Results for Recipes

সন্ধ্যের স্ন্যাক্স " ভেজিটেবল আলা কিং "-বানানোর রেসিপি জেনে নিন

May 10, 2021


উপকরণ চপের জন্যে মাঝারী সাইজের কাঁচা পেপে আধখানা, বড় সাইজের গাজর ২টি, মাঝারি সাইজের আলু ৩টি, বীট (ছোট সাইজের) ৩টি, মটরশুটি (ছাড়ানো ) আধ কাপ, কাঁচা চিনা বাদাম ৯ টেবিল চামচ, ছোট্ট ছোট করে কুচোনো নারকেল ৯ টেবিল চামচ, লেড়ো বিস্কুটের গ্ড়ো ২ টেবিল চামচ, গরম মশলার গুড়ো আধ চা ডামচ , গোলমারচের গুড়ো আধ চা চামচ, লঙ্কার গুড়ো ১ চা চামচ, আদা ও রসুন বাটা ১ চা চামচ করে, তেল ২ টেবিল চামচ, আস্ত জিরে আধ চা ঠামচ, চিনি ২ টেবিল চামচ। 

ভাজবার জন্যেঃ দু ইঞ্চি লম্বা করে ১/২ ইঞ্চি চওড়া করে শক্ত জমানো মাখন ১০টি । 

হাতলের জন্যেঃ ১ ইঞ্চি লম্বা ও সরু করে কাটা গাজরের টুকরো ১০ টি॥ 

গোলার জন্যেঃ ফে্টানো ডিম ২, লেড়ো “বিস্কুটের গ্ড়ো আন্দাজ মতো। 

প্রস্তুত প্রনালীঃ . ভাজবার জন্যে বাদাম তেল, রেপসিড অয়েল বা ঘি। অল্প জল দিয়ে সমস্ত তরকারি ও মটরশুটি সেদ্ধ করে নিতে-হবে। 

সেদ্ধ হলে মটরশুঁটি ছাড়া সব তরকারি ছোট . ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে । কড়াইয়ে তেল 'দিয়ে জিরে ফোড়ন দিতে হবে । কুচোনে নারকেল ও চিনে বাদাম ভেজে নিয়ে মটরশুটি ও টুকরো কাটা তরকারি, আদা রসুন বাটা, সমস্ত মশলার গুড়ো ও নুন দিয়ে ভান করে কষতে হবে ।.তরকারির পুর শুকিয়ে মাখা মাখা হয়ে এলে চিনি দিয়ে আরও একটু. নাড়াচাড়া করে 'নিতে হবে। 

লেড়ো বিস্কুটের গ্ড়ো 'দিয়ে আরেকবার নাড়াচাড়া করে সমক্টা নামিয়ে চটকে নিতে হবে । 

এই পূর দশটি. লেচিতে ভাগ করে 'নিতে হবে ও হাত 'দিয়ে চেপে চ্যাপ্টা করে ভেতরে এক টৃকরো করে মাখন রাখতে হবে। 

মাখনে এক টুকরো করে গাজরের হাতল গুজে দিতে হবে এবং পুরটা মাখনের চারপাশে এমন ভাবে মুড়ে মিতে হযে যাতে মাখনের টুকরোটা ভেতরে আছে দেখে বুঝতে না পারা যায়। |এগুলির গড়ন লম্বা হবে। ফে্টানো ডিমে ডুবিয়ে লেড়ো বিস্কুটের গুড়ো মাখিয়ে তারপরে আরেকবার ফে্টানো ডিমে ডুবিয়ে লেড়ো বিস্কুটের গুড়ো মাখিয়ে গরম ছাঁকা তেলে বা ঘিয়ে ভেজে নিতে হবে । 

গরম গরম খেতে হবে । হাতলের গাজরের টুকরোটা দাঁত দিয়ে আলতো ভাবে টেনে নিলেই মুখ গরম গরম মাখনে ভরে যাবে । 

সন্ধ্যের স্ন্যাক্স " ভেজিটেবল আলা কিং "-বানানোর রেসিপি জেনে নিন  সন্ধ্যের স্ন্যাক্স " ভেজিটেবল আলা কিং "-বানানোর রেসিপি জেনে নিন Reviewed by Wisdom Apps on May 10, 2021 Rating: 5

র-চা দিয়ে চিকেন কষা- বিখ্যাত গোলবাড়ির স্টাইলে প্রস্তুত চিকেন রেসিপি জেনে নিন

February 13, 2021

 


উপকরণঃ
৭০০ গ্রাম মুরগীর মাংস , স্বাদ মতো নুন , পরিমান মত সরষের তেল , দুই টেবিল চামচ আদাবাটা , ৩ টেবিল চামচ রসুন বাটা , ২ টেবিল চামচ হলুদ গুড়ো , ২ টেবিল চামচ লঙ্কার গুঁড়ো , ২ টেবিল চামচ ধনে গুঁড়ো , ২ টেবিল চামচ জিরের গুঁড়ো , ১ কাপ টক দই , ২ টি তেজপাতা , ২ টুকরো দারচিনি , ৪ টি বড় পেঁয়াজ ( ২টি বেরেস্তা বানানোর জন্য , দুটি বাটা ) , ১ টেবিল চামচ কাশ্মিরি লঙ্কার গুঁড়ো , ১ টা জয়িত্রী , ১ টা জায়ফল , ১ টেবিল চামচ গোটা ধনে , ১ টেবিল চামচ গোটা জিরে , ৫ টি এলাচ , ১ টি স্টার অ্যানিস , ১ কাপ ব্লাক টি , ১ টেবিল চামচ কসুরী মেথী , ১ চা চামচ চিনি , ১ চা চামচ গোটা গোলমরিচ । 


পদ্ধতিঃ চিকেন , টক দই ,আদা রসুন বাটা , হলুদ , লঙ্কার গুঁড়ো , জিরে গুঁড়ো , ধনে গুড়ো মাখিয়ে ৪ ঘন্টা রেখে দিতে হবে । শুকনো কড়াইতে জয়িত্রী জায়ফল , গোটা ধনে , গোটা জিরে , এলাচ , স্টার অ্যানিস , গোল মরিচ রোস্ট করে মিক্সিতে গুড়ো করে নিতে হবে । 

কড়াইতে তেল দিয়ে পেঁয়াজ ভালো করে সোনালী রঙ করে ভেজে নিতে হবে । এবং ভেজে নেওয়ার পর পেঁয়াজ ঠান্ডা করে নিয়ে ভাজা পেঁয়াজ মিক্সিতে বেটে পেঁয়াজ বেরেস্তা করে নিতে হবে । 

কড়াইতে তেল গরম করে তেজপাতা , দারচিনি , এলাচ , চিনি , পেঁয়াজ বাটা , আদা বাটা , রসুন বাটা , কস্তে হবে মাংসটা দিয়ে অনবরত । বেশ কষা হলে লঙ্কার গুড়ো , কাশ্মিরি লঙ্কার গুড়ো , নুন , হলুদ , মিক্সিতে গুঁড়ো করা মশলা দিয়ে আবার অনেকক্ষন কষাতে হবে । এরপর পেয়াজের বেরেস্তা দিয়ে আরো ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে যাতে কোনোভাবেই তলায় লেগে না যায় । এবার সবটা ভালো করে কষিয়ে নিয়ে ৫ মিনিটের জন্য ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে । 

মাঝে মাঝে ঢাকা খুলে নাড়তে হবে । এবার আগে থেকে তৈরি করে রাখা ১ কাপ ব্ল্যাক টি দিয়ে মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে মাংস সেদ্ধ করতে দিতে হবে । মাঝে মাঝে ঢাকা খুলে নাড়তে হবে যাতে তলায় লেগে না যায় । ঢাকা খুলে যদি মনে হয় চিকেন সেদ্ধ হয়ে গেছে , ভালোভাবে নাড়িয়ে নিয়ে কসুরী মেথী দিয়ে নাড়িয়ে চাড়িয়ে গ্যাস বন্ধ করে কিছুক্ষন ঢাকা দিয়ে রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে সকলের প্রিয় গোলবাড়ি স্টাইলের কষা চিকেন । লুচি , পরোটা , রুমালী রুটী ও তন্দুরি রুটির সাথে গোলবাড়ির স্টাইলে গরম গরম কষা মাংস পরিবেশন করলে সবাই চেটেপুটে খাবে ।  




র-চা দিয়ে চিকেন কষা- বিখ্যাত গোলবাড়ির স্টাইলে প্রস্তুত চিকেন রেসিপি জেনে নিন র-চা দিয়ে চিকেন কষা- বিখ্যাত গোলবাড়ির স্টাইলে প্রস্তুত  চিকেন রেসিপি জেনে নিন Reviewed by Wisdom Apps on February 13, 2021 Rating: 5

সরষে পোস্ত চিংড়ি - একটি ভিন্নস্বাদের রেসিপি

January 25, 2021

বাঙ্গালী বললেই সবার প্রথমে যে যে খাবারের নাম আসে তার সাথে হয় সরষে না হয় পোস্ত লেগেই থাকে । সরষে যেন আমাদের ট্রেড মার্ক । আর পোস্ত যেন সাইড কিক । হাজার রকম রেসিপির সাথে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে আছে পোস্ত । এমনকি মিস্টির সাথেও হাতে হাত মিলিয়ে তৈরি করেছে নতুন স্বাদের পদ । তাই আজ এমন একটি রেসিপি দেওয়া হল যেখানে সরষেও আছে আবার পোস্তও আছে । এর থেকে বেশি "বাঙালী" রেসিপি পাওয়া মুস্কিল  - 

 


সরষে পোস্ত চিংড়ী বানাতে কী কী লাগবে ? 

১ টেবিল চামচ কালো সরষে বাটা, ১ টেবিল চামচ পোস্ত বাটা, ১ টেবিল চামচ সাদা সরষে বাটা, ১ টেবিল চামচ নারকেল বাটা, ৪ টেবিল চামচ সরষের তেল, স্বাদ অনুযায়ী লবণ, ১ চা চামচ চিনি, ১.৫ চা চামচ হলুদ গুড়ো, ২ টি কাঁচালঙ্কা বাটা, ৪ টি কাঁচালঙ্কা, ১/২ কাপ নারকেলের দুধ


কিভাবে বানাবেন ?

চিড় মাছগুলো ভালো করে ধুয়ে নন এবং হলুদ মাখিয়ে নিতে হবে। এবার তেল গরম হলে মাছগুলো ভেজে নিতে হবে। এবার ১ বাটিতে সরমে বাটা, কাঁচালঙ্কা বাটা, পোস্ত বাটা, নারকেল বাটা দিয়ে একসঙ্গে জল দিয়ে গুলে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এবার এই সর্ষে পোস্ত নারকেলের পেস্টটা চিংড়ি মাছের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। হলুদ গুড়ো, পরিমাণ মতো লবণ, চিনির নারকেলের দুধটা দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে । দশ মিনিট পর গোটা কাঁচা লঙ্কা আর সরষের তেল ছড়িয়ে গ্যাস অফ করে দিতে হবে। ৫ মিনিট স্ট্যান্ডিং টাইমে রেখে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে। 



সরষে পোস্ত চিংড়ি - একটি ভিন্নস্বাদের রেসিপি সরষে পোস্ত চিংড়ি - একটি ভিন্নস্বাদের রেসিপি Reviewed by Wisdom Apps on January 25, 2021 Rating: 5

সুস্বাদু ডিমের পায়েস , সেমাইয়ের ও ছানার পায়েসের 3 টি দুর্দান্ত রেসিপি

September 14, 2020


ছানার পায়েস

উপকরণঃ বাড়িতে কাটা শিলে চাপা দিয়ে জল ঝরানাে শক্ত ছানা ২৫০ গ্রাম, দুধ ২ লিটার বা ৪ বােতল, চিনি ৪০০ গ্রাম, পেস্তা ১০ গ্রাম, বাদাম ১০ গ্রাম, চিরঞ্জি (নিউ মার্কেটে শুকনাে ফলের দোকানে পাওয়া যায়) ১০ গ্রাম।

প্রস্তুত প্রণালীঃ ছানা বটি দিয়ে বা ছুরি দিয়ে লম্বা সর, সর, করে কুচিয়ে নিতে হবে। দুধ জাল দিয়ে ঘন করে এক লিটারে পরিণত করতে হবে। চিনি দিতে হবে এবং চিনি গলে গেলে ছানার কুচি দিতে হবে। দশ মিনিট ফুটলে নামিয়ে নিতে হবে। পেস্তা বাদাম, চিরঞ্জি আগের রাত থেকে ভিজিয়ে রাখতে হবে ও কালে পেস্তা বাদাম খােসা ছাড়িয়ে সর সর করে কুচিয়ে নিতে হবে। এবং চিরঞ্জি আয় রাখতে হবে। একটা সুদশ্য বাটিতে ছানার পায়েস ঢেলে রাখতে হবে এবং ওপর থেকে পেস্তা বাদাম ছড়িয়ে সাজিয়ে দিতে হবে।




সেমাইয়ের পায়েস

উপকরণ : সেমাই ৫০ গ্রাম, দুধ ১ লিটার, চিনি ৩০০ গ্রাম, কিসমিস ১০ গ্রাম, ছােট এলাচের গড়াে সিকি চা-চামচ, ভাজবার জন্যে ঘি। 

প্রস্তুত প্রণালীঃ কিসমিস বেছে ধুয়ে রাখতে হবে। সেমাই ঘিয়ে লাল করে ভেজে নিতে হবে। দুধ ঘন করে আধ লিটার করে নিতে হবে। চিনি মেশাতে হবে ও চিনি গলে গেলে ভাজা সেমাই মেশাতে হবে।পাঁচ মিনিট ফটে সেমাই নরম হয়ে এলে নামিয়ে নিয়ে কিসমিস মেশাতে 




ডিমের পায়েস

উপকরণ : দুধ ১ লিটার, মুরগির ডিম ৩টি, চিনি ৩০০ গ্রাম, কমলা লেব, ৪টি, কমলা রঙ সামান্য, অরেঞ্জ বা ভ্যানিলা এসেন্স সিকি চা-চামচ, কিসমিস ২৫ গ্রাম।

প্রস্তুত প্রণালী: মুরগির ডিম ভাল করে ফেটিয়ে ঠাণ্ডা দুধে মিশিয়ে দিতে হবে। চিনি মেশাতে হবে। বির কোয়া থেকে শাস ছাড়িয়ে নিতে হবে। কিসমিস ধুয়ে বেছে রাখতে হবে। একটি বড় ডেকচিতে জল বসিয়ে তার ওপরে একটি সসপ্যানে দুধ, ডিম ও চিনির মিশ্রণ ধরে রেখে জাল দিতে হবে। এক হাতে সসপ্যানের হাতল ধরে থাকতে হবে এবং আরেক হাতে হাতা দিয়ে মিশ্রণটি ঘন না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে হবে । মিশ্রণটি যখন হাতার পিঠে ঘন হয়ে লেগে যাবে তখন নামিয়ে নিতে হবে । কিসমিস , রঙ ও এসেন্স দিতে হবে । ঠান্ডা হয়ে গেলে কমলা লেবুর শাঁস মেশাতে হবে । 


সুস্বাদু ডিমের পায়েস , সেমাইয়ের ও ছানার পায়েসের 3 টি দুর্দান্ত রেসিপি সুস্বাদু ডিমের পায়েস , সেমাইয়ের ও ছানার পায়েসের 3 টি দুর্দান্ত রেসিপি Reviewed by Wisdom Apps on September 14, 2020 Rating: 5

দই কচু , সাথে চমকে দেওয়ার মত ৫ টি রেসিপি

September 17, 2018

দই কচু


উপকরণঃ ছোট অথবা গুড়ি কচু ৫০০ গ্রাম, টক দই ২৫০ গ্রাম, তেঁতুল ১টি ছোট গোলা, নুন আন্দাজমতো, জিরে ৫০ গ্রাম, শুকনলঙ্কা ৬/৮টি।
প্রস্তুত প্রণালীঃ কচুগুলো জলে সেদ্ধ করে খোসা ছড়িয়ে ফেলুন। দই ভালো করে ফেটিয়ে নেবেন। তেঁতুলের গোলটা একটু জলে ছেঁকে নিন ও আন্দাজমতো নুন মেশান। জিরে ও লঙ্কা শুকনো কড়াইতে ভেজে গুঁড়ো করে নিন। সেদ্ধ করা কচুগুলোর গায়ে একটা কাঁটার সাহায্যে ছোটছোট গর্ত করে দিন। এবার তেঁতুল গোলা জলে মিনিট পনেরো ভিজিয়ে রাখুন। কচুগুলি জল থেকে তুলে আর একটা পাত্রে রাখুন। ও ফেটানো দই ঢেলে দিন। এবার ওপর থেকে গুঁড়ো মশলা 
 ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

ঝিঙে বাহার

 উপকরণঃ ঝিঙে ৫০০ গ্রাম, নারকেল আধমালা, জিরে ১/২ চা-চামচ, সর্ষে ৩ চা-চামচ, চিনি ৫-৬ চা-চামচ তেল ৫০-৭৫ গ্রাম, নুন আন্দাজ মতো, কাঁচালঙ্কা ৪-৬টি।
প্রস্তুত প্রনালিঃ ঝিঙের খোসা ছাড়িয়ে ছোট টুকরো করে কেটে নিন। নারকেলটা কুরে নিন। কাঁচালঙ্কা মুখ থেকে একটু চিরে নিন। সরষে ভালো করে বেটে নিন। পাত্রে তেল গরম করে জিরে ফোড়ন দিন। ঝিঙেগুলো দিয়ে ভালভাবে ভাজতে থাকুন। একটু ভাজা হলে তাতে দু-কাপ জল, নারকেল কোরা, সরষে বাটা, নুন, চিনি ও কাঁচালঙ্কা দিয়ে দশ মিনিট ফুটতে দিন। আপনার প্রয়োজন মতো ঝোল হলেই নামিয়ে নেবেন।

দই ফুলকপি 

উপকরণঃ ফুলকপি ১ কেজি, পেঁয়াজ ২ টি (স্লাইস করা), পেঁয়াজের রস ৩-৪ টেবিল চামচ, আদার রস ১ টেবিল চামচ, রসুন ৫ কোয়া(থেঁতো করা), লঙ্কাগুঁড়ো ১ চা চামচ, আস্ত গোলমরিচ ৫-৬টি, গুঁড়োহলুদ ১ চা-চামচ, নারকেল বাটা ১ টেবিল চামচ, পোস্তবাটা ১১/২ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচানো ১ মুঠো, এলাচ ২টি(থেঁতো করা), লবঙ্গ ২টি(থেঁতো করা), দারচিনি ১ ইঞ্চি(থেঁতো করা), তেল, নুন, চিনি পরিমাণমতো, ঘন দই ৩/৪ কাপ, সেদ্ধ কড়াইশুঁটি ২ কাপ।
প্রস্তুত প্রণালীঃ আস্ত ফুলকপি অথবা ফুলকপি বড় বড় আকারে কেটেও তৈরি করতে পারেন। আস্ত বা টুকরো করা যাই হোক না কেন, ফুলকপির ধারের পাতা ডাটা সমান করে কেটে ফুলকপি নুন জলে পনেরো মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। নুন জল থেকে উঠিয়ে পরিস্কার জলে ধুয়ে, শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। কড়াইতে এক কাপ তেল গরম করে, কুচোনো পেঁয়াজ লাল করে ভেজে উঠিয়ে রাখুন। ফুলকপিতে সামান্য নুন, হলুদ মাখিয়ে একই তেলে লাল করে ভেজে নামিয়ে নিন। প্রেসারকুকারে পাঁচ টেবিল চামচ তেল দিয়ে গরম করুন। গরম তেলে থেঁতো করে দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ফোড়ন দিন। সব মশলা, পোস্ত, নারকেল ও স্বাদ অনুযায়ী নুন, চিনি দিয়ে কষে নিন। মাঝে মাঝে জলের ছিটে দেবেন। মশলা ভাল করে আধ কাপ গরম জল দিয়ে প্রেসার কুকার ঢেকে দিন। মিনিট পাঁচেক রান্না হলে অর্থাৎ একটা 'সিটি' দিলেই আঁচ থেকে প্রেসার কুকার নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। পরিবেশনের পাত্রে ঢেলে, আস্ত ফুলকপিটা হলেও পাত্রে রাখুন। চারধারে কড়াইশুঁটি সেদ্ধ সাজিয়ে, ঘন দই অল্প নুন দিয়ে ফেটিয়ে ফুলকপির উপর ঢেলে, ধনেপাতা কুচি ও পেঁয়াজকুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।



ক্যাপ্সিকাম ডিলাইট 

উপকরণঃ কিমা ১ কাপ (সেদ্ধ), ক্যাপ্সিকাম ৪ টি (বড় মাপের), গাজর ১ কাপ (কুরনো), টম্যাটো ১ টি (লাল্‌, মিহি করে বাটা),  মালাই বা দুধের সর আধকাপ, পেঁয়াজ বাটা ৩ টেবিল চামচ, লঙ্কাগুঁড়ো আধ চা-চামচ, রসুন আধ টেবিল চামচ, আদাবাটা আধ টেবিল চামচ, লঙ্কাগুঁড়ো আধ চা-চামচ, কর্ণফ্লাওয়ার আধ কাপ, ময়দা ৩ টেবিল চামচ, গরম মশলা ২ টেবিল চামচ,ভিনিগার ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ৪ টেবিল-চামচ, নুন স্বাদমতো, হলুদ আন্দাজ মতো।
প্রস্তুত প্রণালীঃ ক্যাপ্সিকামের বোঁটা কেটে দু ফালি করে কেটে নিন। দেখবেন যেন নীচের  অংশটা লেগে থাকে। ভেতরের বীজগুলো ফেলে দেবেন। ক্যাপ্সিকামের ভেতরের খোলাতে ভালো করে কর্নফ্লাওয়ার মাখিয়ে রাখবেন। কিমা সেদ্ধ তাতে ভিনিগার মাখিয়ে রাখুন। গাজর, ধনেপাতা, টোম্যাটোর রস, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, গরমমশলা, নুন, হলুদ সব একসঙ্গে মাখুন। কিমাতে এই আনাজ ও মশলা মিশ্রন বেশ করে মেশান। তৈরি হল পুর। ক্যাপ্সিকামের গায়ের জোড়া জায়গাতে লাগিয়ে দিন। একটা পাত্রে জল ফুটতে দিন। এর মধ্যে আরেকটা পাত্রে এই ক্যাপ্সিকামগুলো সেদ্ধ হতে দিন। দেখবেন জল যেন ক্যাপ্সিকামের পাত্রে এসে না পড়ে। মিনিট দশেক পরে ননস্টিক প্যান সামান্য তেল দিয়ে ক্যাপ্সিকামগুলো ভেজে নিন।

বেকড বাঁধাকপি

উপকরণঃ বাঁধাকপি কচি ১০-১২টা আস্ত পাতা, পনির ২৫০ গ্রাম, কড়াইশুঁটি ১ কাপ(সেদ্ধ করা), টম্যাটো ২ টি (ছোট করে কুচোনো), পার্সলে ১ আঁটি (কুচোনো), কাঁচালঙ্কা ২ টি (বীজ ফেলে কুচোনো), মাখন ৫০ গ্রাম। 
প্রস্তুত প্রণালীঃ বাঁধাকপির পাতা ধুয়ে ফুটন্ত নুন জলে ফেলেই তুলে নিন। ঠাণ্ডা হলে মাঝের শিরাটি একটি ভারী জিনিস দিয়ে সামান্য থেঁতো করুন। পনির চটকিয়ে তার সঙ্গে সামান্য মাখন, কড়াইশুঁটি সেদ্ধ, টম্যাটো কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি, পার্সলে কুচি ও আন্দাজমতো নুন মেখে দিন। বাঁধাকপির পাতার শিরের একপাশে  খানিকটা মিশ্রন দিয়ে অপর পাশটি মুড়ে একসঙ্গে করে একটি টুথ পিক দিয়ে আটকে দিন। এই ভাবে সব পাতা গড়া হলে বেকিং ট্রেতে সামান্য মাখন লাগিয়ে পাতাগুলো সাজিয়ে আগে থেকে গরম করে রাখা ওভেনে ঢুকিয়ে একপাশ দশ মিনিট বেক করুন। ট্রে-টি বার করে স্প্যাটুলা দিয়ে পাতাগুলির অপর পাশে উল্টে দিন এবং আরও দশ মিনিট ওভেনে রাখুন।

পোস্ত টম্যাটো

উপকরণঃ টম্যাটো ৩-৪ টি, গাজর ২ টি(মাঝারি), বিট ১ টি(ছোট), ক্যাপ্সিকাম ১ টি (মাঝারি), নারকেল আধখানা (ইচ্ছে না হলে দেবেন না), পেঁয়াজ ১ টি (ছোট), কাঁচালঙ্কা ৩-৪টি, পোস্ত ৪ টেবিল চামচ, এলাচ ২-৩ টি (আস্ত), নুন ও চিনি স্বাদঅনুযায়ী, তেল প্রয়োজনমতো, জল আন্দাজ মতো।
প্রস্তুত প্রণালীঃ পেঁয়াজ ও কাঁচালঙ্কা একসঙ্গে বেটে নিন। পোস্ত বাটুন। টম্যাটো টুকরো করুন। নারকোল ও ক্যাপ্সিকাম আলাদা করে বাটুন। গাজর কুরে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে এলাচ দিয়ে সামান্য কষুন। এতে ক্যাপ্সিকামবাটাও দেবেন, নারকোল ও গাজর কোরানো দিন। নেড়েচেড়ে টম্যাটো ও আলু দিন। হালকা ভেজে সেদ্ধ হওয়ার জন্য অল্প জল দিন। নুন ও চিনি দিয়ে ঢিমে আঁচে দশ-বারো মিনিট রাখুন। ঘন হলে নামিয়ে দিন।


ভালো লাগলে শেয়ার করুন 

দই কচু , সাথে চমকে দেওয়ার মত ৫ টি রেসিপি দই কচু , সাথে চমকে দেওয়ার মত ৫ টি রেসিপি Reviewed by Wisdom Apps on September 17, 2018 Rating: 5

বিভিন্ন স্বাদের ৮ রকমের সস তৈরির পদ্ধতি

September 06, 2018

1.রেড চিলি সস


উপকরনঃ    পাকা লাল লঙ্কা ৩০ টি, ভিনিগার আধ কাপ, রসুন ৪ কোয়া, চিনি দেড় তাবিল চামচ, উরসেস্টারসায়ার সস ১ টেবিল চামচ। নুন আন্দাজ মতো।
প্রস্তুত প্রণালীঃ    লঙ্কা টুকরো টুকরো করে কেটে নিতে হবে। রসুনের খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। লঙ্কা, রসুন, সিকি কাপ ভিনিগার, চিনি ও নুন সব একত্রে মিশিয়ে শিলে পিসে  নিতে হবে। জল মেশাতে হবে। উরসেস্টারসায়ার সস ও বাকি ভিনিগার মিশিয়ে চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়িয়ে বাটিতে ঢেলে রাখতে হবে।

2.গারলিক সস

উপকরণঃ   রসুন ২ কোয়া, বাদাম তেল ২ টেবিল চামচ, টম্যাটো সস ২ টেবিল চামচ, জল পৌনে এক কাপ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়ো আধ চা চামচ, নুন আন্দাজ মতো, সোয়া সস ১ চা-চামচ, এরারুট ১ টেবিল চামচ(সিকি কাপ জলে মেশানো)।
প্রস্তুত প্রণালীঃ রসুন বেটে নিতে হবে। তেল গরম করে ডিমে আঁচে রসুন ৫ মিনিট ভেজে নিতে হবে। টম্যাটো সস মেশাতে হবে। জল, গোলমরিচের গুঁড়ো, নুন ও সোয়া সস মেশাতে হবে। দু-মিনিত ফোটাতে হবে। জলে গোলা এরারুট মেশাতে হবে ও ক্রমাগত নাড়তে হবে। সস ঘন হলে নামিয়ে নিতে হবে।

3.সুইট অ্যান্ড সাওয়ার সস

উপকরনঃ   চিনি ২ টেবিল চামচ, ভিনিগার ১ তাবিল চামচ, টম্যাটো সস ১ টেবিল চামচ, এরারুট ১ চা -চামচ।
প্রস্তুত প্রণালীঃ    ৫ টেবিল চামচ জলে এরারুট গুলে নিতে হবে। চিনি সিকি কাপ জল ও ভিনিগার  এক সঙ্গে মিশিয়ে আঁচে বসাতে হবে। চিনি  গলে গেলে এরারুট মেশাতে হবে। সোয়া সস ও টম্যাটো সস মেশাতে হবে। ঘন না হওয়া পর্যন্ত সবটা নাড়তে হবে। নামিয়ে নিয়ে ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করতে হবে।

4. চীজ সস 

উপকরনঃ  হোয়াইট সস ২ বড় চামচ। ভিনিগার১ বড় চামচ। সর্ষে গুঁড়ো ১ বড় চামচ। কোরানো চীজ ১ বড় চামচ। 
প্রস্তুত প্রণালীঃ হোয়াইট সসের সঙ্গে ভিনিগার ও সর্ষে গুঁড়ো মেশাতে হবে। একটু দুধে কোরানো চীজ গলিয়ে নিতে হবে। হোয়াইট সস ও গলানো চীজ একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর হালকা আঁচে নেড়ে নেড়ে ঘন করে নিতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে যেন দলা পাকিয়ে না যায়। 

5. গ্রীন চিলি সস

উপকরনঃ কাঁচা লঙ্কা ৩০ টি, রসুন ৪ কোয়া, ভিনিগার আধ কাপ, চিনি দেড় টেবিল চামচ, সোয়া সস ১ টেবিল চামচ, নুন আন্দাজ মতো।
প্রস্তুত প্রণালীঃ কাঁচা লঙ্কা টুকরো করে কেটে নিতে হবে। রসুন থেঁত করে নিতে হবে। রসুন, কাঁচা লঙ্কা, সিকি কাপ ভিনিগার, চিনি ও নুন একসঙ্গে মেশাতে হবে। মিহি করে সব কিছু পিসে নিতে হবে। মেসাবার সময় জল দেওয়া চলবে না। সোয়া সস ও বাকি ভিনিগার মিশিয়ে নিতে হবে। একটা চামচ দিয়ে সবটা নাড়িয়ে সসের বাটিতে ফেলে রাখতে হবে

6.কুইক মিওনিজ সস

মিওনিজ সস নিউ মার্কেটে কিনতে পাওয়া যায় দাম ও অনেক। বাড়িতে মিক্সার না থাকলে তৈরি করা যায় না। সেইজন্য বাড়িতে যাতে অনায়াসেই তৈরি করা যেতে পারে সেই রকম একটি পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে। 
উপকরনঃ  তৈরি করা হোয়াইট সস ২ কাপ। সর্ষের কাসুন্দি( বা গুঁড়ো সর্ষে) ১ চা-চামচ। ডিমের কুসুম ১ টি। স্যলাড অয়েল ২ বড় চামচ। ভিনিগার ১/২ বড় চামচ। 
প্রস্তুত প্রণালীঃ  হোয়াইট সস সসপ্যানে ঠাণ্ডা করে তার মধ্যে ডিমের কুসুম ফেটিয়ে নিতে হবে। স্যালাড অয়েল ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। ক্রমাগত নাড়তে নাড়তে আস্তে আস্তে ভিনিগার মেশাতে হবে। কাসুন্দি বা গুঁড়ো সর্ষে মেশাতে হবে। এক বড় চামচ দুধ বা ঘন দুধ মেসালে স্বাদ আরও বারবে।

7.হোয়াইট সস 

উপকরনঃ  মাখন ২ টেবিল চামচ, বাদাম তেল ২ টেবিল চামচ, ময়দা ৩ টেবিল চামচ, জল ১ কাপ, চিনি ১ চা চামচ, নুন ও গোলমরিচ আন্দাজ মতো। 
প্রস্তুত প্রণালীঃ  ২ টেবিল চামচ মাখন গরম করে তাতে ৩ টেবিল চামচ ময়দা ও ২ টেবিল চামচ তেল মিশিয়ে দিতে হবে। ধীরে ধীরে ১ কাপে জল মেশাতে হবে, সাবধানে নাড়তে হবে যাতে ডেলা পাকিয়ে না যায়। এক কাপ দুধ, নুন, গোলমরিচ ও চিনি মিশিয়ে ঘন না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে হবে। 

 8. টম্যাটো সস 

সসের উপকরনঃ বড় বড় টম্যাটো ৪টি, রসুন ২ কোয়া, ছোট সাইজের পেঁয়াজ  ১ টি, চিনি দেড় টেবিল চামচ, ভিনিগার সিকি কাপ, নুন আন্দাজ মতো, অরেঞ্জ কালার ক্যেক ফোটা।
মসলার পুটলির উপকরনঃ লবঙ্গ ২ টি, গোলমরিচ ৬ টি, দারুচিনি ১ টি কাঠি, এলাচ ২ টি , জিরে সিকি চা-চামচ।
 প্রস্তুত প্রণালীঃ   পাতলা পুরন কাপরের টুকরো তে সব মশলার উপকরন গুলি ঢিলে ভাবে বেধে নিতে হবে। এমন ভাবে বাধতে হবে যাতে মশলা বাইরে বেরিয়ে না যায়। টম্যাটো টুকরো টুকরো করে কেটে নিতে হবে। রসুন থেঁত করে নিতে হবে ও পেঁয়াজ কুচিয়ে নিতে হবে। একটি প্রেসার কুকারে পেঁয়াজ, রসুন, টম্যাটো ও মশলার পুটলি একত্রে মিলিয়ে টম্যাটো নরম না হওয়া পর্যন্ত প্রেসার কুকার-এ রাখতে হবে। প্রেসার কুকার খুলে মশলার পুটলি টিপে রস বার করে নিতে হবে। সমস্ত টম্যাটো ও টম্যাটোর সস ছাঁকনি দিয়ে ছেকে খোসা ও বিচি আলাদা করে ফেলে দিতে হবে। টম্যাটোর রস, চিনি, নুন, ভিনিগার এক সঙ্গে মিলিয়ে একটি পাত্রে বসিয়ে ফোটাতে হবে। আঁচ কমিয়ে আরও তিন মিনিট পাত্র ঢাকা না দিয়ে উনুন এ বসিয়ে রাখতে হবে।

বিভিন্ন স্বাদের ৮ রকমের সস তৈরির পদ্ধতি বিভিন্ন স্বাদের ৮ রকমের সস তৈরির পদ্ধতি Reviewed by Wisdom Apps on September 06, 2018 Rating: 5

মাছের ৭ টি ভিন্নধরনের রেসিপি শিখে নিন

September 04, 2018

রসুন-রুই

উপকরণঃ  রুইমাছ ১ কেজি, আস্ত গরম মশলা আন্দাজ মতো, গোটা শুকনোলঙ্কা ২টি , টম্যাটো ৪টি(বড় করে কাটা), কাঁচালঙ্কা ৪-৫টি, ১ টি(আস্ত), দই, নুন ও মিষ্টি প্রয়োজনমত, তেল ও ঘি আন্দাজ মত।
প্রস্তুত প্রনালিঃ  কড়াইতে তেল ও ঘি দিয়ে আঁচে বসান। বড় করে কাটা পেঁয়াজ, আস্ত রসুন, গরমমসলা দিয়ে নাড়াচাড়া করে, গোটা  কাঁচালঙ্কা, শুকনোলঙ্কা,  গোটা টম্যাটো, টুকরো করা মাছ এতে দিন। দই, নুন, মিষ্টি একসঙ্গে ফেটিয়ে কড়াইতে ঢেলে, কড়াই ঢেকে কম আঁচে রান্না হতে দিন। ভালো গন্ধ বের হলে ও মাছ সেদ্ধ হলে আঁচ থেকে নামিয়ে ঢাকা খুলে উপরে ধনেপাতাকুচি ও লঙ্কাকুচি ছড়িয়ে গরম গরম খেতে দিন।

 মাছের সালান 

উপকরণঃ  একটি ছোট সাইজের রুই বা কাতলা মাছ। ফুলকপি বড়-১ টি। পেঁয়াজ ছোট সাইজের- ১টি। একটু আদা। রসুন ১কোয়া। গরমমসলা, লঙ্কাগুঁড়ো, টক দই ১ বড় চামচ। হলুদ,নুন ও সরসের তেল আন্দাজ মত।

প্রস্তুত প্রণালীঃ  পেঁয়াজ কুচি কুচি করে কেটে নিন। আদা ও রসুন বাটুন। মাছ কেটে পরিস্কার করে ধুয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে রাখুন। ফুলকপি, আলু ও মটরশুঁটি কেটে ছড়িয়ে রাখুন। 
কড়াই তে তেল দিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে ভাজুন। এর সঙ্গে হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো ও বাটা মশলা দিয়ে বেশ করে কষুন।মশলা কসা হলে ওতে তরকারি ছেড়ে আরও পাঁচ মিনিট ভাজুন তরকারি ভাজা ভাজা হয়ে গেলে একটু জল দিয়ে ঢেকে দিন। তরকারি একটু সিদ্ধ হলে ফোটানো টক দই ও নুন  দিয়ে তাতে মাছ গুলি ছেড়ে দিন। কম আঁচে বসিয়ে রাখুন, মাঝে মাঝে নাড়বেন। দই শুকিয়ে এলে একটু জল দিন। মাছ ও তরকারি সিদ্ধ হলে গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে দিন। 

 লাউপাতায় চিংড়ি মোড়া 

উপকরণঃ কচি লাউ পাতা ৮ টা, কুচো চিংড়ি ৩০০ গ্রাম, নারকেল ১/২ মালা (কুরানো), সরষে ২ চামচ (বাটা), সরষের তেল ২-৩ চা-চামচ, কাঁচালঙ্কা ৪টে, নুন ও হলুদ স্বাদমতো, টুথপিক ৮ টা।

প্রস্তুত প্রণালীঃ চিংড়ি মাছে নুন, হলুদ মাখিয়ে রাখুন। কড়াই আঁচে বসিয়ে তেল, চিংড়ি মাছ, নারকেল কোরা, সরষে বাটা, ও  কাঁচালঙ্কাকুচি একসঙ্গে ঢালুন। নেড়েচেড়ে যখন মাছ গুলো নরম হয়ে আসবে এবং শুকনো হয়ে সামান্য তেল তেল থাকবে তখন নামিয়ে নিন। তৈরি হল পুর। এক-একটি লাউপাতায় খানিকটা করে পুরু ভরে টুথপিক দিয়ে গেঁথে শিঙাড়ার আকার দিন। কড়াই এ তেল দিয়ে মড়কগুলো একটা, দুটো করে দুপিঠ ভেজে, তেল ছেঁকে তুলে রাখুন। ভাতের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।

মছলি অমৃতসারি

উপকরনঃ রুইমাছ ৮০০ গ্রাম (স্লাইস করা), ভাজার  জন্য বাদামতেল আন্দাজ মত, চাটমশলা ২টেবিল-চামচ, লেবুর খোসাকুরনো(৩ টি লেবুর)। গ্রেভি তৈরির জন্যঃ বেসন ৬০ গ্রাম, ময়দা ৬০ গ্রাম, কর্নফ্লাওয়ার ৬০ গ্রাম, নুন স্বাদমত, ডিম ২ টি, জোয়ান ১৫ গ্রাম, আদা ৩০ গ্রাম(বাটা), রসুন ৪০ গ্রাম(বাটা), শুকনো লঙ্কাগুঁড়ো ৩ টেবিল চামচ, লেবু ১ টি, খাবার রং(কমলা) সামান্য।
প্রস্তুত প্রণালীঃ গ্রেভির সব উপকরন একসঙ্গে গুলে তাতে মাছের স্লাইস ডুবিয়ে রাখুন। এক ঘণ্টা এই ভাবে ভিজিয়ে রাখ্র পর গরম তেলে মুচমুচে করে ভেজে তুলুন। চাট মশলা ও লেবুর রস ছড়িয়ে, লেবু ও পেঁয়াজ দিয়ে পরিবেশন করুন।

ইলিশ বেক

উপকরণঃ ১টি ইলিশ মাছ (বড় দেখে), ২টী পেঁয়াজ (স্লাইস করা), নুন ও গোলমরিচ, এক চা-চামচ পার্সলিপাতা কুচোনো, এক বড় চামচ মাখন বা তেল, দুটি বড় রুটির গুঁড়ো, ১ বা ১/২ চামচ দুধ, দু কাপ জল, এক বড় চামচ ভিনিগার।
প্রস্তুত প্রণালীঃ   মাছটি আঁশ ছাড়িয়ে পেট পরিস্কার করে দশ মিনিট নুন জলে ডুবিয়ে রাখুন।
পরে একটি কাপর দিয়ে ভালো করে  মুছে এবার মাছের পেটের ভিতর পেঁয়াজ, নুন, গোলমরিচ, পার্সলিপাতা, মাখন, রুটির গুঁড়ো ও দুধ একসঙ্গে বেটে নিয়ে পু্রে দিন। কাটা জায়গাটা সেলাই করে বন্ধ করে দিন। এবার মাছের গায়ে  নুন গোলমরিচ, মাখন বা ঘি ভালো করে লাগিয়ে মাইক্রো ওভেন এ বেক করুন, যতক্ষন না জল শুকিয়ে যায়। ঐ মাছের যতটুকু রস থাকবে তাই দিয়েই পরিবেশন করুন।

কই মাছের টক-ঝাল    

উপকরনঃ বড় কই মাছ ৪ টি, সরষে ২ টেবিল চামচ, কাঁচালঙ্কা ২-৩ টি, পাকা তেঁতুল ১০০ গ্রাম, হলুদগুঁড়ো আধ চা-চামচ, লঙ্কাগুঁড়ো আধ চ-চামচ, নুন ও চিনি আন্দাজমত, তেল প্রয়োজন মতো।

প্রস্ততু প্রণালীঃ মাছ গুলো ধুয়ে কেটে নুন হলুদ মাখিয়ে রাখুন। সরষে কাঁচালঙ্কা ও নুন একসঙ্গে বেটে সামান্য জল মিশিয়ে গোলা বানিয়ে রাখুন। পাকা তেঁতুল অল্প জলে ভিজিয়ে রেখে দানা ও ছিবড়ে ফেলে গোলা তৈরি করে রাখুন। এতে অল্প নুন , চিনি ও লঙ্কাগুঁড়ো মেশান। মাছগুলো প্রথমে তেলে হালকা ভেজে নিন। এরপর ফ্রাইপ্যানে অল্প তেল গরম করে এক একটি মাছ নিয়ে একপিঠে সরষে গোলা লাগিয়ে তেলে ছাড়ুন। সরষে মাখানো দিকটা ভাজা হয়ে গেলে উল্টো পিঠে তেঁতুলের গোলা লাগিয়ে মাছটি উল্টেদিন। এই ভাবে চারটি মাছ ভেজে গরম গরম পরিবেশন করুন।   

স্মোকড হিলসা 

উপকরনঃ ইলিশ দেড় কেজি (মুড়ো, লেজা, মাঝের কাটা বাদ দিয়ে ফিলে করা), ভিনিগার, উস্টার সস, সাদা তেল ও নুন আন্দাজ মতো, খই ২০০ গ্রাম্, কাঠকয়লা প্রয়োজন মতো।
বাটার সস-এর জন্য উপকরনঃ মাখন ১০০ গ্রাম, লেবু ১টি(রস করা), নুন, মরিচ স্বাদমতো।
পট্যাটো জুলিয়েনের জন্যঃ আলু কয়েকটা, তেল বেশ খানিকটা, ভেজাবার বরফ ঠাণ্ডা জলের প্রয়োজন মতো।

প্রস্তুত প্রনালিঃ ইলিশ মাছ ধুয়ে, ফিলে দুটোর ওপর ছুরি দিয়ে চারটে তেরছা ও চারটে সোজা লাইন টানুন। আল্প চিরে দিন। ভিনিগার ও  উস্টার সস-এ মাছের ফিলে ভিজিয়ে রাখুন দু ঘণ্টা। দু ঘণ্টা পরে ইলিশের কাঁটা ছাড়ান। চিরে রাখা অংশ থেকে কাঁটা টেনে টেনে বার করতে হবে। সেঁকার আগে নুন ছড়িয়ে নিন। তন্দুরে বা বালতির উনুনে জলন্ত কাঠকয়লা রেখে তাতে খই ফেলুন। বেশ ধোয়া উঠবে। এতে মাছের ফিলে রেখে ঝুরি চাপা দিন। ধোঁয়ায় মাছ রান্না হবে। কুড়ি থেকে তিরিশ মিনিট এভাবে রাখুন। মাছে বাদামি রঙ ধরলে তুলে পরিবেশন পাত্রে রাখুন। পট্যাটো জুলিয়েন, লেবুর স্লাইস ও পার্সলে দিয়ে সাজিয়ে বাটার সস সাহযোগে পরিবেশন করুন। বাটার সস এর জন্য মাখন লাগান। এতে লাবুর রস ও নুন-মরিচ দিন। এছাড়া পট্যাটো জুলিয়েন তৈরির জন্য আলু সরু সরু দেশলাইয়ের কাঠির মতো কেটে, বরফঠান্ডা জলে ভিজিয়ে গরম তেলে ভেজে নিন।



রেসিপি গুলো ভালো লাগলে অবশ্যই ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে শেয়ার করুন । 
মাছের ৭ টি ভিন্নধরনের রেসিপি শিখে নিন মাছের ৭ টি ভিন্নধরনের রেসিপি শিখে নিন  Reviewed by Wisdom Apps on September 04, 2018 Rating: 5
Powered by Blogger.