রিটমেন্ট করাবেন ।



মহিলাদের মধ্যে যে ক্যান্সারের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি তা হলো স্তন ক্যান্সার। সাবধানে থেকে বা হাজার সাবধানতা নিয়েও এই রোগ কখনও কখনও আটকানো যায় না। তবে সচেতন থাকলে আগে ভাগেই চিনে ফেলতে পারেন এই ক্যানসার। প্রাথমিক স্তরে চিকিৎসা করালে রোগ নির্মূল করা যায় সহজেই। তাই চলুন দেরি না করে জেনে নিই এই রোগ চিনবেন কি করে।

● আয়নার দুপাশে হাত রেখে দাঁড়ান। দুদিকের স্তনের মধ্যে কোনও অসামঞ্জস্য আছে কি না লক্ষ করুন। এবার মাথার ওপর দুহাত তুলুন। মাথার পাশে রাখুন। দেখুন দুদিকের স্তনের মধ্যে কোনও অসামঞ্জস্য আছে কি না। হাতের চেটো দিয়ে প্রথমে একদিকের ও পরে অন্য দিকের স্তন পরীক্ষা করুন। কোনওরকম চাকা বা ফোলা ভাব আছে কি না ভালো করে লক্ষ্য করুন। এবার দেখুন নিপল বা স্তনবৃন্তে কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না। পরিবর্তন বলতে এক দিকের নিপল ভেতরের দিকে ঢুকে গেছে কি না বা নিপল এর পাশে কোনো ঘা আছে কি না। যদি ঘা এর সন্ধান পান তাহলে অবিলম্বে ব্রেস্ট ক্যানসার সার্জেনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। হতেই পারে, আপনার স্তনে ক্যানসার হয়নি। কিন্তু যদি হয়, তাহলে সঠিক সময়ে চিকিৎসার কোনো বিকল্প নেই।

● ট্রিপল এসেসমন্ট পদ্ধতি: ডায়াগনসিসের জন্য যেতে পারেন কোলকাতার ওয়ান স্টপ বেস্ট ক্লিনিকে। চিকিৎসার জন্য এখানে রয়েছে ট্রিপল এসেসমেন্ট পদ্ধতি - ১) প্রথমে একজন স্তন ক্যান্সার সার্জেন রোগীর পরীক্ষা করেন ও তার পারিবারিক ইতিহাস জানবেন। 

২) রোগীর স্তনের আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান বা ম্যামোগ্রাম করে হবে। ৩) সার্জেন রোগীর ল্যাম্প থেকে এফ এন এ সি বা কোর বয়োন্সি করবেন।
এখন বেশিভাগ ক্ষেত্রে কোর বয়োপ্সি করা হয় কারণ এটি উন্নত পদ্ধতি। অল্পবয়সীদের ক্ষেত্রে সাধারণত আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান করা হয়। ৩৫ বয়সের বেশি মহিলাদের ক্ষেত্রে রোগ শনাক্তকরণের জন্য ম্যামোগ্রাম করা হয়।

● সবসময় সার্জারির প্রয়োজন হয় না: প্রথম ধাপেই ক্যানসার ধরা পরলে সার্জারির প্রয়োজন হয় না। রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ সার্জেন ঠিক করেন কী ধরনের অস্ত্রপচার প্রয়োজন। চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে এখন প্রাথমিক স্তরে স্তন ক্যানসার ধরা পরলে স্তন কেটে বাদ দেওয়ার প্রয়োজন পরে না। শুধুমাত্র টিউমার বাদ দিয়ে স্তনের বাকি অংশ রেডিওথেরাপি বা রে দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এই সার্জারির সময় বগলের নিচের অংশের গ্ল্যান্ড গুলো সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হয়। এই রিপোর্টের ওপরেই নির্ভর করে রোগীর কেমোথেরাপির প্রয়োজন কি না। তবে বেড়ে যাওয়ার পর ধরা পরলে নিও অ্যাডযুকেন্ট কেমোথেরাপি দিয়ে সার্জারি করাটাই ভালো।

● হরমোন থেরাপিতেও রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব: বেশ কিছু ক্ষেত্রে স্তন ক্যানসার হরমোন রিসেপ্টর সেনসিটিভ হয়। এক্ষেত্রে রোগীর অ্যান্টি ইস্ট্রোজেন জাতীয় কোনো ওষুধ দিলে কার্যকর হয়। হরমোন ছাড়াও 'হার টু নিউ' নামক একটি রিসেপ্টর রয়েছে। এক্ষেত্রে হারসেপশন নামে একটি ওষুধ দেওয়া হয়। ওষুধটি ব্যয়বহুল হলেও স্তন ক্যানসারের চিকিৎসায় সাফল্য খুব আশানুরূপ। যাদের বয়স বেশি তাদের ক্ষেত্রে হরমোনথেরাপির মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।



লেখাটি শেয়ার করে সবাইকে সচেতন করে দিন 
স্তন ক্যানসার , কীভাবে পরীক্ষা করবেন ? সাবধান হন আর জেনে নিন কখন কি ট্রিটমেন্ট করাবেন । স্তন ক্যানসার , কীভাবে পরীক্ষা করবেন ? সাবধান হন আর জেনে নিন কখন কি ট্রিটমেন্ট করাবেন ।  Reviewed by Wisdom Apps on জানুয়ারী ২১, ২০২০ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.