সাধক শ্রীমৎ ভােলানন্দ গিরির বাণী • অসাধারন ১৫টি বানী সংকলন । ভোলানন্দ গিরি বাণী বংলা

শ্রীমৎ ভােলানন্দ গিরির অমৃতবাণী - পড়ুন - শেয়ার করুন 

quotes by bholananda giri


 👉যদি মনের কথা মতাে চলাে, তবে কখনােই শান্তি পাবে না। কারণ একটি বাসনা পূর্ণ হলেই অপর একটি বাসনার উদয় হবে। বাসনার হাত থেকে কোনাে ক্রমেই নিষ্কৃতি হবে না। মনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয় সময়ে মন আপনিই শান্ত হয়ে যাবে।ধৈৰ্য্য চাই।

✍ জলের মতাে স্বচ্ছ পবিত্র হৃদয় হবে। ভূমির মতাে ক্ষমাশীল ও সহিষ্ণু হবে।সূর্যালােকের মতাে প্রকাশশীল হবে।

🙏“গুরু” শব্দ দ্বারা কোনাে ব্যক্তিকে বােঝায় না। “গুরু” একটি শক্তি, যে শক্তির সাহায্যে অজ্ঞানী জ্ঞান লাভ করে। এই শক্তি একমাত্র তাদেরই মধ্যে জাগে যাঁরা ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেছেন। যিনি ব্রহ্মকে জানেন, তিনি নিজেই ব্রহ্মস্বরূপ হয়ে যান। যিনি গুরু, তিনিই ঈশ্বর। সকলের গুরুই এক।

👉যে দেহকেই আত্মা বলে মনে করে, তার মনে রিপুগণ আসবেই। আর যে নিজেকে দেহাতীত বলে জেনেছে, তার মনে রিপুগুলি আসতেই পারে না। কাউকে কখনও কর্কশ বাক্য ব্যবহার করাে না। অন্যায় দেখলে নিন্দনীয় বাক্য প্রয়ােগ না করে শাসন করাে।

✍ আত্মজ্ঞানী দেখেন, “সব ভগবানের মায়া; সব তারই ইচ্ছা।”

👉এই শরীর পঞ্চভূত হতে উৎপন্ন হয়েছে, পুনরায় তাতেই লয় পাবে।—এইরূপ বিচার করে সর্বদা শরীর থেকে নিজেকে পৃথক বলে ধারণা করতে চেষ্টা করবে। 

🙏বাহ্য দৃষ্টিতে সাধুদের বিচার করতে নেই। ... আত্মজ্ঞদের ব্যবহার বাইরে থেকে বােঝা কঠিন।

👉আয়ের এক-দশমাংশ যােগ্য পাত্রে গােপনে দান করবে। এক-চতুর্থাংশ সঞ্চয় করবে ভবিষ্যতের জন্য। বাকি অংশে সংসার নির্বাহ করবে।

যতদিন সামর্থ্য থাকে, ততদিন শরীর দ্বারা খুব কাজ করিয়ে নেওয়াই ভালাে। যখন খেতে চায় ঠিক খাবার দাও, আবার যখন কাজে লাগাবে তখন এর কোনাে কথাই শুনবে না, খুব কাজ আদায় করবে... সাধনের সময় যদি আলস্য করে... তবে একে জোর করে সাধনা করতে হবে। শরীরকে যত কম আরামে রাখবে, শরীর তত সুস্থ থাকবে ও আত্মজ্ঞানের সহায়ক হবে।

👉জপ করতে করতেই অন্তঃকরণ শুদ্ধ হয়। শুদ্ধ অন্তঃকরণে তত্ত্বজ্ঞানের উদয় হয়। সিদ্ধি লাভ হয়ে থাকে।

🙏ভগবান আছেন—এটা ঠিক জানবে। যাঁরা তাঁকে দেখেছেন, সেইসব ত্রিকালদর্শী মহাপুরুষগণ তার অস্তিত্ব সম্বন্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। শাস্ত্রে তা লিপিবদ্ধ হয়ে আছে।বিশ্বাস ও ভক্তিবলেই শ্রীভগবানের দর্শন, আত্মার উপলব্ধি ও নির্বাণ লাভ হয়ে থাকে।

“অজ্ঞান” বােধেও চৈতন্য আছে, কিন্তু তাতে অজ্ঞানের প্রকৃতির কোনাে হানি হয়।। এই চৈতন্যকে “সামান্য চৈতন্য” বলে, যা সর্বব্যাপী আকাশবৎ আছে। এর দ্বারা কারাের কোনাে লাভ বা ক্ষতি হয় না। কিন্তু বিশেষ চৈতন্যেই” জ্ঞানের উদয় হয়। (সামান্য ও বিশেষ দুই মায়া শক্তির অধীনে,—সামান্যটি অবিদ্যামায়াগত, বিশেষটি বিদ্যামায়াত)।

🙏কাম (আসক্তি) ও মােহকে বৈরাগ্য দ্বারা, লােভকে সন্তোষ দ্বারা ও ক্রোধকে ক্ষমা দ্বারা জয় করবে। ক্রোধকে সম্পূর্ণ ত্যাগ  করলে কাজ চলে না তাই লােককে শাসনের জন্য একটু ক্রোধ রাখতে হয়। সত্ত্বগুণের ক্রোধ রাখবে, রজঃ ও তমগুণের ক্রোধ বিষবৎ পরিত্যাগ করবে। সত্ত্বগুণীর ক্রোধ, যেমন জলের ওপর রেখা টানা মাত্রই জলের মধ্যে মিলিয়ে যায়।

👉“যা কিছু করি, ভগবানের সেবার্থে করি” এই প্রকার দ্বৈতভাবে চলাে। তারপর ঠিক অদ্বৈতভাব আসবে।

🙏মাতা-পিতার সেবা করবে, তাদের অবহেলা করলে কৃতঘ্নতারূপ মহাপাপে লিপ্ত হবে। অতিথি পরায়ণ হবে। সঙ্কীর্ণ মন দ্বারা ধর্মাচরণ সম্ভব হয় না।

সাধক শ্রীমৎ ভােলানন্দ গিরির বাণী • অসাধারন ১৫টি বানী সংকলন । ভোলানন্দ গিরি বাণী বংলা  সাধক শ্রীমৎ ভােলানন্দ গিরির বাণী • অসাধারন ১৫টি বানী সংকলন । ভোলানন্দ গিরি বাণী বংলা Reviewed by Wisdom Apps on মার্চ ৩০, ২০২২ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.