মাদাম ক্যুরির সংক্ষিপ্ত জীবনী - Madame Curie biography in bengali

মাদাম ক্যুরি (জন্ম : ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দ, মৃত্যু : ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দ)


এ এক আশ্চর্য ঘটনা ! একজন বিজ্ঞানী দুবার নোবেল পুরুষ্কার পেলেন। একবার পদার্থ বিজ্ঞানে, অন্যবার রসায়নে। নোবেল পুরস্কারের একশো পাঁচ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটেনি।
তোমরা নিশ্চয় জানো, উনি হলেন বিশ্ববিজ্ঞানের মহান উদগাতা মেরি ক্যুরি 'মাদাম ক্যুরি' নামেই তিনি আমাদের কাছে অধিক পরিচিতা। রেডিয়াম এবং পোলনিয়াম নামে দুটি তেজস্ক্রিয় মৌল আবিষ্কার করে তিনি পদার্থ এবং রসায়ন বিদ্যার জগতে নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত করেছিলেন।
মাদাম ক্যুরির জীবন ছিল সংঘর্ষে ভরা। প্রতি মুহূর্তে হতাশার অন্ধকার তাঁকে গ্রাস করত। ছোটো থেকেই অসম্ভব রুগ্ণ ছিলেন তিনি। মনের ভেতর কোনো আশার সঞ্চারণ ঘটলেও সঙ্গে সঙ্গে তা নিভে যেত। জীবনে কোনোদিন যে সফল হবেন, ভাবতে পারেননি তিনি। তাই তাঁর জীবন-ইতিহাস পাঠ করা আমাদের অবশ্য কর্তব্য। এই ইতিহাসের প্রতিটি অধ্যায়ে আছে রোমাঞ্চকর যুদ্ধের কাহিনী। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে কিভাবে কাজে লাগাতে হয়, মাদাম তা আমাদের শিখিয়ে গেছেন।
তাঁর সম্পূর্ন নাম মার্জা ক্লোডস্কা। জন্মেছিলেন তিনি পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ-এ। ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দের ৭ই নভেম্বর তারিখে।
পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে মার্জা ছিলেন সবার ছোটো। বাবা স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান পড়াতেন। মা-ও ছিলেন সুশিক্ষিতা । তবে কোথাও চাকরি করতেন না। একা হাতে সংসারের সব কিছু সামলাতেন তিনি।
শেষে অবশ্য মেয়েদের পড়াবার একটা স্কুল খুলেছিলেন তিনি। কেন-না বাবার অর্জিত অর্থে সংসারের চাকা ঠিকমতো চলত না। তাই মাকেও কাজে নামতে হয়েছিল।
মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই লেখাপড়াতে অসম্ভব ব্যুৎপত্তি দেখিয়েছিলেন শিশু মার্জা। সেই বয়সেই গড় গড় করে পড়তে পারতেন তিনি। বিশ্বসাহিত্যের অঙ্গনে তখন থেকেই উঁকিঝুঁকি দেওয়ার একটা অভ্যাস রপ্ত হয়ে গেছে তাঁর। পড়ার আগ্রহ ছিল প্রবল। পড়তে ভালোবাসতেন অ্যাডভেঞ্চারের গল্প। কিভাবে মানুষ দূর দিগন্তে পাড়ি জমিয়েছে সেই কাহিনী জানবার জন্য মনটা ছটফট করত শিশু মার্জার। রাতের আঁধার ঘনিয়ে এলে কোলের পাশে শুয়ে মায়ের কাছে আবদার করতেন - গল্প বলো না মা, বলো না দক্ষিণমেরু জয়ের কাহিনী! বলো-না কীভাবে মানুষ পাড়ি দিয়েছে অ্যান্টার্কটিকায়!
জ্ঞান-বিজ্ঞানের বই পড়তে ভালোবাসতেন। গোগ্রাসে গিলতেন আবিষ্কারের গল্পকথা। শুধু কি তাই? রূপকথা অথবা ভূতের গল্প, সবেতেই ছিল তাঁর সমান উৎসাহ।
এগারো বছর বয়সে তাঁদের পরিবারে ঘনিয়ে এল অন্ধকার। যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে মা চোখ বন্ধ করলেন। তখনও পর্যন্ত এই রোগের কোনো প্রতিষেধক ছিল না। চোখের সামনে মাকে এইভাবে মৃত্যুবরণ করতে দেখে মনটা কেমন যেন হয়ে গিয়েছিল সেদিনের কিশোরী মার্জার। একবার ভেবেছিলেন সংসার জীবন ত্যাগ করবেন। সন্ন্যাসিনী ব্রত নেবেন। আত্মহননের কথাও ভেবেছিলেন বারকয়েক। মনের এই শোচনীয় অবস্থায় সামনে এসে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর বাবা। বাবার সান্নিধ্যে ধীরে ধীরে মার্জা ওই শোকসন্তপ্ত দিনগুলিকে অতিক্রম করেন। পড়াশোনাতে আরো বেশি মনোযোগ হয়ে ওঠেন। বছর চারেকের চেষ্টায় রুশ এবং জার্মান দুটি ভাষাই ভালোভাবে শিখে নিলেন তিনি।
মার্জার দিদি ব্রনিয়া এবং দাদা জোজিও ছিলেন খুবই ভালো ছাত্রছাত্রী। তারা হাইস্কুলের পরীক্ষায় সেরা ফল করে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন। মার্জও একই স্কুলে ভর্তি হলেন। পরীক্ষাতে সবার সেরা হয়ে লাভ করলেন সোনার পদক।
ছেলেমেয়েদের স্কুলের ফলাফলের জন্যই এই পরিবার ওই অঞ্চলে বিশেষ সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন। ষোলো বছর বয়সে পড়া শেষ মার্জার। তিনি ঠিক করলেন এবার প্যারিস যাবেন। ছোট্ট থেকে তার মনের মধ্যে একটি স্বপ্ন ছিল। তা হল, বড়ো হয়ে একজন ডাক্তার হতে হবে। হয়তো মায়ের শোচনীয় মৃত্যুটাই তাঁকে ওই স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করেছিল।
বাবার আর্থিক সামর্থ্য ছিল সীমিত। এদিকে বড়দি ব্রনিয়াও চাইছেন প্যারিসে গিয়ে ডাক্তারি পড়বেন। কিন্তু দুই মেয়েকে প্যারিসে পাঠানোর মতো ক্ষমতা নেই বেচারি বাবার। কি আর করা যায়?
একদিন রাতে বাবার মুখ থেকে নিদারুন সত্যি কথাটা জানতে পারলেন মার্জার। ঠিক করলেন, দিদির জন্য জীবনের সমস্ত স্বপ্ন জলাঞ্জলি দেবেন তিনি। বাবাকে আশ্বস্ত করলেন, দিদি আগে প্যারিসে পড়তে যাবে। সেখানকার পড়াশোনার খরচ মার্জারই চালাবেন। এর জন্য দরকার হলে তিনি ছোটোখাটো চাকরি করবেন।
দেখতে দেখতে দিন কেটে যাবে। দিদি ডাক্তার হয়ে ফিরে আসবে। তারপর মার্জা না হয় প্যারিসে যাবে। তখন বোনের পড়াশোনার খরচ যোগাবে ওই দিদি।
জটিল সমস্যার এমন সুন্দর সমাধান! কিশোরী মার্জার মুখ থেকে এই কথাগুলো শুনে অবাক হয়েছিলেন তার বাবা। নীরবে চোখের জল ফেলেছিলেন। হায়, আমার এই দুই মেয়ের মধ্যে মার্জা বেশি বুদ্ধিমতী। কিন্তু এমন পরিবারে সে জন্মালো কেন? আমি তার উচ্চ শিক্ষার সাধ পূর্ন করতে পারলাম না। এই কথা বলে নিজেকে দোষারোপ করেছিলেন তিনি হয়তো।
কথামতো দিদি ব্রনিয়া প্যারিসে গেলেন। তাঁর পড়ার খরচ যোগাবার জন্য মার্জা ওয়ারশ-তেই এক ধনী পরিবারে গভরনেসের চাকরি নিলেন। পরিবারের কর্ত্রী ছিলেন খুবই বদমেজাজি। কথায় কথায় মার্জারকে অপমান করতেন। তিনি দরিদ্র ঘরের কন্যা- এই বলে খোঁটা দিতেন।
সেখানে বেশিদিন কাজ করতে পারেননি মার্জা। বছরখানেকের পর ছেড়ে দিলেন সেই চাকরি। আবার নতুন চাকরির সন্ধানে পথে নামলেন। কাজ তো তাকে একটা করতেই হবে। তা না হলে দিদির পড়ার খরচ জোগাবে কে? নিয়মিত প্যারিসে টাকা পাঠাতে হচ্ছে। শেষ অবধি আর একটি রুচিসম্পন্ন ভদ্র পরিবারে গভরনেসের চাকরি নিয়েছিলেন মার্জা। সেখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছিলেন।
কিন্তু সুখ বেশিদিন কপালে সয় না। মার্জার ক্ষেত্রেও তাই হল। ওই পরিবারের একজন সুদর্শন যুবককে ভালোবাসলেন তিনি। কিন্তু বিয়ে করা সম্ভব হল না। দুজনের মধ্যে সামাজিক ব্যবধান আছে। আছে অর্থনৈতিক সীমারেখা।
অতএব, মনের কষ্ট মনে চেপে রেখে মার্জার চাকরি ছেড়ে দিলেন। চরম হতাশা আর অপমান বুকে নিয়ে নতুন করে পথ চলা শুরু হল তাঁর।
যে বয়সে আমরা স্বপ্নের রামধনু দেখতে পাই নীল আকাশে, মন উড়ে যায় দূর দিগন্তে, সেই বয়সেই মার্জাকে কঠিন বাস্তবের সামনে এসে দাঁড়াতে হয়েছে। তাই হয়তো আবেগশূন্য হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিশোরী সুলভ চঞ্চলতা কোথায় হারিয়ে গিয়েছিল। সেই বয়সেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন তিনি প্রাজ্ঞবতী। তাঁকে দেখে মনে হত, সমস্ত পৃথিবীর বোঝা কেউ যেন তার মাথায় চাপিয়ে দিয়েছে। সহসা কারো সাথে কথা বলতেন না। নিজেই নিজের জন্য একটি শব্দহীন জগৎ তৈরি করেছিলেন। সেই জগতে তিনি ছিলেন এক একক সম্রাজ্ঞই।
পাঁচ বছর প্যারিসে পড়াশোনা করে দিদি ব্রনিয়া ডাক্তার হলেন। কিন্তু তিনি আর দেশে ফিরলেন না। সেখানকার এক যুবককে বিয়ে করে সংসার পাতলেন।
এইভাবে মার্জার স্বপ্নটা হারিয়ে গেল। কোথায় প্যারিস আর কোথায় ওয়ারশ! ডাক্তারি পড়া বুঝি হলোনা আর এজীবনে। 
উনিশ শতকের শেষের দিকে পোল্যান্ড ছিল রাশিয়ার জারতন্ত্রের শাসনাধীন। তরুণী মার্জা দেখতে পেতেন, সারা দেশে রুষবিরোধী আন্দোলন জোরদার হয়ে উঠেছে। হাজার হাজার ছেলেমেয়ে গোপন সংগঠনে নাম লেখাচ্ছেন।
স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর শিক্ষক পিতা ছিলেন অন্যতম পুরোধাপুরুষ। বাবার কাছ থেকে মার্জা শুনতে পেতেন পরাধীনতার লাঞ্ছিত কাহিনী। শৃঙ্খলাবদ্ধ মানুষের কষ্ট তাঁর মনকে আবেগে আপ্লুত করে দিত। তরুণী বয়সেই তিনি গোপন সংগঠনের সদস্যা হয়ে গেলেন।
পোল্যান্ডের নানাস্থানে তখন গোপন স্বদেশী স্কুল খোলা হয়েছে। তেমনই একটি বিদ্যালয়ে মার্জা শিক্ষয়িত্রীর কাজ করতে থাকলেন। তিনি পড়াতেন অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা এবং রসায়ন। এইভাবে দুটি বছর কেটে গেল।
১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে প্যারিস থেকে দিদি ব্রনিয়া একটি চিঠি পাঠালেন ছোট বোন মার্জাকে। লিখেছিলেন - বোন, তুই এখনই প্যারিসে চলে আয়। তোর ডাক্তারি পড়ার সব খরচ আমিই জোগাব।
আশার আলো দেখতে পেলেন মার্জা। বুঝি অন্ধকার রাতের অবসান হয়ে গেছে। সকালের সূর্য উঠেছে পুব আকাশে। কোনোরকমে পথের খরচ সংগ্রহ করে প্যারিসের পথে রওনা দিলেন মার্জা। প্যারিসে পৌঁছে তিনি কিন্তু দিদির সঙ্গে দেখা করলেন না। তিনি ছিলেন বুদ্ধিমতী তরুণী। তিনি জানতেন, হয়তো বিবেকের দংশনে এই চিঠি লিখতে দিদি বাধ্য হয়েছে, কিন্তু তার মন বাঁধা পড়ে আছে অন্যত্র। বিয়ে করেছে দিদি, এখন সে সুখী গৃহিনী। একটি সন্তানও হয়েছে তাঁর। এখন কি তাঁর উচিত সেখানে বোঝার মতো উপস্থিত হওয়া?
প্যারিসের আলো বাতাসহীন বস্তি অঞ্চলে শুরু হল মার্জার জীবনসংগ্রাম। লতিন কোয়ার্টারে ছোট্ট একটি চিলতে ঘর পেয়েছেন তিনি। বারো ঘর এক উঠোনের সেই বস্তিতে মার্জা জীবনকে কাছ থেকে দেখেছিলেন। দেখেছিলেন হতদগ্ধ মুখগুলিতে দারিদ্র্যতা কি বিষন্ন ছবি আঁকছে!
নরকতুল্য সেই নোংরা জগৎকে কোনোদিনও ভুলতে পারেননি মার্জা। সেখানে চোর ডাকাত ভবঘুরেদের ভিড়। সকাল আর সন্ধ্যার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। দমবন্ধ করা সেই পরিবেশে মানুষের মনে বাঁচার আশা নেই, উদ্দীপনা নেই, নেই জীবনের আলো।
যে স্বপ্ন নিয়ে প্যারিসে এসেছিলেন তা বাতিল করলেন। ভর্তি হলেন সরবন বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার ক্লাসে।
এটাই হয়তো ছিল তাঁর ভবিতব্য। তা না হলে ভবিষ্যতে তিনি কেমনভাবে এক বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী ও রসায়নবিজ্ঞানী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন? প্যারিসে এসে নিজের নামটাও পাল্টে ফেলেছিলেন মার্জা। নতুন নাম হল তাঁর - মেরি ক্লোডস্ক!
চরম দরিদ্র্যতার মধ্যে এগিয়ে চলেছে তাঁর সংগ্রামী জীবন। বেশিরভাগ দিন অনাহারে থাকতে হত। মাঝে মাঝে রাস্তার সস্তা খাবার কিনে খায়। দুই বছর এভাবেই কেটে গেল। শরীর একেবারে ভেঙে পড়েছে। জীবন শক্তিও এসে পৌঁছেছে শেষ বিন্দুতে।
একদিন ক্লাস করতে করতেই জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন মেরি। সহপাঠীদের সেবাযত্নে জ্ঞান ফিরে পেলেন। ডাক্তার জানিয়ে দিলেন পুষ্টির অভাবে যেকোনো দিন তিনি দূরারোগ্য যক্ষ্মাতে আক্রান্ত হতে পারেন।
বন্ধুরাই তাঁর ডায়েরি খুঁজে দিদি ব্রনিয়ার ঠিকানা জোগাড় করেছিল। ব্রনিয়া খবর পেয়ে ছুটে এলেন। কঙ্কালসার বোনকে বাড়িতে নিয়ে গেলেন। দিদির আন্তরিক সেবাযত্নে সেযাত্রায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন মেরি। সুস্থ হয়ে আবার সেই এক জেদ। এখানে থাকব না। আমি আবার আমার ওই লাতিন কোয়ার্টারে ফিরে যাব।
১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে সরবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক স্তরের পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন মেরি ক্লোডস্কা। পরের বছর গণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মাদাম ক্যুরিকে। যেখানে পা রেখেছেন সেই জায়গাটি আলোকিত হয়ে উঠেছে তাঁর প্রতিভার ছটায়। বিশ্ববিজ্ঞানের নানা ক্ষেত্রে তাঁর প্রতিভার ঝলক আমাদের বিস্মিত করে।
এই হলেন মাদাম ক্যুরি। নিরবিচ্ছিন্ন সংগ্রামের এক উৎসাহব্যঞ্জক কাহিনীর নায়িকা। জীবনের শেষ প্রহর পর্যন্ত তেজস্ক্রিয় পদার্থের গতি প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করেছেন। এই গবেষণার ফলে তাঁর শরীরেও তেজস্ক্রিয় রশ্মি ঢুকে যায়। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে তিনি পরলোকের যাত্রীনি হন।
১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে নিভে গিল বিশ্ববিজ্ঞানের এক অত্যাশ্চর্য প্রতিভার জীবনদীপ। কিন্তু একই সঙ্গে জ্বলে উঠল হাজার প্রদীপ। আজও এখানে-সেখানে, নগরপল্লীর অন্তরালে এভাবেই
দাঁতে দাঁত চেপে কঠিন কঠোর সংগ্রাম করছেন আগামী দিনের মাদাম ক্যুরিরা। একদিন তাঁর জয়কে করায়ত্ত করবেনই। এমনই দৃঢ় তাদের মন। মাদাম ক্যুরির আদর্শে এমনই প্রতিজ্ঞার জন্ম হয়েছে তাদের স্বপ্নের আকাশে।
মাদামের কন্যা আইরিন ক্যুরি ও আইরিনের স্বামী ফ্রেডারিক জোলিও ক্যুরিও পেয়েছিলেন নোবেল।
একটি পরিবার থেকে পাঁচটি নোবেল জয় করা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক অবর্ননীয় নজির। তার কর্ম প্রতিভার মূল্যায়ন করতে গিয়ে মহান বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বলেছেন - ' মেরি ক্যুরি এমনই এক ব্যক্তি, খ্যাতি যাকে ম্লান করতে পারেনি'।
মানবসভ্যতায় নারীজাতির দুরন্ত সংগ্রাম ও সাফল্যের ইতিহাসে অসাধারন কৃতিত্বের জন্যই বিজ্ঞানী মাদাম ক্যুরির নাম স্বর্ণাক্ষরে খোদিত থাকবে।


Topics:

madame curie biography in bengali , marie curie biography,marie curie facts,what is marie curie famous for ? ,marie curie daughter ,marie curie children ,marie curie family ,what did marie curie discover

মাদাম ক্যুরির সংক্ষিপ্ত জীবনী - Madame Curie biography in bengali মাদাম ক্যুরির সংক্ষিপ্ত জীবনী - Madame Curie biography in bengali Reviewed by Wisdom Apps on সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.